পবিত্র ঈদের দিনেও এক হিন্দু জেলে পরিবারকে বাঁচাতেই আমি সবার কাছেই সাহায্য চাইছি। বিশেষ করে যারা নিজেদেরকে বিবেকবান মুসলমান বলে গর্ববোধ করেন এবং মানুষের কল্যাণেই সাংবাদিকতা করছেন,তাঁদেরকেই বলছি-
দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা,অসুস্থ গর্ভবতী বিবাহিতা আমার প্রতিবেশি হিন্দু ছোট বোন শিল্পী রাজবংশীকে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য
(১)নিমাই চন্দ্র রাজবংশী,(শিল্পীর বাবা)
(২)শচিন চন্দ্র রাজবংশী,(শিল্পীর চাচা)
(৩)সানা রানী রাজবংশী,(শিল্পীর মা)
(৪)রংমালা রানী রাজবংশী,(শিল্পীর বিধবা বড় বোন রংমালা এবং তাঁর চার এতিম ছেলে-মেয়ে)
(৫)ফুলমালা রানী রাজবংশী,(শিল্পীর বিধবা মেজো বোন ফুলমালা এবং তাঁর চার এতিম ছেলে-মেয়ে)
(৬)লিপি রানী রাজবংশী(ছাত্রী)
(৭)স্বপন চন্দ্র রাজবংশীকে,(শিল্পীর বড় ভাই)
সর্ব সাং- কাওয়ালীপাড়া,
উপজেলাঃ ধামরাই,
জেলাঃ ঢাকা।
মুসলমান নামের কলঙ্ক এবং সাংবাদিক নামধারী সন্ত্রাসী শামিম খান ওরফে লাল মিয়া,পিতাঃ মোঃ জহির খান,গ্রামঃ কামারপাড়া(ঘড়িদারপাড়া),উপজেলাঃ ধামরাই
জেলাঃ ঢাকা, এবং তাঁর সন্ত্রাসী লাল বাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতেই আমাকে পবিত্র ঈদের আনন্দের দিনেও আপনাদের বিরক্ত করতে হচ্ছে।আমি দুঃখিত।
নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতে এবং মুসলমান ভাবতে আসলেই খুব লজ্জা করছে।
কারন হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই,বাংলাদেশে মিলে মিশে থাকতে চাই।কেউ কি আছেন এই অসহায় জেলে পরিবারকে সাংবাদিকতার কলঙ্ক শামিম,ওরফে লাল মিয়ার কালো হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন!
আপনারা তাঁদের পাশে এগিয়ে না আসলে সংখ্যালঘু এই জেলে পরিবারকে হয়তো একদিন রাতের আঁধারে পালিয়ে দেশত্যাগই করতে হবে।
আসুন না,আমাদের ঈদের এই আনন্দ তাঁদের ঘরেও পৌঁছিয়ে দিতে চেষ্টা করি। আর সেই জন্য আপনাদের কাউকে আমার মতো ঈদ বর্জন না করলেও চলবে,তাই না? প্রিয় কমরেডগণ,আপনারা আমার সাথে একমত হবেন,যদি নিজেকে আগে মানুষ বলে পরিচয় দিতে চান, মুসলমান কিংবা হিন্দু হিসাবে নয়। খুব বেশি বলে ফেললাম না তো!
(লেখাটা উৎসর্গ করছি আমার ভাই শহীদ সাংবাদিক সাগর সারোয়ার,আমার বোন শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি এবং আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদসহ দেশে-বিদেশে সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তির উদ্দেশে। সবাইকে হাবিবুল্লাহ মিজানের লাল সালাম। মেহনতি মানুষের সংগ্রাম চলছে এবং চলবেই,ইনশাল্লাহ)
কেউ আমার বন্ধু হতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন