এক সময় সাইকেল চালানো শেখার জন্য প্রায় পাগল ছিলাম। কেবল আনন্দের জন্য না, আশেপাশের জায়গায় যাওয়ার জন্য সবচেয়ে দ্রুততম মাধ্যম হলো সাইকেল। সেইসঙ্গে হেলথ বেনিফিটটা তো উপরি পাওনা।

যখন সাইকেল চালানো মোটামুটি শিখে ফেললাম, তখন শখ জাগলো দাঁড়িয়ে সাইকেল চালানো শেখা। আসলে ঠিক শখ না, এটা দরকারে পরিণত হলো। ঢাকার ট্রাফিকে বারবার থামতে হয়। আর থামার পর সামনের গাড়ি বা রিকশা যখন টান দিয়ে চলে যায়, তখন পেছনের গাড়ি বা রিকশা টানার জন্য পাগল হয়ে যায়। ঐ সময়টা দ্রুত অ্যাক্সেলেরেট করার জন্য দাঁড়িয়ে চালানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই দাঁড়িয়ে চালানো শেখাটা জরুরি হয়ে গেছিল। এছাড়াও উঁচু জায়গায় ওঠার সময়ও সিটে বসে চালানো বেশ কষ্টকর। এই দাঁড়িয়ে চালানো শেখার জন্য গ্রামেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ ছিল। কাজিনের সাইকেলের চাকায় হাওয়া ছিল না।

অবশ্য এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে, দাঁড়িয়ে সাইকেল চালানো শেখার আর দরকারই নেই। কোনো দোষ না থাকার পরও খামোকা অ্যাক্সিডেন্ট করে নিজে তো ব্যথা পেলামই, সেইসঙ্গে বাসা থেকেও মোটামুটি সাইকেল চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞাটা পাকাপোক্ত হলো।

এখন কী আর করা। মিরপুর থেকে ধানমণ্ডি আবার সেই এক ঘণ্টা বাসে বসে থেকেই যেতে হবে।