আজ আমি চলে যাব বাঁশ বাগানের সেই গহীন অরণ্যের পথ হেঁটে হেঁটে
তোমার দেয়া ভালোবাসার বাঁশের কঞ্চিগুলো আমায় পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে
কোন এক না ফেরার দেশে, জলে ভাসা সিঞ্চিত নয়নে
একা এক ভুবন গড়ে তুলব সেথা তোমার সব ভালোবাসার স্মৃতিগুলো মনে গেঁথে।
তুমি হয়তো এ-ভুবনে কোথাও বসে খিলখিল হাসিতে তরঙ্গ তুলবে
তোমার উদ্ভিন্ন যৌবনের বাঁকা দেহ-বল্লবের গর্বিত মহিমায়
হচ্ছে আজ চারিদিক ঝংকৃত মথিত একাকার;
তির্যক চাঁদের জ্যোৎস্না এসে হেলে পড়ছে তোমার বুকের খাঁজে
নামকরা চিত্রকরের তুলির স্পর্শে অঙ্কিত তোমার বাঁকা দেহের নগ্ন ছবি
শোভা বাড়াবে হয়তো ঝুলন্ত হয়ে আলিয়াস ফ্রান্সিসের দামী দেয়ালে;
নূপুরের নিক্কণে নেচে যাচ্ছ আজ তুমি বৃষ্টির তালে তালে
কারো চন্দ্রমল্লিকার বাগানে ফুল ফোঁটাতে ফোঁটাতে
বিরহী গন্ধে ভর উঠছে আমার আকাশ বাতাস
ঈর্ষার আগুনে পুরে পুরে আমি হেঁটে চলে যাচ্ছি
ওই বাঁশ বাগানের আরো অনেক গভীরে,
বাসা বাধবো শেষ প্রান্তের দিকে কোন এক গহ্বর খুঁজে নিয়ে
আমি সেখানেই অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকব তোমার জন্য আজ থেকে।
তোমার দেহের তপ্ত যৌবনের আগুনের হলকা কমে এলে
সবাই একদিন সরে যাবে দূরে তোমা থেকে একে একে
দ্বিধাহীন মনে তুমি সেদিন চলে এসো আমার বাঁশ বাগানের গহ্বরের ঘরে
সেদিনও আমি থাকব সেথা তোমার অপেক্ষায় বসে একই ভাবে ভালোবেসে
আমাদের দেখা হবার দিন থেকে যেভাবে ভালবেসেছিলেম তোমাকে।