somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন ফর্মূলা বিশ্ববাসিকে রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবনের সন্ধান দিবে

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, মানুষের দেহকে জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষমুক্ত করে রোগমুক্ত করার চেষ্টায় চিকিৎসা বিজ্ঞান সফল হতে পারে নি। মানুষের দেহে অস
অসংখ্য রোগের কারণ কিন্তু মূলতঃ একটি, আর তা হচ্ছে নানাবিধ জীবাণু এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগবিষ, যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এ্যান্টিজেন। জীবাণু এবং ভাইরাসকে ওষুধের সাহায্যে মারা যায় কিন্তু তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগবিষকে মারা যায় না কারণ তাদের কোন প্রাণ নেই। অথচ তারা দেহকে বিষাক্ত করে রোগ সৃষ্টি করে থাকে।
এদেরকে ধ্বংস করতে পারে একমাত্র একদল অতিসূক্ষ্ম সৈন্যবাহিনী যাদের নাম এ্যান্টিবডি। তাহলে আমরা জানলাম যে, এ্যান্টিজেনকে ধ্বংস করতে হলে চাই এমন এক মারণাস্ত্র যা দেহের গভীর থেকে খুঁজে বের করতে পারে সেই সকল শত্রম্নকে যারা দেহের অসংখ্য উপকারী বস্তুর সঙ্গে বন্ধুর ছদ্মবেশে লুকিয়ে থেকে ক্রমাগত ৰতি করে যাচ্ছে।
বাইরের জগতে গোয়েন্দা বাহিনী যেমন অসংখ্য দেশপ্রেমিক মানুষের মাঝ থেকে একজন সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করে দেশকে রক্ষা করে, ঠিক তেমনি দেহকে রক্ষা করে এ্যান্টিবডি নামের রক্ষী বাহিনী। এ কাজটি যত সহজ মনে হচ্ছে, আসলে কিন্তু তত সহজ নয়। জীবাণু এবং ভাইরাসেরা যেমন অসংখ্য, তেমনি দেহের উপকারী উপাদানও অসংখ্য। এদের মাঝ থেকে সঠিকভাবে প্রকৃত শত্রুকে খুঁজে বের করা খুবই কঠিন কাজ। একটু ভুল করে যদি শত্রুর বদলে উপকারী বন্ধুকে আঘাত করা হয় তাহলে মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এমনটি ঘটছে অসংখ্য রোগের বেলায় যার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ডায়াবিটিস, বন্ধাত্ব, সন্ধিবাত, এস.এল.ই, সোরাইসিস, ইত্যাদি। যার বিস্তারিত বিবরণ আমরা পরে দেব।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য এমন সব অস্ত্র আবিষ্কার করেছেন যেগুলো বাছাই করে শুধু শত্রুকে ধ্বংস করতে পারে না। ঐসকল অস্ত্র দ্বারা শত্রুকে ধ্বংস করতে গিয়ে উপকারী উপাদানগুলোকেও ধ্বংস করা হয়। ঠিক যেমনটি করে থাকে একটি সৈন্যবাহিনী, যারা আকাশ পথে বোমা বর্ষণ করে শত্রু মিত্র বিচার না করে নিরিহ দেশবাসিকে ধ্বংস করে থাকে। এন্টিবায়োটিক, কেমোথেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি হচ্ছে এমনি সব মারণাস্ত্র।
বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অনেক সাধনা করেও এমন কোন ওষুধ আবিষ্কার করতে পারছেন না যার দ্বারা দেহের অতিসূক্ষ্ম রক্ষীবাহিনীকে বাইরে থেকে পরিচালিত করে শুধুমাত্র অতিসূক্ষ্ম শত্রুবাহিনীকে ধ্বংস করা সম্ভব।
বাংলাদেশী একজন গবেষক দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ গবেষণা করে এর একটি সমাধান খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রচলিত প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভেষজ উপাদান থেকে তিনি এমন কিছু ভেষজকে খুজে বের করেছেন যেগুলো আমাদের দেহের শ্বেতকণিকাগুলোকে উত্তেজিত করে সঠিক ধরনের এ্যান্টিবডি তৈরী করাতে পারে, যেসব এ্যান্টিবডি দেহের উপকারী উপাদানের ক্ষতি না করে কেবলমাত্র ক্ষতিকর এ্যান্টিজেনগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে ইমিউনোমডুলেশন বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ।
এই নব আবিষ্কৃত পদ্ধতির দ্বারা বিগত প্রায় ২৫ বছরে এমন সব রোগীকে আরোগ্য করা সম্ভব হয়েছে যা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিকট অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে । কিন্তু বাংলাদেশী যেসব পর্যবেক্ষক কাছে থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছেন, তারা এই পদ্ধতির সত্যতাকে উপলব্ধি করতে পারছেন। রোগ যতই জটিল নামধারী হোক না কেন, দেহকে বিষমুক্ত করতে পারলে অতি সহজেই রোগমুক্ত করা সম্ভব। যেদিন এই নব আবিষ্কৃত পদ্ধতি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে, সেদিন চিকিৎসা বিজ্ঞানের বর্তমানে প্রচলিত ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার থেমে যাবে এবং চিকিৎসা ও চিকিৎসা গবেষণার নামে ব্যাপক অর্থের অপচয় এবং প্রাণহানী থেকে মানবজাতি রক্ষা পাবে ।এর দ্বারা বাংলাদেশ বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবে । এটা কোন সাইন্স ফিকশনের কল্প কাহিনী নয়





২০০১ সালে বিটিভিতে গবেষণালব্ধ বিষয়টি উপস্থাপন করছেন ডাঃ এস এন রশীদ


Dr. S N Rashid MD (AM)
Contact: 01199119704
website: http://www.homeomodulation.com
Email:[email protected]
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×