প্রলাপ
একগ্লাস আন্তরিক গরল আমাকে দাও, করে নি’ আপন
অতপর দূরারোগ্য-পরী পরাবো তোমাকে প্রানের কাকন
বেজে যাবে রিনিঝিনি অনুভূতির তীব্র তুমুল ঝংকার
তুমি নাচবে কবিতা, কন্ঠছেঁড়া তালে অন্তরস্থ শুদ্ধতার।
বক্ষে চালাও হাতুড়ি, পাঁজর গুঁড়িয়ে জ্বালাও ভিসুভিয়াস
পাবে অন্তিম সততা, অস্থিমজ্জা নিংড়ানো অমৃত নির্যাস,
যার লক্ষ্য-ভেদী প্রতিফোঁটায় নির্বাণহীন তৃষ্ণার বৈরিতা,
দেখবে নিলাভ মুক্তচোখে জ্বলছে নরক আমার কবিতা।
বুকের ভেতরে শাবলের মতো প্রিয় শক্ত ঘায়ে ঢুকে পড়ো
হৃদয়ের গভীরতা খুঁজে পা-বাড়াও মনের গহিনে আরো,
পদে-পদে পাবে প্রশান্তির সৎ শীতল আশ্রয় আন্তরিক;
হৃদয়ে, শরীর, ওষ্ঠে মিলন বৈধতা পাবে কস্তুরি কাব্যিক।
সময়ের মতো তোমার নোংরা নখে গাঁথা অক্ষত হৃদয়
পা-চাপা নিঃশ্বাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এ-জ্ঞান গরিমাময়।