তুমি নিজে এমন বিভা ও দ্যুতি
দীপ্ত ও দ্যুতিময় হয়ে থাকো,
তুমি নিজে এমন বিদ্যুতপ্রভা ও ভাস্বর
অংশুমালা ও উদ্দীপন হয়ে থাকো,
তুমি আপনাআপনি ফুটে ওঠা--
রক্তপদ্ম ও স্বর্ণপুষ্প।
তুমি এই আকাশপ্রান্ত থেকে শুধু
সরাওনি কুড়ুলে মেঘ, পেজামেঘ
কোদালে মেঘ ও কুহেলিকা,
স্বচ্ছ আকাশে দীপ্রভাবে ফুটে তুলেছিলে--
তোমার বিমুগ্ধতা ছোঁয়ানো বাংলাদেশ,
যা দেখে আমরা দীপ্তমান হয়ে উঠেছিলাম।
হিমঝড়ের ভেতর কখনো জমে যাওনি
আঁধিঝড়ে-ঘূর্ণিবায়ুতে তোমার চোখ বন্ধ হয়নি
সূচিভেদ্য অন্ধকার ও কৃষ্ণতিথিতেও তুমি ছিলে
আমাদের চন্দ্রপ্রভা।
...
তোমার কণ্ঠস্বর এখনো ঝমঝম করে ওঠে
তোমার সেই ডাক এখনো গুরুম গুরুম করে বাজে
তোমার সেই চিরচেনা তর্জনী দেখলে
এখনো শোষক-লুণ্ঠনকারী-সাম্রাজ্যবাদীরা
দুরু দুরু বুকে কাঁপতে কাঁপতে
ভূকম্পনের মধ্যে পড়ে যায়।
তোমার পদশব্দে নিঃশব্দতা ভাঙে
নিঝুমতা ভাঙে
নীরবতা ভাঙে।
তোমার অভ্রভেদী উচ্চতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে
তোমার গগনস্পর্শী স্পর্ধায়
তোমার পায়ে-হাঁটা পথে হেঁটে হেঁটে
দ্বিধাহীন অবিচল থেকে
তোমার হৃদয়কন্দর থেকে স্বভাবপ্রেরণা নিয়ে
দেশপ্রেম নিয়ে--
পশ্চাৎপসারণ করতে চাই না আমরা
ভিক্ষাবৃত্তি-ঋণজাল নিয়ে সার্বভৌমতা হারাতে চাই না আমরা
শত্রুর কাছে আত্মসমর্পন করতে চাই না আমরা ।