somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার শোনা কয়েকটি ভৌতিক ঘটনা-২

০৮ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার শোনা ভৌতিক ঘটনা-১

এবারে দ্বিতীয় ঘটনাটি লিখছি।
এই ঘটনা আমার বড় মামার জীবনে ঘটা। ঘটনাটি লিখবার আগে মামার একটা পরিচয় দিয়ে নেই। মামা পেশায় মাস্টার মেরিনার ( মেরিন একাডেমী হতে পাস করে যারা জাহাজের ক্যাপ্টেন হয়, ওনার কাজও তাই, তবে এই পোস্ট টা ক্যাপ্টেন থেকেও উপরে কারণ মাস্টার মেরিনার হতে হলে বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় পাস করতে হয়)। এখন চাকরি করেন একটি জাপানি জাহাজ এ ক্যাপ্টেন হিসেবে। আর এই পেশায় যারা থাকেন তারা খুবই সাহসী হন। মামা বাসায় আসলে আমরা বলতাম, “ মামা আপনার জীবনে কোন ভৌতিক অভিজ্ঞতা আছে নাকি?” মামা সবস ময় ব লতেন, “ নাহ্‌, ভৌতিক অভিজ্ঞতা আবার কিসের?” তো সেই মামা একদিন নিজে থেকেই বললেন, “এতদিন আমি এসব খুব বেশি বিশ্বাস করতাম না, তবে একটা ঘটনা আমার জীবনে ঘটছে, শুনবি নাকি?”ঘটনাটি বলার সময় আমি খেয়াল করেছি মামাকে এবং আমি স্পষ্ট দেখেছি মামা এই ঘটনা যেভাবে সিরিয়াসলি বলেছেন তাতে ঘটনাটি মিথ্যা হবার কথা নয়।
৮-১০ বছর আগে মামা একটা ট্রেনিং এ যান কলকাতায়। একটা পুরণো জমিদার বাড়ীকে এখন ট্রেনিং সেন্টার বানানো হয়েছে। ঐ ট্রেনিং এ আরও এসেছিল বিভিন্ন দেশের ক্যাপ্টেনরা যার মধ্যে কয়েকজন ভারতীয়ও ছিল। মামাদের এক এক রুমে থাকতে হত চারজন করে। তো প্রথমদিন সন্ধ্যায় মামাকে তার রুমমেট্ রা বলল ,”জানালার কাছে মহিলার কান্নার শব্দ শুনতে পারবে, কিন্তু দেখবে কেউ নাই”। মামা বিশ্বাস করলেন না এবং যথারীতি কিছু শুনলেনও না সেদিন। সুতরাং এটা বলার কোন উপায় নেই যে মামাকে এই কথা প্রভাবিত করেছিল।
ঘটনা ঘটল পরের দিন। মামা সারাদিন ট্রেনিং করে রুমে ফিরল।শীতের রাত, ৮ টার মতো বাজে। হঠাৎ মামার কাছে মনে হল, জানালার কাছে কেঊ একজন কাঁদছে। উনি মনে করলেন ভুল শুনছেন। না, ঠিকই শুনছেন। রুমে আরও একজন ছিল যে আগেও এবং তখনও এই আওয়াজ শুনেছে। দুজনেই দৌড়ে গিয়ে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখলেন কেউ নেই, এমন কি কার্নিশেও না। ঘটনা যদি এখানে শেষ হয়ে যেত, তাহলেও বলা যেত হয়ত বা দুজনেই ভুল শুনেছেন। রাত ১০ টার দিকে মামা খেতে যাবেন, তার আগে একটু বাথরুমে যাবেন ভাবলেন। বাথরুম ছিল ঘরের বাইরে। মামা বাথরুম এর বাইরে থেকে শুনলেন শাওয়ার এর শব্দ । তাই আর দরজা ধাক্কালেন না। একটু পরে আর কোন শব্দ না আসাতে ভাব লেন, “ কি ব্যাপার?” দরজাতে ধাক্কা দিয়ে দেখলেন দ রজা খোলা!!! ভিতরে কেউ নেই, এমনকি বাথরুম শুকনো খটখটে।
মামা ওখানে ছিলেন ৪/৫ দিন, মামার সাথে শুধু প্রথম দিন আর মাঝখানে একটা দিন ছাড়া প্রতিদিন এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি কিছু দেখেন নাই। এই ঘটনা সম্বন্ধে জানার জন্য মামা ঐ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর মালিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন সে কিছু কখনও দেখেছে কিনা। মালি যা বলেছিল তা এরকম- সে নাকি মাঝে মাঝে এক মহিলাকে দেখে (চেহারা চুল এ ঢাকা থাকে) কাঁদতে কাঁদতে পুকুর ঘাটের দিকে যায়, মহিলা বেশ লম্বা-এলোমেলো ভাব, শাড়ি পরা। ঐ সময় এ নাকি ট্রেনিং ইনস্টি টিউট এ থাকা কুকুরও কুই কুই ক রে আওয়াজ ক রে। প রে জানতে পারা যায়, ট্রেনিং ইন স্টি টিউট অনেকআ আগে ছিল এক জমিদার বাড়ি আর মামারা যেখানে থাকত, তার নিচেই নাকি ছিল নাচঘর।
মামা যেদিন চলে আসবে, সেই ফ্লাইট টি ছিল স কাল বেলা, মামার হঠা ৎ খেয়াল হ ল সেদিন তিনি রুম এ একা, কারণ ঐ রুমে থাকা বাকি ৩ জন এর একজন ছিলেন নেপালী, আর বাকি ২ জন ভারতীয়। তারা চলে গিয়েছিল। ঐ স ময় মামার ভয় লেগে উঠল। ট্রেনিং ইন স্টিটিউট এ থাকা আরেকজন ক্যাপ্টেন মামাকেই বললেন একা না থাকতে বরং তার সাথে থাকার জন্য। ঐ দিন তারা সারা রাত গল্প করেই কাটিয়ে দেন। কিন্তু ঐ দিন ওনারা কিছু শোনেননি। ঐ ক্যাপ্টেনের অবশ্য একটা ঘটনা ঘটেছিল আগে যখন তিনি আগেও একবার এই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এ এসেছিলেন। এটা তিনি মামার সাথে শেয়ার করেছিলেন। এক রাতে ঘুমানোর স ময় তার মনে হয়েছিল অদৃশ্য কেউ একজন হাঁটু গেড়ে তার বুকের উপ র গেঁড়ে বসে ছে, এরপর তাকে থাপ্পড় দিয়েছিল কয়েকটা।
এটা এক টি সত্যি ঘটনা।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×