'এই যে হুনেন'
সফিক থমকে দঁাড়াল। পিছন থেকে সালমা ডাকছে। সফিক একবার ভাবল পিছন ফিরে না তাকিয়ে হেটে চলে যাবে। এমন ভাব করবে যেন সালমার ডাক সে শুনতে পায়নি। সফিক পিছনে ফিরে তাকাল। সালমা দঁাড়িয়ে আছে। ডুবন্ত সূর্যের লাল আলো এসে সালমার মুখে পড়ছে। তার মুখটা জ্বলমল করছে। বড় মায়াময় মুখ। সফিক সালমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে মাথা নিচু করে ফেলল। কত অসহায় ভঙ্গিতেই না মেয়েটা দঁাড়িয়ে আছে। সালমা একটু এগিয়ে এসে সফিকের পাশে দঁাড়াল।বলল
'ভাত খাইয়া যান। আপনের পায়ে পড়ি। বিহাল বেলায় কিছু মুহে না দিয়া বাইর অওয়া ভালা না।'
সেলিম কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল 'খামুনা। যা ভাগ।'
'আপনের আল্লার দোহাই লাগে। দুইডা নলা ভাত খাইয়া যান। ভাতের লগে আপনের কী রাগ?'
সালমা কথা বলতে বলতে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল। শাড়ির আচলে চোখ মুছে বলল 'আপনে যদি ভাত না খাইয়া যান তাইলে আমিও কিছু খামুনা। এক ফোটা পানিও না। আল্লার কসম। নবীজির কসম। মা ফাতেমার কসম।'
সফিক মাথা তুলে সালমার দিকে তাকাল। সে কি ! মেয়েটা কাঁনতাছে কেন ?
কিশোরী এই মেয়েটার প্রতি সফিকের একটু মায়া জন্মাল। মেয়েটা কি দোষ করেছে। তার তো কোন দোষ নাই। বিনা অপরাধে তাকে কষ্ট দেওয়াতো অন্যায়।
শিল্পী মানুষ হয়ে সফিক এই অন্যায়টা করতে পারেনা।
সফিক সালমার পাশে এসে বলল 'চল।'