সম্প্রতি সরকার সরকারি চাকরির থেকে অবসর নেওয়ার বয়স সীমা ৫৮ থেকে বাড়িয়ে ৬০ বছর করেছে। অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়েছে। ২ ও ৫ বছর বৃদ্ধি করার দরুণ এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক বেশ কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। একদিকে যেমন দেশের বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে সরকার অর্থনেতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বৈষম্য ও ভারসম্যহনিতায় তরূণ প্রজন্ম নিরব রোষানলে জ্বলবে । একদিন হয়তো বা পুঞ্জিবিত ক্ষোভ নিয়ে রাজপথে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করতে কুণ্ঠাবোধ করবে না। প্রতি বছর সারা দেশে পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪ থেকে ৫ লক্ষ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা সম্পূন্ন করে চাকরির জন্য প্রার্থী হয় । দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও তীব্র সেশন জটের কারণে এসব শিক্ষার্থীর মার্স্টাস কমপ্লিট করতে বয়স ২৭ থেকে ২৮ হয়ে যায়। তখন পারিবারিক ও মানসিক চাপে হিমশিম খেয়ে অবশিষ্ট ২ বছরে তারা খুব একটা ভালো কিছু করতে পারে না। অনেকের জীবন অর্থহীন হয়ে যায়। অনেকে হতাশ হয়ে নেশাগ্রস্থ কিংবা সন্ত্রাস হয়ে যায় । সমাজে তখন অসামাজিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পায় । অবশ্য সরকার এ ব্যাপারে সু-বিচক্ষণ নজর দিলে এই সমস্যা অনেকাংশ লাঘব করা সম্ভব হবে বলে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থী মনে করেন।
তাই তরূণ প্রজন্মের বর্তমান সরকারে প্রতি হৃদয়ের আহবান অতি সত্বর যেন সরকারি চাকরিতে যোগদানের বয়স সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয় ।