somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস-২

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শের শাহ্‌ এর উত্তরাধিকারী ইসলাম শাহ্‌ কে সরিয়ে হুমায়ুন ১৫৫৫ সালে আবার দিল্লীর সিংহাসন দখল করেন।১৫৫৬ সালে তার মৃত্যুর পর তার ছেলে আকবর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়স এ সিংহাসনে বসেন। আকবরের প্রথম বাঁধা ছিল এক প্রচণ্ড শক্তিশালী হিন্দু রাজা- হিমু বা রাজা বিক্রমজিত। ১৫৫৬ সালে পানিপথের যুদ্ধে হিমু আকবরের কাছে পরাজিত হন। ১৫৫৬ থেকে ১৬০৫ পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৯ বছর আকবর রাজত্ব করেন। এই সময় মোঘল সাম্রাজ্য উত্তরে কাবুল ও কাশ্মীর থেকে পূর্বে বাংলাদেশ ও দক্ষিনে গোদাবরী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল।
আকবর ছিলেন বুদ্ধিমান ও বিচক্ষন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন শুধু তলোয়ার এর জোরেই দেশ কে মুসলমানেরা শাসন করতে পারবে না। শের শাহ্‌ এর মত আকবর ও ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত ছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন সাম্রাজ্য কে স্থায়িত্ব দিতে গেলে স্বাধীনচেতা হিন্দু রাজপুত দের সাথে হাত মিলিয়ে চলতে হবে। এই রাজপুতদের তেমন রাজনৈতিক চেতনা ছিল না। বিদেশী মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা কখনো রুখে দাঁড়ায় নি। আকবর তাই এদের উপর নির্ভর করতে পেরেছিলেন। রাজপুত বীর মানসিংহ তার প্রধান সেনাপতি ছিল। টোডরমল কে করলেন রাজস্ব মন্ত্রী।
কিন্তু বাদ সাধলেন মেবারের রানা প্রতাপ সিংহ। রাজপুত ঐতিহ্য কে জলাঞ্জলি দিয়ে মেবারের বশ্যতা স্বীকার করাকে তিনি আজীবন ঘৃণা করতেন। অতএব আকবরের সাথে তার যুদ্ধ হল ১৫৭৬ সালে হলদিঘাটের মাঠে। প্রতাপের ক্ষুদে বাহিনী হেরে গেলো আকবরের কাছে। প্রতাপ ছারাও আকবর কে শক্ত বাঁধা দিয়েছিলেন চাঁদবিবি ও বাংলার বার ভুঁইয়া,- যাদের ভেতর ঈশা খাঁ, প্রতাপাদিত্য ও কেদার রায় এর নাম উল্লেখযোগ্য। আকবরকে যদি মহান বলা হয় তবে তা তার ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য। শেখ মুবারক, আবুল ফজল প্রমুখ মনিষীদের দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে আকবর জন্ম দেন এক নতুন ধরমের- দ্বীন ইলাহি। যদিও প্রচারের অভাবে তা বেশি দিন টেকেনি। নিজে নিরক্ষর হলেও আকবর জ্ঞানিগুণী ব্যাক্তি কে যোগ্য সন্মান দিতেন। আকবরের ছিল নবরত্ন সভা। যেখানে গানের রাজা তানসেন ও হাস্য রসিক বীরবল সভা আলকিত করে রাখতেন।
মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস-১
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪০
১৭টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×