somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতার জন্য এক জীবন

১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শোয়াইব জিবরান
কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন তাঁর জীবনের পুরোটাই ব্যয় করেছেন কবিতার পেছনে। পেশাগতভাবে তিনি ছিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কিন্তু এ পরিচয় তাঁর কাছে কখনই বড় ছিল বলে আমার কাছে মনে হয়নি। তিনি তা মনেও রাখতেন বলে মনে হত না। নব্বই দশকে আমরা যখন তাঁর সাথে আ্ড্ডা দিতে শুরু করি তিনি আমাদের মিশতেন বন্ধুর মতো। আমরা যে ছাত্র এটা মনেই রাখতেন না। অথচ তখনই তিনি পূর্ণ অধ্যাপক। কথাবার্তা এমন করে বলতেন যেন ইয়ার-দোস্ত। আমরা খুব আসকারা পেতাম। তাঁর প্রয়াণের পর এখন বুঝতে পারছি তিনি সারাক্ষণ থাকতেন কবিতাগ্রস্ত। আমরা তরুণ কবিরাই ছিলাম তাঁর সে কবিতাগ্রস্ততার সঙ্গী।
কাল যখন তাঁকে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আনা হলো চারিদিকে তাকিয়ে দেখি শেষ পর্যন্ত তাঁর শেষ যাত্রায় বিদায় জানাতে এসেছি ক’জন তরুণ কবিই। কোন মন্ত্রী আসেননি, এমপি,আমলা আসেননি।এসেছি শুধু কবিরা। সিনিয়র কবিদের মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক আর মুহাম্মদ নুরুল হুদাকে চোখে পড়ল। জানাযায় এক কাতারে দাঁডিয়েছি আমি, বন্ধু চঞ্চল আশরাফ, কবির হুমায়ুন, শামীমুল হক শামীম, শামীম রেজা এরকম আর বিশ পঁচিশ জন। অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। যদি কাল ওখানে আসতো একজন তৃতীয় শ্রেণির ঔপন্যাসিকের মরদেহ, বা দলবাজি করা কবির তাহলে শোকের হল্লা পড়ে যেত। মন্ত্রী এমপি, আমলারা আসতেন। খোন্দকার আশরাফ হোসেনের দোষ ছিল তিনি ভাল লিখতেন, রাজনৈতিক দলবাজী করতেন না। আর ভাল লেখার কদর এ রকমই এ পোড়ার দেশে। জানাযায় দাঁড়িয়ে চোখ ফেটে জল এলো।
যোগ্য কোন সম্মানই তিনি পাননি। না পুরস্কার না রাষ্ঠ্রীয় পদক। মরার মাস আগে পেশাগত তিনি যে পদ পেয়েছিলেন সেটি তাঁর কাম্য ছিল বলে আমার কাছে মনে হয়নি। কবি কেন ভিসি হতে যাবেন। তিনি কবিই হতে চেয়েছিলেন। জীবন বিনিয়োগ করেছিলেন কবিতার জন্য, শুধু কবিতার জন্য। এবং তিনি কবিই শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে। বিদায় প্রিয় কবি আশরাফ হোসেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×