somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কি দেশদ্রোহী ?

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শোকের মাস অগাস্ট এখন । বিনীত ভাবে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার শেখ মুজিব কে । সেই সাথে স্মরন করছি জাতীয় চার নেতাকে । অস্রুসজল চোখে মনের ক্যানভাসে এনে স্মরন করছি দেশ মাতৃকার টানে নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়া সেই দুঃসাহসী বীর পুরুষদের ।

একটি আকুল আবেদন -

মাননীয়া বিরোধী দলের নেত্রীর প্রতি আকুল আবেদন উনি যেন ১৫ই অগাস্টে নিজের ভুয়া জন্মদিন পালন না করেন । একটা মানুষের জন্মদিন সময়ের তফাতে পাল্টাতে পারে না । পাল্টাতে পারে জন্মদিন পালন করার রীতি । এক সময় হয়তোবা আজকের প্রেক্ষাপটের মতন ৬০-৬৫ পাউন্ড এর কেক কেনার সামর্থ্য উনার ছিল না, এখন ভাঙ্গা সুটকেস থেকে বলি বা সরকারে থাকাকালীন দুর্নীতির কথা বলি ভাগ্য যখন পরিবর্তন হয়েই গেছে (জনগনের টাকায়) এখন না হয় কেক এর সাথে ডিজেও হতে পারে, হতে পারে কাঙ্গালি ভোজের নামে চাঁদাবাজি , কিন্তু সম্পূর্ণ প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এভাবে জাতির শোকের দিনে এমন বেয়াহাপনা জন্মদিন পালন সচেতন নাগরিক সমাজের কারও কাম্য নয় । তার মানে এই নয় যে এই দিন কারও আনন্দের দিন হতে পারে না , কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কেন এমন আনন্দ করবে , তাও আবার একজন সেক্টর কমান্ডারের বধূ, যিনি আবার দেশেরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিবিদ হওয়ার যোগ্যতা কি ? যে যত বেশী নেতা নেত্রী ভক্ত বা সমাবেশে যে বুক ফুলিয়ে শ্লোগান দিতে পারে বা গলাবাজি করতে পারে বা জ্বি হুজুর বলে বলে সারাক্ষণ শোরগোল তুলতে পারে সেই কি আসলে রাজনীতিবিদ ?

না আমার আর খায়েশ মিটল না, মনেও হয় না আবার অন্য ভাবে যদি বলি কখন যে মিটবে তাও জানি না । রাজনীতির গ্যাঁড়াকল বুঝি কি না জানি না তবে এটা খুব ভালো করেই জানি যে – চলমান রাজনীতিতে সাধারন মানুষের মুক্তি সুদুর পরাহত ।

সুখবর দিয়েই শুরু করি । রাজনিতিতে আসছেন ভারতের দুর্নীতি বিরোধী গান্ধিবাদি অহিংস সমাজকর্মী আন্না হাযারে । অভিনন্দন আপনাকে । ইতিবাচক রাজনীতি শুধু এখানেই নয় সবখানেই চাই । আশা করি আপনি তার ছিটেফোঁটা হলেও পুরন করতে সক্ষম হবেন । আন্নার রাজনীতিতে আসার চিন্তার দিনে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভা একটি হটকারী সিধান্ত নিয়েছেন । এবার ডঃ ইউনুস এর বিরুদ্ধে বয়স পার হলেও গ্রামীণ ব্যাংক এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর চাকরীতে থাকার দায়ে অপরাধী বলে দাবি করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনার চামচারা । উল্লেখ্য এ প্রসঙ্গে ইউনুস এর করা অগ্রিম ভবিষ্যৎ বানীর সুচারুরুপে প্রতিফলন করা হচ্ছে । যেখানে গ্রামীণ ব্যাংক এর মালিক দেশের ৩০ লাখ গ্রাহক নিজেরাই সেখানে আমাদের সরকার তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন একের পর এক রীতি বিরুদ্ধ আদেশ । সরকারের ভাবখানা দেখে পরিলক্ষিত হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক কে পথে বসিয়ে ছাড়বে হাসিনার সরকার । এ দিকে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করার অপরাধে আওয়ামী ঘরানার জেনারেল হারুন গং এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (পড়ুন দুর্নীতি পালন কমিশন ) , আশা করি হাসিনার লম্বা হাতের বদৌলতে উনি সহ সবাই রেহায় পাবেন এবং উনাদের দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট তুলে দিবেন । হয়তোবা এ কথা বলবেন যে ইউনুস এর চাইতে ডেসটিনি অনেক বেশি দুর্নীতি দূরীকরণে কাজ করেছেন, আর উনার বিরুদ্ধে চলমান অভিযোগ বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রের অংশ । আগ বাড়িয়ে এটাও বলতে পারেন মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র ।

দেশে বিরাজমান সকল সমস্যাকে লাথি মেরে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে লেগেই আছে । উনি নোবেল পেয়ে যে অন্যায় করেছেন তা কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয় ! উনার স্পর্ধা তো কম না , নোবেল পেয়েছেন ভালো কথা বিএনপি বা লীগের ভাত মারতে আপনাকে কে বলেছে রাজনীতিতে আসতে ? জনগনের কথা চুলাই যাক । জনগণ তো এদের ভোট দিচ্ছে ক্ষমতায় আনছে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর । বেশি ভালো মানুষ সাজার প্রবনতা এখন যেমন লীগের সহ্য হচ্ছে না তেমনি বিএনপির আপনাকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমাও শেষ হতে খুভ একটা সময় নিবে না, এ কথা হলফ করেই বলছি ।

দেশপ্রেমের একাল সেঁকাল : হাসিনা ও আবুল -

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েই পদত্যাগ করে আবুল সার্টিফিকেট পেলেন দেশপ্রেমিকের, আর যারা তখনকার সময়ে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা লীগের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত হলেন । পদ্মা সেতু নিয়ে এখনো পালা গান গেয়ে যাচ্ছেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত । অপেক্ষায় আছি কখন আর পাল্টা জবাব বের হবে না উনার মুখ থেকে । হাসিনা মুখে ফেনা তুললেও একবারও বলার সাহস করছেন না কি লিখেছে বিশ্বব্যাংক , আমাদেরকে পাঠানো চিঠিতে ? মুখে বলে বেড়াচ্ছেন কোন দুর্নীতি হয় নি এবং প্রমান দিতে পারে নি অভিযোগকারীরা, কিন্তু সেটা যে কথার মাঝেই আটকে আছে তা আর বুঝতে বাকি রইলো না । কারন শর্ত পুরনের অংশ হিসেবে আবুলের প্রস্থান বা সচিবকে ছুটিতে পাঠানো । তাই তো মুহিত সাহেবের মনের আশা এখনো জ্বল জ্বল করছে বিশ্ব ব্যাংক ই অর্থায়ন করবে পদ্মা সেতু তে ।

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে হাসিনার প্রস্তাব নিঃসন্দেহে জনগনের সাথে নির্মোহ তামাশা ছাড়া আর কি হতে পারে । না কি লাশ দেখতেই উনার ভালো লাগে । হাজার হলেও এ দাবি বিরোধী দলের, লাশ পড়া ছাড়া দাবি মেনে নিলে মান সম্মান নিয়েই টানাটানি হবে সরকারের । সরকার কে বলি – পদ্মা সেতুর সুরাহা করুন । আপনাদের কথায় চারিদিকে এত প্রস্তাব তারপরেও কেনই বা হচ্ছে না এটার অর্থায়নের নিশ্চয়তা । না কি বন্যার মত অবস্থা, চারিদিকে এত পানি কিন্তু খাওয়ার পানি নেই । না হলে আগামি নির্বাচনে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি হবে । চারিদিকে মিথ্যার পসরা সাজিয়ে সবাইকে বোকা বানানো যায় না । এটা নিশ্চয়ই কোন আবুলের বুদ্ধি ! এই আবুল হয়তোবা নির্বাচনে হেরে সাবেক হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লার মত আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়ে হাসিনার তাড়া খাবেন, তখন কিন্তু আর হালে পানি থাকবে না । কারন সময় গেলে সাধন হবে না , এটা হাসিনার মনে থাকার ই কথা ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য – যারা স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ তাদের কে বাংলাদেশ সরকার বরাবরে পাঁচ টাকার (অফেরতযোগ্য ) আবেদন ফরম সংগ্রহ করে দেশপ্রেমিকের সার্টিফিকেট বগলদবা করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে । ফরমের দাম পাঁচ টাকা এ কারনে রাখা হয়েছে যে – দেশে সরকারে বা সরকারের বাইরে যে পরিমান দুর্নীতিবাজ আছে তার একাংশও যদি সংগ্রহ করে তাহলে দিব্যি পদ্মা সেতুর অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হবে । এ কাজে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহায়তা দিতে পারে সোনার ছেলেদের নিয়ে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । সবার আন্তরিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য ।

আমি জানি না লেখায় যে সবের অবতারনা করলাম এ গুলু দেশদ্রোহীর পর্যায়ে পড়ে কি না ? সজ্ঞানেই বলছি যদি পড়েও এ সব অসংগতির উত্তর চাওয়ার অধিকার আমজনতার আছে , এ কথা যেন ভুলে না যায় রাজনীতির কর্তা বাবুরা ।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×