যেসকল শিক্ষিত,জ্ঞানী এবং বুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকগন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে মতামত/কমেন্ট দিচ্ছেন যে, ১২বছরের শিক্ষা জীবনকে মূল্যায়ন না করে ১ ঘন্টার ভর্তি পরীক্ষায় আসল মেধাবীদের খুজে বের করার কোনো উপায় হতে পারে না , তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ২টা পাবলিক পরীক্ষাকে (SSC & HSC) সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রেই সমানভাবে মুল্যায়ন করা হয়। সর্বোমোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা স্কোর নির্ণয় করা হয় যার মধ্যে ১০০ নম্বর থাকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য এবং অবশিষ্ট ১০০ নম্বর থাকে SSC & HSC এর ফলাফলের উপর।
হিসাবটা এরকমঃ
SSC GPA 5*8 ==40
HSC GPA 5*12==60
_____________________
Total ==100
Admission Test=100
______________________
Total ==200.
***আমাদের প্রশ্ন হলো ১২বছরের শিক্ষা জীবনকে সবার জন্য সমানভাবে কোথায় যথাযথ মুল্যায়ন করা হল না ????
কিছু প্রশ্নঃ
১)৬০ হাজারের উপরে এ প্লাস পাওয়া স্টুডেন্ট থেকে কিসের ভিত্তিতে আপনি ২৩০০ জন ছাত্র ছাত্রী নির্বাচন করবেন?? আবার যেখানে গত বছর যারা চান্স পায়নি তাদের নিয়ে সংখ্যাটা আরো বেশী। এই বিচারের মাপকাঠি কি??
২)৮০ পাওয়া আর ৯৯ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রী কি সমমানের??? তাদের গ্রেড কিন্তু এক।
৩)প্রতিটি শিক্ষাবোর্ডের খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি এক নয়। এখন একটি ট্রাডিশন চালু আছে বোর্ডে যেখানে প্রধান পরীক্ষকদের বোর্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় নাম্বার বাড়িয়ে দিতে। কারণ একটাই, প্রতিবছর এ প্লাস বাড়লে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার গলা ফাটাতে পারে। এখন আপনি এক্ষেত্রে মেধাবী যাচাই করবেন কিভাবে???
৪)যে কারণ দেখিয়ে ( কোচিং বাণিজ্য, প্রশ্ন ফাঁস ইত্যাদি) ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হলো সেই কারণ গুলোর জন্য যারা দায়ী তাদের নিবৃত না করে একটা পদ্ধতি বাতিল করে দেয়াটা কি যৌক্তিক??
৫) SSC and HSC বায়োলজি সাবজেক্ট সিংহভাগ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অত্যন্ত কম পড়ে, কম চর্চা করে। গৎবাধা প্রশ্ন আসে এবং সেগুলোই তারা মুখস্থ করে। এই রকম একটি সিনারিওতে পাব্লিক পরীক্ষা দিয়ে সব যাচাই বাছাই করা যাবে এটা চিন্তা করা হাস্যকর।