মনে করো, সেইদিন বিকেলে
খুজতে বেড়িয়েছি, আমার সেই আমিকে,
ধর, চারটি বছর পেরিয়ে গেছে সেই কবেই;
রাস্তার ধারের কৃষ্ণচূড়া গুলো আর মোটেই ছোট নেই
যেন আকাশকে আগলে রাখছে,
কিছুতেই দেখতে দিবে না, অনেক অভিমান।
চায়ের দোকানের মতিনকেও পাওয়া গেল না;
আমি হাঁটছি, বুকের ভিতর চাঁপা আবেগ নিয়ে এগুচ্ছি;
দরজার ধারে তুমি কি অধীর অপেক্ষায়?
আমায় দেখে চিৎকার কাটবে “তুমি এসেছ? এসো!”
কিম্বা পরম আবেগ নিয়ে আলিঙ্গন করে,
বুকের উপর মৃদু আঘাত করবে “ এত দিন কই ছিলে!”
সেই বাদাম গাছটার কথা তোমার মনে আছে?
ঐযে প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়ে
একদিন সে ছুঁয়েই ফেলল জানালাটাকে;
এরপর সকালের দুষ্ট রোদটাকে আড়াল করত।
তুমি যখন থাকতে না আমি ওর সাথে কথা বলতাম,
তোমার নামে নালিশ ও করতাম!
আচ্ছা, আমায় কি ও আজ চিনতে পারবে?
আমাদের লেকটার ছিল অসাধারণ,
সন্ধ্যার সূর্যের শেষ আভা বর্ণীল রাঙ্গিয়ে দিতো ওর জলকে,
আর প্রতিজ্ঞা করে যেত আর একটি নতুন সকালের।
আমি হাঁটছি, ভাবছিন,চলছে অতীতের রুপালী পুনঃচলন ।
(বসুন্ধরা, ঢাকা)