somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পকার নীলু দাস

২০ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নীলু দাস (জন্মঃ ১৯৩০ - মৃত্যুঃ ২০০৩) যিনি ষাট শতকের গল্পকার নীলু দাস নামেই পরিচিত | তিনি ময়মনসিংহের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।

জন্ম
১৯৩০ সালে নীলু দাসের জন্ম হয় ময়মনসিংহ জেলার কাচঁামাটিয়া বিধৌত ঈশ্বরগঞ্জের নীচতুলন্দর গ্রামে।

শিক্ষা ও জীবন
নীলু দাসের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কেটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। গৌরীপুর নীলু দাসের মাতুলালয়। মেট্রিকুলেশন পাশ করেন ঈশ্বরগঞ্জের চরনিখলা উ চ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে। ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই,এ পাশ করেন ১৯৫৪ সালে। ঐ বছরই পাকিস্তান ইর্স্টান রেলওয়ে টেলিগ্রািফস্ট পদে চাকরি গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে নীলু দাস বকুল রাণী দাস এর সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তঁার দুই মেয়ে তিন ছেলে। চাকরি সূত্রে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তঁার বহুকোণ হীরার মতো তীক্ষ্ন অনুভূতি শক্তি দিয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের বাস্তব জীবনকে উপলব্দি করেছেন। রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালে।

লেখার বিষয়বিন্দু
নীলু দাসের লেখার বিষয়বিন্দু মানুষ, মানুষের অসহায়তা ও অসংগতি। দলিত মানুষেরা বার বার তঁার গল্পের প্রধান চরিত্র হয়েছে। নীলু দাসের সকল চরিত্রই বাস্তবতাকে অধিকতর মেনে নিয়েছে। বাস্তব প্রেক্ষাপটের নিষ্ঠুর আবর্তে পড়ে ওরা দলিত হয়েছে, বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বলয় থেকে কেউ বেড়িয়ে আসতে পেরেছে, কেউ পারেনি।

প্রকাশিত গ্রন্হ
ষাটের পুরো দশক নীলু দাস বাংলাদেশের নামকরা ও প্রতিষ্ঠিত পত্র-পত্রিকাগুলোতে ( সমকাল, মাহে-নও, মোহাম্মদী, আজাদী, সৃজনী, পূর্বদেশ, মেঘনা, ময়ূরকণ্ঠী, বেগম প্রভৃতি) গল্প লিখেছেন। ‘বেগম’ এর বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রথম দিকে এক ফরমাব্যাপী লেখিকাদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ওই লেখিকারা ছিলেন বলতে গেলে অমরযৌবনা। একই বয়সের (প্রথম যৌবনের) একই ছবি তাঁদের ছাপা হতো বছরের পর বছর। বেশির ভাগ লেখিকা ছিলেন ভুয়া, নারী-নাম ব্যবহারকারী পুরুষ। এঁদের মধ্যে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছিলেন নীলু দাস। পরে জানা গেছে, তাঁর এক বউদির ছবি ব্যবহার করতেন । ডঃ আমিনুর রহমান সুলতান এর সম্পাদনায় বারটি গল্প নিয়ে নীলু দাসের গল্প একুশের বইমেলা ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়।

মৃত্যু
নীলু দাস ২০০৩ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী ইউনিয়নের বেহেত্তরী গ্রামে মৃত্যুবরন করেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×