somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পেয়ারা

১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ছোট বেলা কেটেছে ময়মনসিং এ রেলওয়ে কলোনিতে। আমাদের বাসার ভিতরে উঠানে একটা পেয়ারা গাছ ছিল আর বাইরে বাগান এ ছিল একটা। গাছ ভর্তি হয়ে পেয়ারা ধরত। সুস্বাদু আর সবুজ আবরনের ভিতরে গোলাপি উজ্জ্বল রঙ এর জন্য কলোনির আসে পাশের সবাই আসত পেয়ারা নিতে। আমার মা ও দিতে কোন কার্পণ্য করতেন না। কারন এত পেয়ারা খাওয়ার কেও নাই। এই সুযোগ এ আমি ও পেয়ারার বদৌলতে পাঁশের বাড়ির খালাম্মাদের বাসা থেকে বিস্কুট, আর আঁচার নিয়ে আসতাম। আরও কিছু সুবিধা পেতাম। যেমন ক্রিকেট খেলার ওপেনিং ব্যাটস ম্যান,কার ও ক্রিম রোল এর মাথার অংশ , যেখানে বেশি ক্রিম থাকতো , আবার ১ ঘণ্টার জন্য কেও ছোট বাই সাইকেল ভাড়া করলে সেখানেও ভাগ বসাতাম। পেয়ারার স্বাদ থেকে তার এই সব উপরি কামাই এ বেশি মজা পেতাম। ক্লাস ৫ এ পরার সময় কলোনি ছেড়ে নিজেদের নতুন বাসায় চলে যাই। আশ্চারজ হলেও সত্যি আমার ছোট কাকা তখন একটা বিশাল গাছ মাটি সহ তুলে ঠেলা গাড়ি তে করে আমাদের নতুন বাসার উঠানে লাগিয়ে দেন। এত ধকল সহ্য করেও গাছ তা আবার পেয়ারা দিতে শুরু করে। ওখানে তখন কলোনির মত বেশি মানুষ ছিল না। তখন আমার মা বায়বীয় দরে এক ব্যবসায়ীর কাছে পেয়ারা বিক্রি শুরু করে। যেহেতু ঐ ব্যবসায়ির সাথে আমি ডিল করছি তাই আমিও আম্মার কাছ থেকে কিছু পারছেন্টেজ পেতাম।

এইভাবে চলল আর ও ৭-৮ বছর। ঐ গাছের পাশে আর ও ২,৩ টা গাছ বড় হয়ে গেছে। এইচ এস সি পাস করার পর চলে আসতে হল সিলেট মেডিকেল কলেজ এ। কিছু দিন পর আব্বার ও ট্রান্সফার হল সিলেট এ।আমাদের বাসা ভাড়া দেওয়া হল। অযত্নে অবহেলায় প্রিয় ৩ টা গাছ ই মারা যায়।

সিলেট এ কমলা, লেবুর পাশাপাশি রাস্তা ঘাটে প্রচুর পেয়ারা পাওয়া যায়।আমি সিলেট আসি ২০০৫ সালে। তারপর থেকে কোন দিন পেয়ারা খাই নি। কেন খাইনি জানিনা। শুধু তাই না, আমার আব্বা ও কোন দিন বাসায় পেয়ারা কিনে আনেনি। শুধু আমার আম্মা যখন রাস্তার পাশে ঝুড়ি ভর্তি পেয়ারা দেখে তখন বলে আমাদের গাছের পেয়ারার ভিতর টা কি সুন্দর লাল ছিল, তাই না??? আমি বলি " হুম "
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০


সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×