somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ , দুর্নীতিবাজ মুর্দাবাদ

২৩ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শীর্ষ সন্ত্রাসী , সন্ত্রাসী , চোর , ছ্যাঁচড় , পকেটমার, জুতা চোর প্রভৃতি প্রায় সকলেই একই গোত্রভুক্ত তা হল চুনো পুটী বা ছিঁচকে সন্ত্রাসী । এদের সায়েস্তার জন্য র‍্যাব , পুলিশ , ডিবি এবং আরও নাম না জানা বিভিন্ন ধরন ও রঙ্গের সরকারী গেন্দা বাহিনী রয়েছে ।

যখন উক্ত গোত্রের একটু উচ্চ মানের সন্ত্রাসী ধরে চিপায় নিয়ে মাইনাস (ক্রস) করে দেয় অথবা জীবিত ধরে মিডিয়ার সামনে বহু বীরত্বের সাথে তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে ধরে । মনে হয় আসলেই সন্ত্রাস নির্মূল হচ্ছে । আসলে হচ্ছে নীচের লোম ।

উপরের যে সন্ত্রাসীদের কথা বললাম তাদের বিষয়ে সরকার সবধরনের তথ্য রাখে । এগুলি নির্মূল করতে পুলিশের ২৪ ঘণ্টা সময় দিলে যথেষ্ট । নানা কারনে নানা চাপে পুলিশ তা করতে পারেনা ।

সন্ত্রাস কি ? সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কি ? সন্ত্রাসী আসলে কারা ? সন্ত্রাসের জন্ম কোথায় ?


সন্ত্রাসের জন্ম হচ্ছে বেকারত্বে । সারা পৃথিবীতে সর্বত্র সবচেয়ে প্রধান ও বড় সন্ত্রাসী হচ্ছে ব্যবসায়ীরা । এদের পরের অবস্থানেই রয়েছে সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা । এই গোত্র গুলো নানা ভাবে নানা সময়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অপ তৎপরতা চালায় । তাদের এই অপ তৎপরতার বর্জ্য হচ্ছে সন্ত্রাস , দুর্নীতি এবং আরও নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড ।

সত্যিকারের সন্ত্রাসীর তালিকায় ওরা ( প্রথমে উল্লেখিত) বড় দুর্বল অবস্থানে । প্রায় বাংলাদেশ ফিফা রাঙ্কিং এ যে অবস্থানে প্রায় সেরকম ।

এইসব সন্ত্রাসীদের মূল আয়ের উৎস চাঁদা । একটা সন্ত্রাসী কখনোই একেবারে দীনহীন লোকের কাছে চাঁদা দাবী করেনা । করে অবস্থাপন্য বা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চবিত্তের কাছে । আরেকটি উৎস মাদক ব্যবসা যা উচ্চবিত্তের একটা আনন্দ মাধ্যম । অর্থাৎ এদের কর্মকাণ্ড একটা শ্রেণীকে কেন্দ্র করে এর তা হল "উচ্চবিত্ত" ।

ব্যবসায়ী - খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যাবসায়ীরা কি করছে ? মাল গুদামজাত করা , ভেজাল পন্য বিক্রয় , সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি অতি মুনাফা লোভী কর্মকাণ্ড তারা করছে । যা আজ যে শিশুটি পৃথিবীতে এলো থেকে মৃত একটি মানুষ পর্যন্ত এবং সমাজের সবচেয়ে দীনহীন মানুষটা থেকে বিত্তের চূড়ায় থাকা মানুষ পর্যন্ত এদের কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী । এদের এই হীন অপকর্ম থেকে একটি মানুষ রেহাই পায়না ।

সরকারী ও বেসরকারি কর্মকর্তা -

সরকারী কর্মকর্তা - পুলিশ , সচিবালয়ের ও বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্তারা । আমি এদের বিষয়ে বলার প্রয়োজন বোধ করছিনা কারণ জনতা ওয়াকিবহাল যে ওদের লালা নিঃসৃত জিহ্বা সর্বদা আধ হাত বের হয়ে থাকে ।

চিকিৎসা - সরকারী হাসপাতালের অবস্থা যতনা করুণ তার চেয়ে করুণ এখানের ডাক্তারদের । এরা বিভিন্ন চেম্বার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে সেবা দিতে দিতে এমন চিত হয় যা থেকে সোজা হয়ে হাসপাতালের গরীব মানুষগুলারে দেখার সময় নেই । নার্স আর বয়রা তো নিশ্চিত যে তাদের কাঁধে আল্লাহ ফেরেস্তা দেয় নাই । উপর থেকে নিচ সব শালা হারাম খায় অর্থাৎ ওরা হারামী । আর বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান এবং পাগলা কুত্তা এর মধ্যে তেমন কোন তফাৎ আমি পাইনা ।

শিক্ষা- আহা ! জাতির মেরুদণ্ড । আর শিক্ষার হ্যাজাক বাতি নিয়া দৌড়া দৌড়ি করা মানুষদের বলা হয় শিক্ষক । যাহারা কোনরকমে বিখ্যাত বা অখ্যাত , সরকারী বা বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পাওয়া মাত্রই , বিদ্যার হ্যাজাক বাতিটা নিয়া কোচিং বা নিজ গৃহে আলো বিতরনের মহান দায়িত্বটি অতি উচ্চ
দক্ষিনার বিনিময়ে অতি মনোযোগ সহকারে পালন করেন । ফলে যে আলয়ে ওনার বিদ্যার আলো বিতরনের দায়িত্ব সেখানের আলো প্রার্থীরা হন বঞ্চিত ।

খাদ্য - কৃষক ছাড়া বাকী যারা এই ব্যাবসার সাথে জড়িত ওরা সবাই জাহান্নামী আর দুনিয়ায় হারামি।

বাসস্থান - এই ব্যাবসায়িদের মূলনীতি দুর্নীতি । ব্যাবসার মূল কথা - পাবলিক চিপায় ফালাও মাল কামাও ।

মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু ক্ষেত্রের কথা তুলে ধরলাম । ঠিক এভাবে ব্যবসায়ী , ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , অফিসার , সরকারী , বেসরকারি , উকিল , মুখোসধারি সুশীল , দালাল বুদ্ধিজীবী সব কালোটাকা সন্ত্রাসে লিপ্ত ।

এবার আসি চাঁদাবাজদের কথায় । চাকরি নাই , ব্যবসা নাই বেকারত্তের ভারে অসহায় হয়ে একটা তরুন বা যুবক অস্ত্র হাতে নেয় । যখন সে স্বাভাবিকভাবে তার জীবন চালাতে পারেনা ।

কিন্তু এই ব্যাবসায়ীরা আর সরকারী বেসরকারি কর্তারা দুর্নীতিগুলো করার জন্য কে বাধ্য করে ? তারা তাদের বিবেক বিসর্জন দিয়ে এই কাজগুলো করে । যার ভুক্তভোগী সমাজের সদ্যজাত শিশু থেকে মৃত মানুষটি পর্যন্ত । ওরা কাউকে রেহাই দেয়না ।

চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজির নির্দিষ্ট ক্ষেত্র রয়েছে । কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ কুত্তাগুলার কোন ক্ষেত্র নাই ওরা সবাইকে কামড়ায় ।

সন্ত্রাস নির্মূলের নামে চোর ছ্যাঁচোড়ের পিছনে দৌড়ানের আই-ওয়াস বাদ দেও ।এই কাম পুলিশের বা হাতের খেলা । শুধু পুলিশের হাতকরা খুইলা দেও , দেখো কি ভেল্কি দেখায় । সত্যিকার পদক্ষেপ নিতে হবে ।

শুধু যদি খাদ্য ও ট্যাক্স এই দুটির সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ করে এদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তাহলে সমাজ ও দেশের অর্থনীতির ৫০ ভাগ সমস্যা দূর হয়ে যাবে । যে পরিমাণ বাহিনী সরকার তথাকথিত সন্ত্রাসের পেছনে লাগিয়ে রেখেছে । তা যদি এই দুই ক্ষেত্রে দেয়া হয় সমাজ ও দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দেয়া সম্ভব ।

খাদ্য - শুধু মাত্র মধ্য সত্ত্বভোগীদের হটালে এই ক্ষেত্রে আর কোন সমস্যা থাকেনা ।এরপর নজর দিতে হবে , মাল গুদামজাতকরন , ভেজাল রোধ । খাদ্য সন্ত্রাস ৯০ভাগ বন্ধ করা সম্ভব ।

ট্যাক্স - নাগরিকের ট্যাক্স প্রদানে উৎসাহ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এর দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব ।

প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে এই দুই ক্ষেত্রে স্বয়ং তত্তাবধান করে এবং সরকার যদি ঘোষণা করে যে কোন মূল্যে এই সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ হবে । দেখেন তারপরের তেলেসমাতি ।

অনতিবিলম্বে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী করে তাতে বেকার ভাতা সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিতে হবে । ফ্রান্সে ফ্রোসোয়া ওঁলাদ যেভাবে উচ্চবিত্তের উপর আয়ের শতকরা ৭০ ভাগ করারোপ করেছে । ঠিক সেভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঐ পরিমানে না হলেও উল্লেখযোগ্য হারে উচ্চবিত্তের উপর করারোপ করা অবশ্যই দরকার ।


মজার ব্যাপার হচ্ছে , পশ্চিমাদের পেট ভরা থাকলে ফুর্তি করে আর বাঙ্গালির পেট ভরা থাকলে ঘুমায় ।

তাই আর যাই হোক আন্ডারপাসে ( কালা রাস্তা ) যে মাল কামাও তা লইয়া নিরাপদে থাকতে হইলেও এই দক্ষিনা দিয়া বাঁচো । পেটে যখন ক্ষুদা থাকবো তখন আইস্যা গলায় পারা দিয়া নিবো , হইতাসেও তাই । তাই অন্তত পেটে ভাতে খাইয়া ঘুমাক । বাঁচতে চাইলে ব্যবস্থা করো । নাইলে অবস্থা "উপায় নাই গোলাম হোসেন"



অসংলগ্নতা প্রকৃতি সমর্থন করেনা । সমাজ প্রকৃতির বাইরে না । বন উজাড় হয় , কল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য , প্রকৃতিতে কার্বনের ব্যাপক উপস্থিতি এগুলো মানুষের কারণেই যার ফল আজ মানুষই ভোগ করছে । আজ পরিবেশ বিপর্যয়ের সন্ধিক্ষণে মানুষ । ধ্বংসের ঘণ্টা বাজছে । সমাজেও একই পরিস্থিতি । মানুষের সৃষ্ট অনিয়ম আর দুর্নীতিতে সমাজ কলুষিত তাই তা ভোগ করতে হবে মানুষকেই ।



তোরা দুর্নীতি করে মালে মালে লালা হবি । তা থেকে যদি বেকাররা কিছু রঙ চায় তো দোষ কি ? হারামজাদার পাল এই সন্ত্রাস তো তোদের দুর্নীতির ফল । তোরা সম্পদের সুসম বণ্টন করতে দিবিনা । আর মহা সুখে থাকবি । তা হবেনা । তোদের গলায় পারা দিয়ে তোদের সুখ বের করা হবে । চাঁদাবাজ ভাইদের আমি আহ্বান জানাই এই হারামির পালের পশ্চাৎদেসে লাথি ঝেরে , টুটি চেপে ওদের কাছ থেকে মাল কামাও , লাল হও । ওদের সুখ ওদের মলদ্বার দিয়ে বের কর । সমাজের প্রতিটা স্তরে প্রতিটা বাঁকে এই হারামিরা আছে । ধর শালাদের , অধিকার আদায় কর !! কিসের পাপ কিসের আইন লঙ্ঘন যে শালারা আইনের কথা বলে ঐ শালাদের মলদ্বারে আইন ভরে দে কারণ ওরা ঐ দুর্নীতি বাজদেরই দালাল । ওরাই ওদের কুকর্ম হালাল করে ।

হ্যাঁ আমি উৎসাহ দিচ্ছি , আমি সমর্থন করি চাঁদাবাজের কারণ এছাড়া এই সমাজ ওদের বাঁচতে দেবেনা । ছিনিয়ে নাও আপন অধিকার যে যেভাবে পারো । এমনেও মরবা , সেমনেও মরবা । তাইলে ওগো কপালে দুইডা উশটা দিয়াই মরো ।


চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ , চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ , চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ !!!! চাঁদাবাজি হোক দুর্নীতির ন্যায় সার্বজনীন ।হোক পাল্লা চাঁদাবাজি আর দুর্নীতির !!!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×