সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল পরকাশের পরে অনেক আওয়ামীলীগ কর্মী/সমর্থকদেরই বলতে দেখা যাচ্ছে মেয়র সাহেবরা এতো উন্নতি করলো এতো কাজ করলো তবুও তাদের এভাবে হারতে হলো। তাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের জনগন মুর্খ/নিমকহারাম।
আমি অন্য সিটি কর্পোরেশনর অবস্থান জানিনা, রাজশাহীর কথা বলতে পারি। রাজশাহীতে লিটন সাহেব যথেষ্ঠ ভালো কাজ করেছেন। তার মেয়াদে তিনি যা কাজ করেছেন আমার দৃষ্টিতে একজন মেয়র হিসেবে তিনি সফল। কিন্তু যেহেতু মেয়র নির্বাচনও অলিখিতভাবে রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচন, তাই দলের কৃত পাপের শাস্তি তাকে নিতে হলো। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত স্থানীয় সরকারদল সমর্থিত পত্রিকা সোনালী সংবাদ এবং সোনারদেশে একনাগাড়ে বুলবুলকে অযোগ্য, রাজাকারের সন্তান, দুর্ণীতিবাজ হিসেবে প্রমান করে গেছে। অথচ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেলো লিটন সাহেব তার নিজ কেন্দ্রেই হেরে গেছে।
এসএ টিভির নির্বাচনী সংলাপে জামায়াত-শিবির অংশ গ্রহনের অযুহাতে তিনি সংলাপ স্থান ত্যাগ করেন। স্থানীয় পত্রিকাগুলো বুলবুলকে রাজাকার সন্তান হিসেবে আখ্যায়িত করে। এরপরেও বুলবুলের নির্বাচন জয়ে লিটন-বুলবুলের কোলাকোলির ছবি ছাপিয়েছে প্রায় সকল পত্রিকা। রাজনীতি মানেই কি ডাবল স্টান্ডার্ড????
আমার কাছের এক বন্ধু, তার পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগ সমর্থক। গোড়া নয় কিন্তু বলা যায় আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক। সেই পরিবারের প্রায় সবাই বিএনপির বুলবুলকে ভোট দিয়েছে অন্যতম দুটি কারনে-
১. হেফাজতের হত্যাকান্ড
২. আওয়ামীলীগ স্থানীয় কিছু নেতাদের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট হয়ে
- বুলবুল রাজাকারের সন্তান এই ইস্যু ভোটে সামান্য ইফেক্ট ফেলে নাই।
- জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনের পরেও জনগন বুলবুলকেই ভোট দিয়েছে।
- বুলবুলকে হেফাজতের সমর্থন বুলবুলের ভোট বাড়ানো ছাড়া কমে নাই।
- হেফাজত ইস্যুতে সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট নন সাধারন ভোটারগন।
- জাগরন মঞ্চ সাধারন ভোটারদের মধ্যে নেগেটিভি ছাড়া কোন প্রকার পজিটিভ ইফেক্ট ফেলে নাই।
তাহলে কি বলতে হয় আওয়ামীলীগ সাধারন জনগনের মনের ভাষা বুঝতে অক্ষম, নাকি বাংলাদেশের জনগন মুর্খ ও নিমক হারাম??
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০২