কাঁদো বাংলা কাঁদো…
(১৫ আগস্ট,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি)
ডা.সুরাইয়া হেলেন
বাংলা,প্রতিদিন ভোরে তোমার সূর্যালোকের
সম্ভাষণে জেগে উঠে চোখ মেলে পৃথিবী দেখি আমি !
আজ তার ব্যতিক্রম !একটুও চমকাইনি আমি !
আজ যে ১৫ই আগস্ট,শেষ শ্রাবণের দিন !
আমি জানি,দু’চোখ ভরে আজ কাঁদছো তুমি !
আজ তোমার ভালোবাসা থমকে যাবার দিন,
আজ তোমার প্রিয়াকে ভুলে যাবার দিন,
আজ তোমার কাঁদবার দিন !
“কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো”!১২কোটি বাঙ্গালীর সাথে একাত্ম হয়ে
‘কাঁদো বাংলা কাঁদো’ তুমিও আজ !
আজ শেষ শ্রাবণের আকাশ কাঁদছে,কাঁদছে বাতাস,
কাঁদছে বাংলার গাছ-মাটি,ফুল-পাখি,পাহাড়-অরন্য,
নদী আর সমুদ্র কেঁদে কেঁদে হচ্ছে মহাসমুদ্র !
“যতদিন রবে পদ্মা,মেঘনা,গৌরী,যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবর রহমান !”
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা শুকিয়ে শীর্ণা,জেগে উঠছে চর,
তাই বুঝি এই শোকের মাসে শ্রাবণের আকাশ কেঁদে কেঁদে
আবার বহমান করে এই পদ্মা-মেঘনা-গৌরী-যমুনা ?
কবির কথার বিরোধিতা করে তবুও বলবো আমি,
‘যদি নাইবা রয় পদ্মা-মেঘনা-গৌরী-যমুনা বহমান
তবুও রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবর রহমান !’
বাংলা,তুমি বড় ভাগ্যবান দেশ,
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর জন্মস্থান,এই বাংলা !
মধুমতি আর বাইগা আজ দজলা-ফোরাত,
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বিশাল কারবালা প্রান্তর !
“হায় হোসেন,হায় হোসেন” ছাপিয়ে উঠছে,
“শোন একটি মুজিবরের থেকে,লক্ষ মুজিবরের ধ্বনি
প্রতিধ্বনি/আকাশে বাতাসে ওঠে রনি,বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ !”
“হায় মুজিব,……….হায় মুজিব,……………!”
আর কত,আর কতবার ফিরে ফিরে আসবে সীমার-এজিদ?
আর কত নিধনযজ্ঞে আত্মাহুতি দেবে হাজার বছরের শেষ্ঠ
মহামানবেরা,নক্ষত্রের পতন “শেখ মুজিব”….!
“কাঁদো বাংলা কাঁদো”,আজ কোটি বাঙ্গালীর সাথে
তোমারও যে কাঁদবার দিন !
আজ তোমার ভালোবাসা থমকে যাবার দিন,
আজ তোমার প্রিয়াকে ভুলে যাবার দিন !”