প্রায় দিনই পার হই পায়ে হেঁটে বিদ্রোহি কবির মাজার আর ভাবি
বিশেষ দুইটি দিনে বছরের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিপাল কাগজে কলাম লেখে, কাননবালাদের কন্ঠ-সুরে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাংলার আসমান জমিন, ফুলের অসহ্য ভারে চাপা পড়ে মরে যায় আসল আবেগ
সবই শুধু নজরুলের নামে, কাজী নজরুল ইসলামের নামে
দুখু মিয়া কই গেল? দুখু কি হারিয়ে গেল নজরুলের খ্যাতির আড়ালে? বাংলার ঘরে ঘরে লাখো দুখু মরে যাচ্ছে ঝরে যাচ্ছে দৃষ্টির আড়ালে
দুখুরা কুলি মজুর রেল-ইস্টিশনে, দুখুরা বস্তির পোলা রায়েরবাজারে, দুখুরা লাইনের মেয়ে বাণীশান্তায়, দুখুরা রাস্তায় বাঁচে রাস্তার পাশেই ঘুম যায়, দুখুরা টিএসসিতে ফুল বিক্রি করেঃ “আপুর লাইগা একটা ফুল কিনেন না ভাইয়া!”, দুখুদের ভাইয়া আপু হওয়া হয় না কস্মিনকালেও, মানুষহত্যার হরতালে দুখুদের ভাড়া করে জয়-জিন্দাবাদ, দুখুদের ভাড়া করে বিশ্ববেহায়া, দুখুদের ভাড়া করে হিজবুত-জামাত, দুখুরা বিক্রি হয় খুব শস্তায়, বিশ-তিরিশ-পঞ্চাশ টাকায়, দুখুদের ছোঁড়া বোমা দুখুদেরই প্রাণ নাশ করে
নজরুল নয় তাই, এ-মাজার বাংলার সব দুখু মিয়ার মাজার।
মিয়ার মাজারে শান্ত ঘুমাচ্ছে একজন দুখু বাংলার লাখ লাখ দুখুর মাঝারে...