somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ভাই ও বোনদের প্রতি

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ভাই ও বোনদের প্রতি

গত ১৮ জুলাই এইচ.এস. সি. পরীক্ষার ফল প্রকাশের মাধ্যমে তোমাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায় এর সুচনা হল। আর তা হল উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেকে তৈরী।আর এর জন্য প্রথম ধাপ হলো কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকা। ফল প্রকাশের পর আপনাদের চোখে ছিল এক অনাবিল আনন্দ আর এই আনন্দ আরও দ্বিগুন হবে যখন আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত সাফল্য লাভে সক্ষম হবে।আমাদের দেশের পেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা এতটা কঠিন না যতটা কঠিন এতে টেকা।বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষার্থির তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর আসন সংখ্যা অনেক কম।আমাদের দেশে ভর্তি পরীক্ষা হয় মেধানুযায়ী ভর্তির জন্য নয় বরং মেধানুযায়ী শিক্ষার্থি বাতিল করার জন্যে। এই প্রতিযোগীতায় যে টেকে সেই আমাদের ভাষায় সফল।অন্যান্য পরীক্ষার তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা একটু ভিন্ন।এতে আমাদের প্রথম শ্রেণী হতে সমসায়িক অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।এবার প্রায় ৬১,১৬২ জন জি.পি.এ ৫ পেয়েছে।এই পরীক্ষা যেহেতু কোন গতানুগতিক নয় তাই এখানে যে ঐ এক ঘন্টাকে জয় করতে পারে সাফল্য তারই।এক্ষেত্রে ভালো জি.পি.এ অনকেটা মুক্ষ্য হয়ে উঠে না।যার কারনে কিছু পরামর্শ যা আপনাদের অনেক সহযোগীতা করবে বলে আশা রাখি
১. সর্বপ্রথম নিজের মধ্যে আত্নবিশ্বাস নিয়ে এগোতে হবে।
২. নিদিষ্ট বিষয়ের মেইন বই এর প্রতি নজর দিতে হবে।তবে এক্ষেত্রে সাধারন জ্ঞান ও কিছু শর্ট টেকনিক ছাড়া।
৩. সবাই একই জিনিস পড়বে তবে যে তথ্য গুলো মনে রাখতে পারবে এবং উচিত সময়ে ব্যাবহার করতে পারবে সেই জয়ী।অর্থাৎ যা পড়বো তা মনে রাখার চেষ্টা করবো।অনেক পড়েছি কিন্তু ভুলে যাচ্ছি তাতে কোন লাভ নেই।
৪. এখন থেকেই সময় বাজেট করে পরীক্ষা ও পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
৫. পরীক্ষায় গ্রুপ ও সেট কোড কিন্তু এক বিষয় নয়।গ্রুপ হলো আপনি কোন বিভাগের জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন অথবা কোন বিষয়ের জন্য।আর সেট কোড হলো আপনার পরীক্ষার প্রশ্নের কোড।
৬. পরীক্ষার হলে একেবারে চিন্তিত হবার কোন কারন নেই।টিকবো কি টিকবো না এই চিন্তা করে অনেক সময় ভালো প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষা খারাব হয়ে যায়।
৭. ইংরেজী ও বাংলা বিষয়ের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া।
৮. পরীক্ষার হলের প্রযোজনীয় যাবতীয় উপকরন মনে করে নেয়া।পরীক্ষার আগের রাতে তা গুছিয়ে রাখা।যেমন প্রবেশপত্র, কলম ইত্যাদি।আপনার একটি ভুল পরিবর্তন করে দিতে পারে আপনার জীবন।
৯. পরীক্ষার সিট কোথায় তা ভালো করে জেনে রাখা ও পরীক্ষার জন্য বের হাবার সময় আমাদের দেশের পরিচিত জ্যাম এর কথা মাথায় রাখা।
১০. পরীক্ষায় অনেক কমন পড়েছে এতে খুব খুশি ও উল্লাশিত না হয়ে ধীরে সুস্থে পরীক্ষা দেওয়া।বেশি আনন্দিত হতে গিয়ে এক প্রশ্নের উত্তর ‍অন্য প্রশ্নের ঘরে দিয়ে দিলে কাররই কিছু করার থাকবে না।
১১. যেহেতু প্রায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিব মার্কিং থাকে ।তাই সঠিক উত্তর নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।অযথা না জেনে ঢিল মেরে নাম্বারগুলো হারানো অনেকটা বোকামি হবে।কম দাগাবো কিন্তু সঠিক কের দাগাবো।
১২. প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বাধীন তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশ্নের ধরনও বিভিন্ন।তাই পরীক্ষার আগে নিদিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশ্নের ধরন ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ভলোভাবে জেনে নেয়া উচিত।
১৩. প্রতিটি বিষয়ের কিছু কমন জায়গা থাকে যেখান খেকে প্রশ্ন পাবার কিছুটা সম্ভাবনা থাকে।তাই ঐ জায়গা গুলো ভালোভাবে মনে রাখা উচিত।
১৪. পরিকল্পিত ভাবে পড়া।গতানুগতিক ভাবে পড়ে সময় নষ্ট করা উতিচ নয়।
১৫. আপনার পরীক্ষা শুরুর বিগত ৬ মাস পূর্বের দেশ ও বিদেশের সমসাময়িক ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল থাকতে হবে।সাধারন জ্ঞান যেটি আসলে সাধারন নয় তা অনেকটা সমসাময়িক ঘটনারই ঘনঘটা।
১৬. আপনারা যারা কোন কোচিং এর সাথে জড়িত তারা, নিয়মিত পরীক্ষা গুলোতে অংশগ্রহন করা উচিত।এবং এর মাধ্যমে আপনার ভুল গুলো সংশোধন করে নিজের আত্নবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা।সবসময় যে পরীক্ষা ভালো হবে এমটি কিন্তু নয়। পরীক্ষা খারাব হলে হতাশ না হয়ে আগামী পরীক্ষা ভালো করে দেবার জন্য প্রস্ততি নেয়া।
১৭. টেকার পরে ভাইভা কখন অথবা কবে ডাকবে তার নিয়মিত খবর রাখা।
এগুলো বললাম আমার ছোট অভিজ্ঞতা থেকে।সর্বশেষ একটি কথা সবার জন্য, আল্লাহ আমাদের সকলের রিযিক কোথায় তা ঠিক করে রেখেছেন।যা আমাদের জন্য কল্যানকর তিনি তাই আমাদের দেন।আমরা আমাদের ভুলের জন্য তার সুফল ভোগ করতে পারি না।আমাদের অনেকে অনেক পরিশ্রম ও পড়াশুনা করেও নিজের আশামত লক্ষে পেীছতে পারি না।সে ক্ষেত্রে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত, নিশ্চয়ই আমার কোন না কোন জায়গায় ভুল ছিল্ অথবা যে টিকেছে তার তুলনায় আমার পরিশ্রম কম ছিল অথবা এটাই আমার জন্য কল্যানকর।এর মাধ্যমে হতাশ না হয়ে সামনে এগিয়ে যাবার নামই হল জীবন।
সবার প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ রইল।
আবদুল্লাহ আল মাহামুদ হোসেন নিপুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
[email protected]

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×