বৃষ্টি দেখলেই আমার ভেতরে জেগে ওঠে অন্যরকম এক মানুষ।বৃষ্টির ঘ্রান,ছন্দ আর অবিরাম ধারার মাঝেই আমি অনুভব করতে পারি সম্পূর্ণ আমাকে।তাই বৃষ্টি দেখলেই নিজেকে হারিয়ে ফেলার অবাধ্য প্রবনতা নিমেষেই ভুলিয়ে দেয় আমার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা। রাতের বৃষ্টিই বেশি ভাল লাগে,কেমন যেন একটা মাদকতা আছে তাতে। ২০০৩সালের ২৬শে জুন,সেরকমই প্রচণ্ড বৃষ্টির এক রাতে প্রবল বরষায় বৃষ্টির ছন্দে বিভোর হয়ে কিছু এলোমেলো কথায় সাজিয়ে সেই মুহূর্তটাকে বেধে রেখেছিলাম আমার পুরনো ডায়েরীতে।আজ অনেকদিন পর আবার সেই মুহূর্তটার সাথে দেখা হয়ে গেল।
আঁধারের চাদর ঢেকেছে নিঃসীম তল
কোনখানে ছেঁদ তার নেই এক পল
নিথর বৃক্ষের স্নান নিরব আবেগ
ঈর্ষায় গর্জে ওঠে রক্তিম মেঘ
রাতের বাহুতলে আঁধার রহস্যে
বজ্রের ঝিলিকে তা হেরিল নিমেষে
অবিরাম জলরাশি ঝির ঝির বরষা
নাচিছে অবাধ ছন্দ যেন তন্ত্রময়ি নেশা!!
ক্ষণে ক্ষণে বরষা হয়ে এলো ঘন
ইন্দ্রমুগ্ধিত তনু আবেশিল যেন
বরষার ঘ্রানে মোর অবাধ্য হৃদয়
হারিয়ে যায় দূরে বহুদুরের অজানায়
ভাঙ্গিতে চায় মোর আত্মবেষ্টিত বাধ
সাধিতে চায় সব সীমাহীন সাধ
স্বপ্নেরা সব ঝাকবেধেছে রাতের বরষা ধারায়
অনুভূতি গুলো সিক্ত হবে আজ মেঘ জড়ানো মায়ায়!!
হে বরষা, অবাধ ছন্দধারা
তুমি যে আজ আমারই মত উন্মাদ,আত্মহারা!
আজি এ ক্ষণে মন বাধা মানে না
বক্ষ মেলে দিতে চায় সব নিভৃত বাসনা
হে বরষা,তুমি আমার শৃঙ্খলহীন স্বাধীনতা
তুমি আমার অচেনা প্রেমের হাজারও না বলা কথা!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৪