somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহর সৃষ্টি সূর্য - এবং কুরআনে মানুষের নিকট আল্লাহর প্রশ্ন ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আল্লাহর সৃষ্টি সূর্য - যা আল্লাহর অপরিসীম জ্ঞান ও ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন,

"আল্লাহ সূর্যকে একটি সমুজ্জ্বল প্রদীপরূপে সৃষ্টি করেছেন ।"

(সূরা নূহঃআয়াত-১৬)

সূর্য ও পৃথিবীর আবর্তনে দিন ও রাতের সৃষ্টি হয় । সূর্য-ই হলো পৃথিবীর আলো ও তাপের উৎস । সূর্য না থাকলে পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ হতো না । শুধু রাতই থাকতো এবং পৃথিবী একটি চরম ঠান্ডা গ্রহ হতো ।

আবার সূর্য ও পৃথিবী যদি আর্বতিত না হতো তাহলে পৃথিবীর এক পাশ সব সময় অন্ধকার এবং আরেকপাশ সব সময় আলো থাকত । যা মানুষের বসবাসের উপযোগী হতো না । আর যদি মানুষ থাকতোও তবু তাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতো । রাত্রিতে মানুষ বিশ্রাম করে দিনের কাজের জন্য নতুন করে শক্তি সন্চয় করে । যদি রাত্রি না আসতো মানুষ বিশ্রামের অভাবে অসুস্হ হয়ে যেত এবং শরীরে কর্ম উদ্দীপনা থাকত না । মানুষের জীবনে আনন্দ থাকত না । সব সময় এক অপরিসীম ক্লান্তি বয়ে বেড়াত ।

সৃষ্টির এরূপ সব কিছুর সুন্দর ভাবে চলা আল্লাহর অপরিসীম জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ই প্রকাশ । আল্লাহ সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হন নি তিনি তা সুন্দর করে নিয়ন্ত্রণও করছেন । যেমনঃ যে কোন সিস্টেম তৈরী করলেই হলো না তা চালূ রাখতে হয় এবং মেইনটেইনও করতে হয় । না হয় তা টিকে থাকেনা ।
এর প্রতি ইঙ্গিত করে কুরআনে আল্লাহপাক বলেন,
"(হে মুহাম্মদ) তুমি লোকদেরকে বলে দাও ! যদি আল্লাহ তোমাদের প্রতি কেয়ামত পর্যন্ত অন্ধকার রাত করে দিতেন তবে কে ছিলো তোমাদের এক আল্লাহ ছাড়া অন্য প্রভূ, যে তোমাদের জন্য আলোর ব্যবস্হা করতো ? (সূরা কাসাসঃআয়াত-৭)

এখানে আল্লাহ মানব জাতিকে প্রশ্ন করছেন, আল্লাহ যদি মানুষের আলোর ব্যবস্হা না করতেন তবে অন্য কোন প্রভু আছে কি যে তা করতে পারত ? কেউ নেই । এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, আল্লাহ বলেছেন যে এই আলোর ব্যবস্হা করতে মানুষকে অন্য একজন প্রভুর সন্ধান করতে হতো । মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় যে সে নিজেই তা করবে । এটা মানুষের সাধ্যের বাইরে এরূপ সূর্যের মতো একটি আলোর উৎস তৈরী করা । আল্লাহ কিন্তু বলেন নি যে - তোমরা কি তা করতে পারতে ? বরং তিনি বলেছেন যে অন্য প্রভূ । প্রশ্নের ধরণ দেখেও দিয়েও কিন্তু আপনি একজনের জ্ঞানের বহর আচ করতে পারবেন । প্রশ্ন বোকার মত হতে পারে আবার জ্ঞানীর মতও হতে পারে । কোরআনে এরকম অনেক প্রশ্ন আছে । এসব প্রশ্ন বিশ্লেষণ করেও যে কেউ আল্লাহর সন্ধান পেয়ে যেতে পারে ।

আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন,

"সেই আল্লাহ মহা মহিমাময়, যিনি আসমানে কক্ষপথ সৃষ্টি করেছেন আর বড় বড় নক্ষত্র ও উজ্জ্বল চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন ।" (সূরা ফোরকানঃ৬১)

নিম্নের ভিডিওতে দেখতে পারবেন মহাবিশ্বে আল্লাহ কত বড় বড় নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন ।



কুরআন যখন নাযিল হয় তখন মানুষ জানতই না যে সূর্যের থেকে বড় কোন নক্ষত্র আছে । মানুষ আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করতে চায় না অথচ আল্লাহ মানুষকে তার সৃষ্টি দেখে চিনতে বলেছেন । মানুষের পক্ষে তো আল্লাহর সৃষ্টিকে-ই ঠিক মত বুঝা সম্ভব না তারা কি করে আল্লাহকে দেখতে চায় ?

পৃথিবীর বাইরে যে মহাবিশ্ব এত বড় তা বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন বেশী দিন হয় নি । আগে মানুষের ধারণাও ছিলোনা মহাবিশ্ব কত বড় । কিন্তু কুরআন ও হাদিসে এরকম কোন বৈপরীত্য পাবেন না যে তখনকার মানুষের ধারণা অনুযায়ী কোন কথা বলা হয়েছে ।

যেমন হাদীসে আছে, একজন সাধারণ বেহেশ্তী যে স্হান লাভ করবে , তা সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার দশগুন স্হানের সমান হবে । -মুসলিম, মেশকাত ।



একটু চিন্তুা করে দেখুন কত বিশাল - কত মানুষ জান্নাতী হবে । সে তুলনায় এত জায়গা কোথায় । এবার মহাবিশ্বের দিকে তাকান । জায়াগার কোন অভাব নেই ।

সুতরাং প্রতিটি কথা বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায় । কোন সাংঘর্ষিক কথা নেই । অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে একজন নিরক্ষর নবী এবং একটি এমন এলাকায় যেখানে শিক্ষার কোন পরিবেশই ছিলোনা । না মহানবী (সাঃ) শিক্ষিত ছিলেন না ওনার সাহাবীরা শিক্ষিত ছিলো । এটাই আল্লাহর নিদর্শন তারপরও মানুষ যদি বিশ্বাস না করে , যুক্তি না খাটায় সেজন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহকে দোষারোপ করে মুক্তি পাওয়া যাবেনা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৬
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×