somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিডিয়ার বিস্তৃতি

১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া-জগতে ব্যাপক উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের স¦াধীনতা পর্যবেক্ষণণ করলে প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান সময়টা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। একটি উন্নত গণতান্ত্রিক সমাজে মিডিয়ার অবাধ প্রবাহ যতটা কাংক্ষিত, বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে ততটা পুরোপুরিই বহমান রয়েছে। বাক স্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা মিডিয়ার ক্ষেত্রে সরকার নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমের কৌশলগত ব্যবহার ‘মিডিয়া অ্যাডভোকেসি’-তে বাংলাদেশ কোন অংশেই পিছিয়ে নেই।

সংবাদপত্র, রেডিও ও টিভ চ্যানেল- এ ৩টি বাংলাদেশের প্রধান মিডিয়া। সংবিধানের প্রদত্ত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহেমর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃংখলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থ, আদালত অবমাননা, মানহানি বা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে উক্ত ৩টি মিডিয়াই বর্তমানে সর্বাধিক প্রচারের স্বাধীনতা ভোগ করছে। একই সাথে মিডিয়াগুলোর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেদেশও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটায় ই-অ্যাডভোকেসি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ই-অ্যাডভোকেসিতে তথ্য প্রযুক্তির সফল ও স্বার্থক প্রয়োগ ঘটানোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। ইন্টারনেট, ই-মেইল, ওয়েবসাইট, ফেসবুক ইত্যাদির বহুমাত্রিক প্রয়োগ ঘটছে। চালু হয়েছে ‘ওয়েভ কনফারেন্সিং’ বা ভিডিও কনফারেন্স।

আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করে জনমতের ওপর। বিভিন্ন ভাব ও মতের বিনিময়ের মধ্য দিয়ে প্রকৃত জনমত প্রকাশ পায়। সাংবাদিকরা সেক্ষেত্রে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বররূপে বিবেচিত হন। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিদিন যা প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়, তা সমাজের ও রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকান্ডের প্রতিচ্ছবি। তাই মিডিয়াগুলো কেবল তথ্যজগতের প্রতিনিধিত্বই করে না, সমাজ গঠনেও বিরাট অবদান রাখে। সরকার এক্ষেত্রে মিডিয়ার বিকাশে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করছেন।

সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরাই মিডিয়াগুলোর কাজ। আজকাল সত্য ঘটনা ও মতামত পরিচ্ছন্নভাবেই মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত হয়। রাজনৈতিক বলয়ে গড়ে ওঠা কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়াও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে কিছু দলীয় মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত পত্রিকায় দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকায় অনেক সময় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদনাদি প্রকাশিত হয়।

সরকারের ভালো কাজ, জাতি গঠনমূলক পদক্ষেপসমূহ, উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়গুলো অধিকাংশ সময় মিডিয়ায় কভারেজ পায় না। অপরদিকে সরকারের সমালোচনা, ভুলত্র“টি ও নেতিবাচক বিষয়াদি মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রচার করতে অভ্যস্থ। বিভিন্ন টক শো, আলোচনা ও উপস্থাপনায় তীর্যকভাবে বর্তমান সরকারের প্রতি আক্রমণাত্মক ভাব প্রকাশ পায়। এসব ক্ষেত্রে সরকারের উদার মনোভাব লক্ষণীয়। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হওয়া সত্ত্বেও সহনশীল মনোভাব প্রদর্শন করে সরকার মিডিয়ার অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার পক্ষে কাজ করছেন। মিডিয়া জগতে আজ শতফুল ফোটার যে আয়োজন, সেটা বর্তমান সরকারের উদার মনোভাবেরই ফসল।

প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার পাঠক ও দর্শকদের রুচিবোধেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কোন একটি চ্যানেল যা খুশি তাই প্রচার করবে এবং দর্শক নির্দ্বিধায় তা উপভোগ করবেন এমন ব্যাপার এখন আর নেই। যে চ্যানেলটি দর্শকের অপছন্দ হবে, সঙ্গে সঙ্গে বোতাম টিপে দর্শক অন্য চ্যানেলে চলে গিয়ে মনের খোরাক যোগাবে। এখানে প্রতিযোগিতায় যারা ভালো করছেন, তারাই দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা লাভ করছেন এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। সংবাদ পরিবেশন, টক শো ইত্যাদির ক্ষেত্রেও যে চ্যানেলটি দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছে, সেই চ্যানেলটি এগিয়ে যাচ্ছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বাংলাদেশ টিভি চ্যানেল ছিলো ১২টি- এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই, একুশে টিভি, দেশ টিভি, এনটিভি, বৈশাখি টিভি, আরটিভি, বাংলাভিশন, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড। বর্তমানে চ্যানেল সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিটিভি এখন জাতীয় সংসদের অধিবেশন সম্প্রচারের জন্য আলাদা চ্যানেল চালু করছে। এক সময় বেসরকারি রেডিও চ্যানেল ছিলোই না। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি রেডিও সার্ভিস চালু হয়েছে।

বর্তমানে সরকারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি রেডিও চালু। এডুকেশন, ইনফরমেশন, ডেভেলপমেন্ট , মোটিভেশন ও স্থানীয় বিনোদন-এই ৫টি বিষয়ের উপর কমিউনিটি রেডিও গ্রামীন জনগণকে সেবাদান করছে। এ পর্যন্ত ১৪টি কমিউনিটি রেডিওকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং ২২টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা যায়। অনুমোদিত কমিউনিটি রেডিওগুলো হচ্ছে- পদ্মা (রাজশাহী), নলতা (সাতক্ষীরা), লোক বেতার (বরগুনা), পল−ীকন্ঠ (মৌলভী বাজার), সাগরগিরি (সীতাকুন্ডু), মহামন্দা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), মুক্তি (বগুড়া), চিলমারি (কুড়িগ্রাম), ঝিনুক (ঝিনাইদহ), কৃষি (আমতলি, বরগুনা), বরেন্দ্র (নওগাঁ), নাফ (টেকনাফ), সুন্দরবন (কয়রা, খুলনা) এবং বিক্রমপুর (মুন্সিগঞ্জ)। উক্ত ১৪টি কমিউিনিটি রেডিও সাথে প্রায় সাড়ে পাঁচশত যুবক-যুবতী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সচেতনতা জাগ্রত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল তথ্যসেবার জন্য কমিউনিটি টিভি চ্যানেল চালু করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানা যায়।

এক সময় হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র রুচিশীল দৈনিক পত্রিকা বিদ্যমান ছিলো। বর্তমানে পত্রিকা জগতেও বিপ−ব সাধিত হয়েছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যে পাঠকের রুচি অনুযায়ী প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে তথ্যাদি, গেট-আপ, মেক-আপ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিদিন নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের যে উপযোজন লক্ষ্য করা যায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে তো বটেই অনেক উন্নত দেশকেও বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে। এমন কোন জেলা সদর নেই যেখান থেকে ২/৪টি দৈনিক পত্রিকা বের হয় না। কোথাও কোথাও উপজেলা থেকেও দৈনিক পত্রিকা বের হওয়ার নজির রয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে অসংখ্য সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। অন-লাইন পত্রিকার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা না থাকায় অপপ্রচারের কাজে এগুলো ব্যবহার হচ্ছে বেশি।
বর্তমান মহাজেট সরকারের শাসনামলে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া-জগতে ব্যাপক উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের স¦াধীনতা পর্যবেক্ষণণ করলে প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান সময়টা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। একটি উন্নত গণতান্ত্রিক সমাজে মিডিয়ার অবাধ প্রবাহ যতটা কাংক্ষিত, বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে ততটা পুরোপুরিই বহমান রয়েছে। বাক স্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা মিডিয়ার ক্ষেত্রে সরকার নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমের কৌশলগত ব্যবহার ‘মিডিয়া অ্যাডভোকেসি’-তে বাংলাদেশ কোন অংশেই পিছিয়ে নেই।

সংবাদপত্র, রেডিও ও টিভ চ্যানেল- এ ৩টি বাংলাদেশের প্রধান মিডিয়া। সংবিধানের প্রদত্ত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহেমর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃংখলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থ, আদালত অবমাননা, মানহানি বা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে উক্ত ৩টি মিডিয়াই বর্তমানে সর্বাধিক প্রচারের স্বাধীনতা ভোগ করছে। একই সাথে মিডিয়াগুলোর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেদেশও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটায় ই-অ্যাডভোকেসি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ই-অ্যাডভোকেসিতে তথ্য প্রযুক্তির সফল ও স্বার্থক প্রয়োগ ঘটানোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। ইন্টারনেট, ই-মেইল, ওয়েবসাইট, ফেসবুক ইত্যাদির বহুমাত্রিক প্রয়োগ ঘটছে। চালু হয়েছে ‘ওয়েভ কনফারেন্সিং’ বা ভিডিও কনফারেন্স।

আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করে জনমতের ওপর। বিভিন্ন ভাব ও মতের বিনিময়ের মধ্য দিয়ে প্রকৃত জনমত প্রকাশ পায়। সাংবাদিকরা সেক্ষেত্রে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বররূপে বিবেচিত হন। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিদিন যা প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়, তা সমাজের ও রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকান্ডের প্রতিচ্ছবি। তাই মিডিয়াগুলো কেবল তথ্যজগতের প্রতিনিধিত্বই করে না, সমাজ গঠনেও বিরাট অবদান রাখে। সরকার এক্ষেত্রে মিডিয়ার বিকাশে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করছেন।

সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরাই মিডিয়াগুলোর কাজ। আজকাল সত্য ঘটনা ও মতামত পরিচ্ছন্নভাবেই মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত হয়। রাজনৈতিক বলয়ে গড়ে ওঠা কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়াও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে কিছু দলীয় মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত পত্রিকায় দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকায় অনেক সময় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদনাদি প্রকাশিত হয়।

সরকারের ভালো কাজ, জাতি গঠনমূলক পদক্ষেপসমূহ, উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়গুলো অধিকাংশ সময় মিডিয়ায় কভারেজ পায় না। অপরদিকে সরকারের সমালোচনা, ভুলত্র“টি ও নেতিবাচক বিষয়াদি মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রচার করতে অভ্যস্থ। বিভিন্ন টক শো, আলোচনা ও উপস্থাপনায় তীর্যকভাবে বর্তমান সরকারের প্রতি আক্রমণাত্মক ভাব প্রকাশ পায়। এসব ক্ষেত্রে সরকারের উদার মনোভাব লক্ষণীয়। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হওয়া সত্ত্বেও সহনশীল মনোভাব প্রদর্শন করে সরকার মিডিয়ার অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার পক্ষে কাজ করছেন। মিডিয়া জগতে আজ শতফুল ফোটার যে আয়োজন, সেটা বর্তমান সরকারের উদার মনোভাবেরই ফসল।

প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার পাঠক ও দর্শকদের রুচিবোধেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কোন একটি চ্যানেল যা খুশি তাই প্রচার করবে এবং দর্শক নির্দ্বিধায় তা উপভোগ করবেন এমন ব্যাপার এখন আর নেই। যে চ্যানেলটি দর্শকের অপছন্দ হবে, সঙ্গে সঙ্গে বোতাম টিপে দর্শক অন্য চ্যানেলে চলে গিয়ে মনের খোরাক যোগাবে। এখানে প্রতিযোগিতায় যারা ভালো করছেন, তারাই দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা লাভ করছেন এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। সংবাদ পরিবেশন, টক শো ইত্যাদির ক্ষেত্রেও যে চ্যানেলটি দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছে, সেই চ্যানেলটি এগিয়ে যাচ্ছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বাংলাদেশ টিভি চ্যানেল ছিলো ১২টি- এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই, একুশে টিভি, দেশ টিভি, এনটিভি, বৈশাখি টিভি, আরটিভি, বাংলাভিশন, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড। বর্তমানে চ্যানেল সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিটিভি এখন জাতীয় সংসদের অধিবেশন সম্প্রচারের জন্য আলাদা চ্যানেল চালু করছে। এক সময় বেসরকারি রেডিও চ্যানেল ছিলোই না। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি রেডিও সার্ভিস চালু হয়েছে।

বর্তমানে সরকারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি রেডিও চালু। এডুকেশন, ইনফরমেশন, ডেভেলপমেন্ট , মোটিভেশন ও স্থানীয় বিনোদন-এই ৫টি বিষয়ের উপর কমিউনিটি রেডিও গ্রামীন জনগণকে সেবাদান করছে। এ পর্যন্ত ১৪টি কমিউনিটি রেডিওকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং ২২টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা যায়। অনুমোদিত কমিউনিটি রেডিওগুলো হচ্ছে- পদ্মা (রাজশাহী), নলতা (সাতক্ষীরা), লোক বেতার (বরগুনা), পল−ীকন্ঠ (মৌলভী বাজার), সাগরগিরি (সীতাকুন্ডু), মহামন্দা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), মুক্তি (বগুড়া), চিলমারি (কুড়িগ্রাম), ঝিনুক (ঝিনাইদহ), কৃষি (আমতলি, বরগুনা), বরেন্দ্র (নওগাঁ), নাফ (টেকনাফ), সুন্দরবন (কয়রা, খুলনা) এবং বিক্রমপুর (মুন্সিগঞ্জ)। উক্ত ১৪টি কমিউিনিটি রেডিও সাথে প্রায় সাড়ে পাঁচশত যুবক-যুবতী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সচেতনতা জাগ্রত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল তথ্যসেবার জন্য কমিউনিটি টিভি চ্যানেল চালু করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানা যায়।

এক সময় হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র রুচিশীল দৈনিক পত্রিকা বিদ্যমান ছিলো। বর্তমানে পত্রিকা জগতেও বিপ−ব সাধিত হয়েছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যে পাঠকের রুচি অনুযায়ী প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে তথ্যাদি, গেট-আপ, মেক-আপ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিদিন নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের যে উপযোজন লক্ষ্য করা যায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে তো বটেই অনেক উন্নত দেশকেও বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে। এমন কোন জেলা সদর নেই যেখান থেকে ২/৪টি দৈনিক পত্রিকা বের হয় না। কোথাও কোথাও উপজেলা থেকেও দৈনিক পত্রিকা বের হওয়ার নজির রয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে অসংখ্য সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। অন-লাইন পত্রিকার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা না থাকায় অপপ্রচারের কাজে এগুলো ব্যবহার হচ্ছে বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কোথায় বেনজির ????????

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫




গত ৪ মে সপরিবারে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে। গত ২৬ মে তার পরিবারের সকল স্থাবর সম্পদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×