এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, নক্ষত্রের রাত। আহারে সেইসব পুরোনো দিনের স্মৃতি! লোকটা কত কি যে দিয়ে গেলেন আর রেখে গেলেন আমাদের জন্যে। নাটক দেখতে দেখতে এসব ভাবছিলাম আর ভাবছিলাম মাত্র বাষট্টি বছর! আর কয়টি বছর বাঁচলেন না কেন উনি? আর কিছুটা সময়, আহা আর কিছুটা সময় যদি উনি বেঁচে থাকতেন! নাটক দেখার সময় এইসব কথা ভাবছিলাম তখন কেন যেনো মনে হলো হুমায়ুন ভান্ডারের অন্য আর সব নাটক চলচ্চিত্র থাকতে ওনার স্মরনে আজ রবিবারটাই দেখাচ্ছে কি কোন বিশেষ কারনে? এই সময়ের তরুনদের প্রিয় হিমু, সেই সময়ের তরুনদের প্রিয় বাকের ভাই কত কিইত দেখতে মন চাইছে এখন! ভাবতে ভাবতে দেখলাম টিভি পর্দায় দুটি মুখ পাসাপাসি। দুই বান্ধবী নাটকে দুই পীঠাপীঠি বোন। তিতলি আর কঙ্কা, শিলা আর শাওন। বুঝতে আর কিছু বাকী রইল না।
হুমায়ুন মৃত্যু পরবর্তী দিন গুলোতে মিডিয়া অলাদের দেখেছি শীলা, শাওন কে এক ফ্রেমে ধরতে পারলে যেনো কি এক দূর্লভ মুহূর্ত ধরা হয়ে গেল! কত শত কেচ্ছা কাহিনি আবিষ্কারে কেউ কারো পেছনে পরতে চাইছিল না যেন। হুমায়ুনের সব নাটক থেকে বেছে বেছে শীলা শাওনকে এক সাথে আবার দেখাতে পারলে একটা কি যেনো করে ফেললাম ব্যাপার মনে হয়! নাটক দেখতে দেখতে কেউ আবার সেই গল্প মনে করে বলবেন, মেয়ের বান্ধবীর সাথে! ছি ছি ছি ... বাহ্, এই খানেই ত মজা। সেই মজাটাইত টিভি অলারা মরিয়া হয়ে খোঁজেন, এবং আজান দিয়ে তা প্রচার করেন। মৃত ব্যাক্তির কফিনের পাশে মাইক্রোফোন ধরে স্বজনদের জিজ্ঞেস করে, তাদের অনুভুতি কি কেমন লাগছে তাদের এখন?
বিজ্ঞাপন ব্যাবসায়ীদের কাছে সকল কিছুই যে শেষমেষ বেচাবেচি কেবল ঝোপ বুঝে কোপ মারা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২০