আছে আলো, বাতাস ও শব্দের উপস্থিতি, ক্ষমতা নেই চোখ খুলে তাকানোর,ক্ষমতা নেই বুক ভরে নিঃশ্বাস নেবার যা আগে মন চাইলেই পারতাম....শুয়ে থাকলে কখনোই সোজা হয়ে থাকতাম না, এপাশ ওপাশ করতাম, হাত পা ছোড়াছুড়ির কারণে কেউ শুতেও চাইতো না আমার পাশে...আজও আমি শুয়ে আছি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বে নড়তে আমি অসহায়....আমাকে সারা শরীরে শুভ্র সাদা কাপড় মুড়ি দিয়ে শুয়ে রাখা হয়েছে শক্ত কোন স্থানে....পিঠে ব্যাথা লাগছে প্রচুর কিন্তু কি করবো ?....আতরের গন্ধে আমি পাগলপ্রায়.....কিছুক্ষন শুনলাম পরিচিত কন্ঠে ক্রন্দন...তার মধ্যে কিছু কান্না অতি আন্তরিক, বেশিরভাগই মায়াকান্না...কোন এক ফ্রেমে তুলে আমাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে......যাচ্ছি তো যাচ্ছি.....মন যেতেই চাচ্ছে না যেখানে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে....কিন্তু কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই, ক্ষমতা নেই বাঁধা দেবার....এক জায়গায় গিয়ে থামলাম....এখনো চলছো পরিচিত কন্ঠে ধীরে ধীরে স্ফীত হওয়া ক্রন্দন.....সবাই আমাকে ধরে উঠালো পরিবর্তন হলো কিছু হাতের.... অনেক গুলো হাতের নতুন স্পর্শ পেলাম......সেই নতুন হাতের ছোঁয়া আমাকে নিচে নামাতে থাকলো......হঠ্যাৎ করে মাধ্যাকর্ষন শক্তি অতি মাত্রায় অনুভূত হলো.....আমাকে শোয়ানে হলো খুব ঠান্ডা এবং ভোজা কোনো মাটিতে।বুঝলাম!...কিছুক্ষন শুয়ে রইলাম...কিন্তু অনুভব করলাম আস্তে আস্তে আলো, বাতাস ও শব্দের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে...একটা সময় চোখ বন্ধ আমি সাদা কাপড়ে ঢাকা সত্ত্বেও বুঝলাম আলো চলে যাচ্ছে....শব্দও আস্তে আস্তে স্ফীত হতে হতে শূন্য হচ্ছে....বাতাসের উপস্থিতি উধাও.....সকল নেটওয়ার্ক বাইরে হলাম আমি....অবসান হলো সকল সম্পর্ক এর....শেষ হলো জীবিত দশায় সকল প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি....সমাপ্তি ঘটল সকল প্রতিক্ষার....হারিয়ে গেলো হাসি কান্না.....মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে....ঐ যে আমার মায়ের হাসিমুথ খানা দেথেছি.....প্রবেশ করলাম অন্য এক অপরিচিত জগৎ এ.....এখন শুধু অপেক্ষা যেমনটি করেছি আমার ভালবাসার মানুষের জন্য ঐ পৃথিবী নামক এক গ্রহে .....একটু পরেই আসবে দুই পরীক্ষক....আমার মৌখিক পরীক্ষা নিবে.....তাদের প্রশ্নের জবাবের উপর নির্ভর করছে আমার নতুন ভবিষ্যৎ.....মা দোয়া করো....যেন উত্তর দিতে পারি....মা তুমিও না এই প্রশ্নের সম্মুথীন হবে/হয়েছো.....মা ভীষণ ভয় করছে মা....আমাকে তোমার বুকে জড়িয়ে ধরো.....
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন