.
বুয়েট সমস্যার শেষ কোথায়
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবীর বিদ্যাপীঠ বুয়েট।মেধাবীদের কাংখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি।দেশের অনান্য বিদ্যপীঠের তুলনায় এটি ব্যাতিক্রম ও সম্পূর্ন ভিন্ন।রাজনীতির কোন্দল ,দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে এটি মোটামুটি মুক্ত।দেশী বিদেশী অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অবস্থান এই শীর্ষ বিদ্যাপীঠে।
বেশ কয়দিন ধরে উপাচার্য কে কেন্দ্র করে বেশ উত্তপ্ত বুয়েট।ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন।তারা ব্যানার,প্লেকার্ড,ফেস্টুন নিয়ে মিছিল স্লোগানে সরব হয়ে আছেন।আর তাই নিয়ে প্রতিদিন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়া হেডলাইন টানছেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটের উপাচার্য ড.এস.এম নজরুল ইসলাম কে এই সংকট নিরসনে শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে বলেন।কিন্তু এতে শিক্ষক সমিতি মানতে নারাজ,প্রধানমন্ত্রীর কথা ও ভেস্তে গেল।তারা বলেন,যার বিরুদ্ধে এত আন্দোলন তার সাথে কথা বলার কোন যুক্তিই নেই।এই সংকট কাটাতে সমিতি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্ব-হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ও স্নারকলিপি দিয়েছেন।তবুও এই সংকট নিরসনের আভাস মিলছেনা।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ড.আশরাফুল ইসলামগত কিছুদিন আগে একটি জাতীয় পত্রিকার সাক্ষাতকারে বলেন-আমাদের ধর্মঘট ও আননদোলন অব্যাহত থাকবে।আর এই সংকট নিরসনে উপাচার্য এর সঙ্গে নয়,বুয়েটের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো:জিল্লুর রহমানের সাথে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করতে চাই।শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলে কোন লাভ নেই।
গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে শিক্ষক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রবেশদার বন্ধ করে দেন।আর ঢুকতে পারেনি ছাত্রলীগ।
মোট ১৬টি অভিযোগ এনে উপাচার্য ও সহ উপাচার্য পদত্যাগের দাবীতে ৭ই এপ্রিল হতে ৫ই মে পর্যন্ত কর্ম বিরতী পালন করে এতে অনেক ক্ষতি ও হয়।কিন্তু এত আন্দোলনের পরও কেন যে নির্লজ্জের মত আজো উপাচার্য বসে আছে তা কারো জানা নাই।
আর বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয়করন মোটেও উচিৎ নয়।পৃথিবীর আর কোথাও এই অসভ্য সংস্কৃতি নেই।তাই যতই দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা একান্ত জরুরী।