somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির।

০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহাকাশে এমন কিছু খ-বস্তু আছে যার থেকে বিভিন্ন প্রকার রশ্নি নির্গত হয়,কিন্তু এই রশ্নিগুলো কখনই পৃথিবীর বায়ূমন্ডল ভেদ করে পৃথিবী পৃস্টে পৌছাতে পারে না।পৃথিবীর বায়ূমন্ডল এই রশ্নিগুলোকে শুষে নেয় যেমন গামা-রশ্নি এক্স-রশ্নি ইত্যাদি।এর ফলে এই বস্তু গুলির অনেক খবর বিঞ্জানীদের কাছে অজানা থেকে যেত।আর এদের নানা তথ্য জানার জন্য বিঞ্জানীরা মহাকাশে এই রশ্নি শনাক্ত করার জন্য,অত্যাধূনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহন করে।
এর অংশ হিসাবে বিঞ্জানীরা একটি উপগ্রহ পাঠায়।এবং এর নাম দেয় চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির (এই নামকরন করা হয় নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত জ্যোতিপদার্থ বিঞ্জানী এস চন্দ্রশেখরের নামে)।

একটু পিছনে ফিরে যায়।নাসার একটি বিষেশ প্রকল্পের অধীনে চার রকমের চারটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়।এর প্রথমটি হলো হাবল দূরবীন,এর পরেরটি কম্পোটন গামা-রশ্নি মানমন্দির(এটি 1991 সালে মহাকাশে পাঠানো হয়),চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির হলো
তৃতীয়,আর শেষেরটি হলো স্পিটজার মহাকাশ দূরবীন। এর মধ্যে কম্পোটন গামা-রশ্নি মানমন্দিরের মিশন 2000 সালে শেষ হয়ে যায়।বাকী তিনটি বর্তমানে কাজ করে চলছে।
1976 সালে Riccardo Giacconi এবং Harvey Tananbaum নামের দু’জন বিঞ্জানী প্রথম নাসাকে এই মানমন্দির তৈরীর প্রস্তাব দেয়।তখন এর নাম চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির ছিল না,এর নাম ছিল (AXAF)।এই বিঞ্জানী দুজন মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে (MSFC) এবং স্মিথসোনিয়ান জ্যোতিঃপদার্থ মানমন্দিরে এই উপগ্রহটি তৈরীর প্রাথমিক কিছু কাজ করে রেখেছিল।কিন্তু নাসা এই প্রস্তাবে তখন কোন সাড়া না দিয়ে 1978 সালে মহাকাশে প্রথম ইমেজিং এক্স-রে দূরবীন স্থাপন করে,এর নাম ছিল আইনস্টাইন (HEAO-2)।এর পড়ে 1980 সালে নাসা চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির তৈরীর প্রকল্প হাতে নেয়।
নেয়।কিন্তু এই মানমন্দির তৈরীর খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছিল,এর ফলে নাসা 1992 সালে এই মানমন্দিরের খরচ কমানোর জন্য এর নকশা এবং আরো কিছু যন্ত্রপাতি যেমন এর 12 টি আয়নার মধ্যে থেকে 4 টি আয়না সরিয়ে ফেলা হয়।ছয়টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মধ্যে থেকে দুইটি যন্ত্র সরিয়ে ফেলা হয়।এছাড়াও এই মানমন্দিরের কক্ষপথও পরিবর্তন করা হয়।(বর্তমানে এর কক্ষপথ মহাকাশে পৃথিবীকে কেন্দ্র বিশাল একটি অদৃশ্য বলয় আছে,এই বলয়ের নাম ভ্যান হেলেন বলয়।সূর্য থেকে আসা আধান যূক্ত কনিকা গুলো যখন পৃথিবীর বায়ূমন্ডলে আসে,তখন পৃথিবীর দুই মেরুর চৌম্বক এই কনা গুলোকে আটকে ফেলে।তখন এই কনিকা গুলো দুই মেরুর চৌম্বককে বেস্টন করে মহাকাশে বিশাল এক বলয়ের সৃস্টি করে চন্দ্র এক্স-রে মানমদিরের কক্ষপথ এই বলয়ের উপরে অবস্থিত।
এখানে উল্লেখ্য মহাকাশে সব কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথ এই বলয়ের উপর অবস্থিত।কারন এই বলয়ের মধ্যে যদি কোন উপগ্রহ ঢুকে পড়ে তখন এখানকার আধান যূক্ত কনিকা গুলো উপগ্রহকে নস্ট করে দেবে)। এই পরিবর্তনের ফলে দুইটি সূবিধা পাওয়া যায় খরচ কমার সাথে সাথে যদি কখনো এই মানমন্দিরে সম্যসা দেখা দেয় তাহলে মহাকাশযান পাঠিয়ে একে কম সময়ে ও কম খরচে মেরামত করা যাবে।

1989 সালে AXAF নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির।এই মানমন্দিরের বেশীর ভাগ অংশ তৈরী করে Northrop Grumman কোম্পানী।একে তৈরী করার পড়ে 1999 সালের 23 শে জুলাই মহাকাশযান কলম্বিয়ার সাহায্যে (মিশন নাম্বার STS-93) কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
মহাকাশে পাঠানোর সময় চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির এবং মহাকাশযান কলম্বিয়ার ওজন দাড়ায় 22753 কেজি এর মধ্যে মানমন্দিরের ওজন 4,790 কেজি (10,600 পাউন্ড) এর আগে এত বেশী ওজন নিয়ে কোন মহাকাশ যান মহাকাশে যায়নি।

চলবে..........................

গুগল।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দিশ হারা

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২

তোয়াত্তন আ`‌রে কেন লা‌গে?
গম লা‌গে না হম লা‌গে?
রাই‌ক্কো আ‌রে হোন ভা‌গে
ফেট ফু‌রে না রাগ জা‌গে?

তোয়া‌রে আত্তন গম লা‌গে
ছটফড়াই আর ডর জাগে
ছেত গরি হইলজা ফাড়ি
হইবানি হোন মর আগে।

হোন হতার হোন ইশারা
ন'বুঝি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

খাদ্য পন্যের মান নিয়ন্ত্রন

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

মশলা প্রস্তুতকারী কিছু ভারতীয় সংস্থার মশলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়া গিয়েছে।সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সেন্টার ফর ফুড সেফটি’। সংস্থা জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারে জনপ্রিয় বেশ কিছু সংস্থার মশলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট: বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন

লিখেছেন করুণাধারা, ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন! view this link

সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে কয়েকজন ব্লগার আলাদা হয়ে শুরু করেছিলেন সচলায়তন বা সংক্ষেপে সচল ব্লগ। এটি বন্ধ হবার মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি:

১)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×