"খোদার পরে মা " একটি রিভিউ লেখার অপচেষ্টা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
হার্টবিট প্রডাকশন পরিবেশিত
শাহীন সুমন পরিচালিত
শাকিব খান ,সাহারা এবং ববিতা অভিনীত এবারের ঈদের ছবি
"খোদার পরে মা "
কাহিনী : আব্দুল্লাহ জহির বাবু
সঙ্গীত : আলি আকরাম শুভ
ছবিটি সর্বোচ্চ ৫২ টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ।
কখনও ফিল্ম রিভিউ লিখিনি ।দুর্যোধন ভাইয়ের রিভিউ পোষ্টগুলো পড়ে অনুপ্রানিত হয়েই কী বোর্ডে ঝড় তোলা ।এটাকে ঠিক রিভিউ বলা ঠিক হবে না তবে রিভিউ লেখার অপচেষ্টা বলা যেতে পারে ।
শাহীন সুমন আমার কাছে পরিচিত নাম ।তার "২ নম্বর" ছবিটি হলে গিয়ে দেখেছি ।সৃতি হাতড়ে পেলাম ২ দিন ধরে বমি বমি ভাব ছিল ।বাংলা সিনেমায় অশ্লীলতা যাদের হাতে সাবলম্বি হয়েছে তাদের মধ্যে রাজু চেীধুরী এবং শাহীন সুমন অন্যতম ।যদিও ইদানিং কালে শাহীন সুমনকে কিছুটা সভ্য হতে দেখা যাচ্ছে ।খোদার পরে মা ছবিটি আফসারি র করার কথা ছিল কিন্তু শেষ মেস শাহীন সুমনের হাতে পড়ে কি হাল হয়েছে তা দেখার জন্যই পুরো ৩ ঘন্টার শারীরীক মানসিক যন্ত্রনা স্বীকারের সিদ্ধান্ত নিলাম । এক বন্ধুকে সাথে নিলাম যদি কিছু আমার চোখে এড়িয়ে যায় তবে তার সাহায্য নেয়া যাবে ।ধাক্কা খাব জেনেই গিয়েছি ।তবে প্রথম ধাক্কা খেলাম অনাকাঙ্খিত ভাবে ।এ আমলে টিকিটের কালো বাজারী ভাবাই যায় না ।কাউন্টার ম্যানরাই যেখানে সিটি কর্পোরেশনের মাছি মারার কাজ করে সেখানে কালোবাজারী কোত্থেকে আসবে ।কিন্তু হ্যা ।তারা আছে থাকবে ।যে কোন সামান্যতম সুযোগ তারা হাত ছাড়া করবে না ।হলে প্রচুর লোক সমাগম ।বেশীরভাগ বলব না প্রায় সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ ।যাদের বিনোদন কেবল যে কোন ছুটির দিনে হলে গিয়ে একটা সিনেমা দেখাতেই সিমাবদ্ধ ।৩৫ টাকার টিকিট ৭০ টাকাতে কিনলাম ।কম্পাউন্ডে ঢুকেই উটকো গন্ধে মাথা ঘুরে আসল।পুরোটা হল জুড়ে বাথরুমের প্রচন্ড দুর্গন্ধে টেকাই মুসকিল হয়ে গেল ।ভাবলাম হলের ভিতর গেলে হয়ত বাচা যাবে ।ঢুকলাম ,এবং তাজ্জব হয়ে গেলাম ! এত মানুষ এখনও সিনেমা দেখে ।বসার কোন চেয়ার খালি পেলাম না ।কেউ কেউ টুল পেতে বসেছে আবার কেউ সিড়িতে বসেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে ।পরিচিত বিধায় টিকিট চেকার দুটো ভালো চেয়ারের ব্যাবস্থা করে দিলেন ।বিনিময়ে হারাতে হল বাতাস খাওয়ার সুযোগ টুকো ।মানে আমাদের চেয়ারের উপর যে ফ্যান ছিল সেটা নষ্ট ।চিতকার চেচামেচি,হই হুল্লোর ,সাথে প্রচন্ড গরমে ঘেমে নেয়ে যাওয়ার অবস্থা ।পুরো হলে এসি তো দুরের কথা কোন এডজাস্টার ফ্যানও দেখলাম না ।এর চেয়ে বাজে হল ব্যাবস্থাপনা হয়ত আর হতে পারে না ।
হটাত পুরো হল অন্ধকার হয়ে গেল পরক্ষনেই চারপাশে লালবাত্তি জ্বলে উঠল মানে ছবি এখন শুরু হবে ।প্রস্তুত হলাম ।জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হলো ।আবছা প্রিন্ট আর সঙ্গীতটাকে কাটাকুটি করে কি যে বাজিয়ে শোনাল বোঝার আগেই সম্মান প্রদর্শন শেষ ।সম্মান প্রদর্শনে দাড়িয়ে হাত তুললাম । পেছনের লোক চেচিয়ে বলে উঠল আরে ভাই বসেন না কিছুই তো দেখি না ।তাকিয়ে দেখলাম তিনি সামনের চেয়ারে পা উঠিয়ে বসে আছেণ ।সিনেমা হলে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা যদি বাধ্যতামুলক না হয় তবে তা প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়া উচিত ।সম্মান করতে না পারি অসম্মান করার অধিকার আমাদের নাই ।
ছবি শুরু হল ।হাফ ছেড়ে বাচলাম ।প্রথম দৃশ্য : শিক্ষক ছাত্রদের মা সম্পর্কে বলছেন।ও হ্যা ছবিটির কেন্দ্রিয় চরিত্র কিন্তু মা ।যেহেতু কাহিনীর সাথে মা সম্পর্কযুক্ত তাই এ নিয়ে কিছু বলব না ।মায়ের সাথে সন্তানের চিরন্তন মমতার বন্ধন ছবির উপজীব্য । তবে এজন্য কাহিনীকারের কোন পারিশ্রম্ই করতে হয় নি ।যে কেউ মাকে নিয়ে এমন গল্প লিখতে পারবে ।পাশ থেকে এক ভদ্রলোক কে দেখলাম সিগরেট ধরিয়েছেণ ।আমি নিজেও ধুমপায়ী কিন্তু ঐ ভ্যাপসা গরমে সিগরেটের উতকট গন্ধ অসহ্য লাগছিল ।বললাম দাদা সিগরেট টা নিভিয়ে ফেলুন অসুবিধা হচ্ছে ।তার সাঙ্গ পাঙ্গ নেহাত কম নয় সমস্বরে প্রতিবাদ করে উঠল ঐ মিয়া চুপচাপ সিনেমা দেখেন আর কষ্ট হইলে বাইরে গিয়া খাড়াইয়া থাকেন ।যেন সিনেমা হল সিগরেট খাওয়ার আদর্শ জায়গা ।টিকিট চেকার কে বললাম উনি পাশ কাটিয়ে গেলেন ।প্রচুর মেয়ে মানুষ দেখলাম হলের ভিতরে ।তবে সবাই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে ,সাজ সজ্জা দেখে বোঝা যায় ।সিনেমায় মন দিতে পারছি না ।দম বন্ধ হয়ে আসছে ।মুন্না অর্থাত পিচ্চি শাকিব খান মাকে বাচাতে আপন বাবাকে হত্যা করে কারন বাবা অবৈধ ড্রাগের ব্যাবসা করে যখন তার বয়স মাত্র ৬ কি ৭ !মা ববিতা ১১ দিন কোমায় ।খাটের সাথে আঘাত লেগে কোমায় থাকার নতুন তত্ব শিখলাম ।এদিকে কোর্ট শাকিব খানকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয় ।পরিচালক অন্তত একটা সামনন্জস্য পুর্ন কাজ করছে সংশোধনাগারটি গাজীপুরে দেখিয়ে ।সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল ।হটাত শাকিব খানের উপ্রে যে কি নাজিল হলো বুজলাম না ।চোখ লাল হয়ে গেল ।চারিদিকে শো শো করে ভয়ংকর বাতাস শুরু হলো ।কারন সংসশোধনাগারে তার বন্ধুরা তার মাকে নিয়ে খারাপ কথা বলছে ।এর মাজেজা কি তা পরিচালক সাহেবই জানেন ।হাড় সর্বস্ব মুন্না মানে ছোট শাকিব একাই ৯ টারে কুপাইয়া শুয়াইয়া ফালাইলো ।মেনে নিলাম বাংলা সিনেমা বইলা ।হটাত শেখ হাসিনা চলে গেলে ! মানে কারেন্ট চলে গেল ।ছবি বন্ধ, ২০০ পাওয়ারের একটা লাইট জ্বালানো হলো ।হটাত আলো জ্বলে ওঠায় অনেকে মনে হয় বিরক্ত হলেন শুনলাম চেচামেচি করছে ।গালি দিচ্ছে বাপ মা চোদ্দ গুষ্টির শ্রাদ্ধ করে ।কোনার দিকে দেখি এক ছেলে অল্প বয়সি একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে ।ছেলেটার হাতটা বড্ড বেয়াড়া ।কেবলি মেয়েটির সারা শরীর হাতরে বেড়াচ্ছে ।বুজলাম বিরক্তির কারন ।গা গুলিয়ে উঠল ।এটা কি সিনেমা হল না অন্য কিছু ।কারেন্ট আসামাত্র আবিস্কার করলাম শাকিব খান বড়ো হয়ে গেছে এবং নতুন নাম ধারন করেছেন সিডর ।সংশোধোনাগার থেকে ছাড়া পাবার ইতিহাস টা ক্লিয়ার না পাশের বন্ধুরে জিগাইলাম ঘটনা কি ? বলল বাচ্চাগুলারে ছিনতাই করা হইছে পুলিশের কাছ দিয়া ।ভেবে পেলাম না ৮/১০ বছরের পোলাপাইনরে ছিনতাই করার হেতু কি ।বাংলাদেশী পুলিশ আর বাংলা ছবি দেইখা মাইনা নিলাম ।
গুলশানে ২২ বিঘা জমি দখল করতে সিডর গেছে একলা ।সাথে কেউ নাই ।যা হবার তাই হল চিরে চ্যাপ্টা হল শত্রু পক্ষ ।এই জমির খবর নিশ্চয়ই সোবহান সাহেব (বসুন্ধরার চেয়ারম্যন) পান নাই ।পাইলে পরিচালকের খবর আছিল ।সাদা ওরফে মিশা সওদাগার আর সিডর ওরফে মুন্না ওরফে শাকিব খান জিগরি দোস্ত ।শিল্পি সমিতির সভাপতি সাধারন সম্পাদকের কথা বলছি না । সিনেমার কথা বলছি ।তো যাই হোক সিনেমা এগিয়ে চলছে কাহিনীকারের কল্যানে ।মাঝে দুইটা অপ্রয়োজনীয় গানও হয়ে গেল ।হলের সাউন্ড সিস্টেম এত খারাপ যে গানের কথাই ঠিক মতো বুজলাম না ।নায়কের একশন দৃশ্য গতানুগতিক ।ব্যাকগ্রাউন্ডে ড্রামের শব্দ স্লো মোশনে নায়কে আগমন চারিদিকে শো শো শব্দ করে তীব্র বাতাস ।পরিচালককে ধন্যবাদ ।যেখানে যা ভেবেছিলাম তেমনটাই হচ্ছে ।ব্যাতিক্রম পাচ্ছি না কিছুতে ।
নায়ক নাইকার প্রথম সাক্ষাত সাধারনত ধাক্কার মাধ্যমেই এতদিন হয়ে আসছিল ।এবার একটু ব্যাতিক্রম দেখলাম ।একটা ছোট্ট বাচ্চাকে বাচ্চাতে দুজনই দেীড় লাগল ।শেষ মেষ লেডিস ফাস্ট থিউরি ভুল প্রমান করে শাকিব খানই বাচ্চাটিকে বাচালো ।হমম ।ঠিক আছে ।যা ভাবছেন তাই ।এরপর নাইকা নায়কের প্রেমে দিওয়ানা ।কাহিনীটা একটু ইলাস্টিক এর মতো টেনে বাড়াতে হবে তাই শাকিব খানের কিছু উদ্ভট ছাগলামী ।অবশেষে প্রেমে পড়া এবং বাধ্যতামুলক একটি গান ।এই গানটি একটু ভালো ছিল কিন্তু সাউন্ড সিস্টেমের জন্য ভালো করে শুনতে পেলাম না ।
আমাদের সিনেমা এখনও ফ্লাশব্যাক নির্ভর ।হাতে ধরিয়ে না বুজিয়ে দিলে বুজতে পারি না ।পরিচালক আমাদের হাতে কোন কাজ রাখে না ।তাই বার বার ফ্লশ ব্যাকে গিয়ে দর্শককে বোঝাতে চাইলেন ববিতাই শাকিব খানের মা। আরে গাধা আমরা বাঙ্গালী হইতে পারি তয় তোগো মতো আবাল পরিচালক না ।২০ বছর সময়কাল একসময় জনপ্রিয় ছিল ।নায়কের বাবাকে ভিলেন ২০ বছর আগে মেরে ফেলেছিলেন কিংবা নায়ক ২০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন ইত্যাদি ।কিন্তু এখন সেই দিন নাই ।এই ছবিতে কিছুটা ব্যাতিক্রম দেখলাম ১৪ বছর ।১৪ বছর আগে শাকিব খান তার মা ববিতার কাছে দিয়ে হারিয়ে গেছেণ যখন তার বয়স ছিল সাত ।হিসাব মতে এখন তার বয়স সর্বোচ্চ ২১/২২ ! গেট আপ কিন্বা মেকআপ কোনটাই শাকিব খানের ৩৫ বছরের নীচে যায় না ।যাই হোক বাংলা সিনেমা বলে মেনে নিলাম ।আগে জানতাম বাংলা সিনেমা কেবলবলিউড,টালিউড,তামিল,গুজরাটী ছবিরই কপি পেষ্ট মারে আইজ দেখলাম পীর আউলিয়ার জীবনিও এদের কাহিনীকারের হাত থেকে নিস্তার পায় নাই ।"সবার পরে মা" ছবিতে শাকিব খান তার মায়ের জন্য পানি হাতে সারারাত দাড়িয়ে আছে ।বায়েজীদ বোস্তামীর কপি পেষ্ট ।সমস্যা সেখানে নয় অন্যখানে ।শীত কালের সুটিং অথচ ফজরের আজান দিল সাডে ৪ টায় ।পরিচালক হয়ত সাকিব খানরে বেশীক্ষন দাড়িয়ে রাখার পক্ষে নয় ।তাছাড়া তার শিডিউলের অনেক দাম ।ছবি দেখে আরেকটা তথ্য জানলাম মেয়েদের বুকে কেবল তাজা রক্ত থাকে অন্য কিছু না ।আমার না নাইকা সাহারার ভাষ্য মতে ।
মিশার সাথে শাকিবের দোস্তি পরিচালকের বেশীক্ষন সহ্য হলো না আর গল্পেও একটা প্যাচ দরকার ছিলো ।তাই বাধ্য হয়েই সম্ভবত হটাত করে মমতার বন্ধন নামন এক বৃদ্ধাশ্রমের আবির্ভাব যার মালিক ববিতা ।ও আচ্ছা ববিতা ১৪ বছর কেমনে কাটাইলো তাইত জানা হলো না ।আবারও ফ্লাশ ব্যাক !কাজী হায়াত (ইদানিং হায়াত সাহেব পরিচালনা রাইখা অভিনয় সম্ভবত বেশী করছেন,পোলার উপ্রে বিশ্বাস করতে পারছেন না বোধ হয় ) তার মেয়েরে নিয়া গাড়ী চালাতে গিয়া একসিডেন্ট ! কচ করে একটা ব্রেক কশার শব্দ হলো ।গাড়ী গাছের সাথে বাড়ী খেল ।হায়াত সাহেব মারা গেলেন ।ঠিক যেমন কল্পনা করছিলেন তাই ।মৃত্যুর আগে মেয়েকে আর তার সমস্ত সম্পত্তি ববিতার হাতে তুলে দিয়ে গেলেন ।সেই থেকে সাহারা ওরফে লাবন্য মা হয়ে আছেন ববিতা ।মিশা শাকিব কে পাঠাল মমতার বন্ধন উচ্ছেদ করতে ।শাকিব বাঘের মতো গেলেন কিন্তু ববিতা মানে মাকে দেখে মার খেয়েও ফিরে এলেন ।আর কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি না ।এর ঠিক আপনারা যেমন ভাবছেন তেমনই হয়েছিল ।শাকিবের সাথে মিশার ঝগড়া ।মারামারি কাটকাটি ।সই সংক্রান্ত একটা ক্লাইমেকস ।শাকিবকে কমপক্ষে তিন বার উপর্যপুরি কুপানো হলো কিন্তু কিছুই হলো না ।পাশ থেকে বন্ধু বলে উঠল হালার তো দেখি হাসিনা খালেদার জান ! আমি তার বিচক্ষনতায় মুগ্ধ হলাম ।মা সন্তানের মিলন ।যেহেতু নাইকার মাও ববিতা তাই চেীধুরী সংক্রান্ত কোন ফ্যাসাদে শাকিবকে পড়তে হয় নি এই ছবিতে ।তবে নাসিরের গাওয়া "মা তুমি আমার আগে যেও না গো মরে' গানটি ছিল অসাধারন ।আর দৃশ্যায়ন ছিল মাজার আর শাকিব কেন্দ্রিক জঘন্য।শেষ দৃশ্যে মিশা বাচল না মরলো ঠিক বুজলাম না ।কারন তার আগেই সিনেমা শেষ করা হলো মানে রিল কেটে দেয়া হল ।জনতার কোন ভাবাবেগ দেখলাম না ।একটু আগে যারা শাকিব খানের ডায়লগ শুনতে না পারায় হলে গুষ্টি উদ্ধার করছে এখন রিল কাটারও কোন প্রতিবাদ করছে না ।শাকিব খান বেচে আছে এতেই বুঝি তারা সন্তুষ্ট ।সাহারার সাথে মিল হলেই হলো মিশা তাদের ধার্তব্যের মধ্যে নাই ।ঘেমে গোসল করে বাড়ীর পথ ধরলাম ।এর চেয়ে বুঝি ইভা রহমানের গান শোনাও অতি উত্তম ।
শাকিব খান : আমি সিডর যেই খানে যাই সেইখারে আর ধংস হবার মতো কিছু থাকে না ।
মিশা :আমার নাম সাদা ভাল পা্ই লাল ।
সাহারা : মেয়েদের বুকে থাকে তাজা রক্ত আর কিছু না ।
নিজস্ব উপলব্ধি : ৫ টি গান ১০ টি মারপিটের দৃশ্যসহ একটি উদ্ভট কাহিনীর সমন্বয়ে একটি বাংলা সিনেমা হয় ।
আমার নিজস্ব কিছু কথা : শাকিব খান হিজরা ।ওর কোনো কুয়ালিটি নাই ।ঠোটে লিপস্টিক দেয় কানে দুল পড়ে ।ওরে প্রিয় নায়কের তালিকায় রাখলে ইস্টাটাসে টান পরে ।বান্ধবীর কাছে ইজ্জত থাকে না ।এই প্রজাতির ভাই বোনদের বলি আপনাগো পোছার টাইম শাকিব খানের নাই ।ভাল খারাপ যাই হোক গত ৫ বছর এই হিজরাটাই আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি টিকিয়ে রাখছে ।কয়েক লক্ষ মানুষের রুজির ব্যাবস্থা করছে ।আপনার আামর ভালবাসায় তার গুপ্তকেশে সামান্য পতন ঘটাতে পারবে না ।তার লক্ষ ভক্ত শ্রোতা আছে যারা শাকিব হাসলে হাসে কাদলে কাদে ।ভিলেন শাকিবরে মারলে মিশার চেীদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে ।সেই জনসমস্টি অভিজাত ফেজবুক ব্লগের দুনিয়ার কেউ না ।নিম্নবিত্ত অতি নিম্নবিত্ত মানুসেরা ।যারা রিকসা চালিয়ে ঘাম ঝড়িয়ে হল মালিক আর আমাদের বাচিয়ে রাখছে বছরের পর বছর । ঘরে বসে ডার্টি পিকচার দেখবেন আর বাংলা সিনেমার কথা শুনলে নাক কুচকাবেন এটা হবে না ।ব্যাচেলার ,টেলিভিশন আপনার আমার বিনোদন যোগাবে ।বাকী সাড়ে ৫ কোটি নিম্নবিত্ত মানুষের বিনোদোন বলতেই শাকিব খানের হাসি ফাইটিং ।এরা এখনও তাদের প্রিয় নায়কের ছবি কেটে পাঠ্য বইয়ে লুকিয়ে রাখে ।এরাই বাঙ্গালী ।আমাদের মতো ভোদাই সুশীল নয় ।
ভালো থাকবেন সবাই ।
৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কোরআন কী পোড়ানো যায়!
আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেঞ্চুরী’তম
লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা
দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?
ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?
বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভণ্ড মুসলমান
ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?
মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসবে তুমি কবে ?
আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন