somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোহেল ও স্বর্ণা

০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্বর্ণা নামের একটা মেয়ে ছিল। সে ছিল অনেক মোটা সোটা। কলেজে পড়তো যখন তাকে সবাই হাতির মত মুটকি বলতো। স্বর্ণার কোন দোষ ছিল না। সে ছিল অসুস্থ। তাদের ফ্যামিলিতে এই অসুখটা অনেকের। অল্প ভাত খেলেও মোটা হয়। বান্ধবীরা তাকে এই নিয়ে খেপাইতো। একদিন স্বর্ণা মনের দু:খে জানালার পাশে বসেছিল। তখন তার বান্ধবী তাকে তোকাইতে লাগলো, এই মুটকি সইরা বস। ইট ভেঙ্গে পড়বে। রিক্সা দিয়ে যখন সে যেতো তখন দুর থেকে ছেলেরা তাকে টিজ করতো। স্বর্ণা মনে মনে লাভ করতো একটা ছেলেকে। ওর নাম সোহেল। সোহেল স্বর্ণার বাসায় সামনে দিয়ে যাবার সময় স্বর্ণার দিকে চেয়ে থাকতো। সোহেল জিন্সের প্যান্ট পরতো, সাথে টি শার্ট। অনেক খেলা ধুলো করতো, এজন্য সোহেলের শরীর ছিল খুব আকর্ষণীয়। আল্লাহ মেয়েদের কে অপেক্ষা করার শক্তি দেয় কিন্তু ভালবাসার প্রকাশ করার সাহস দেয় না। স্বর্ণা সোহেলের দিকে তাকিয়ে থাকতো। সোহেল কোন দিন স্বর্ণাকে দেখতো না। একদিন স্বর্ণার এক বান্ধবী মুমু তার বাসায় বেড়াতে এসেছে। মুমু সুন্দরী মেয়ে। তার চোখ গুলো বড় বড় আর খুব স্লিম ফিগার। মুমুকে অনেক ছেলে পছন্দ করে। স্কুলে থাকতে তাকে চিঠি দিতো, এখন ফোনে জ্বালায়। মুমু স্বর্ণাকে বললো, সোহেল তাকে ভালবাসে। স্বর্ণা শুনে খুব কষ্ট পেয়েছিল। সোহেলকে সে ভাবতো শুধু মাত্র তার। মুমু বলেছিল, সোহেল একদিন বাসার সামনে যাবার সময় তাকে একা পেয়ে প্রেম নিবেদন করে। মুমুও তখন রাজী হয়। তারপরে যখন মুমু বাসায় চলে গেল স্বর্ণা গোপনে অশ্রুপাত করেছিল।

স্বর্ণার যে বড় ভাই সে ছিল সোহেলের সমবয়সী। ভাইয়ার সঙ্গে কথা হতো যখন স্বর্ণা চাইতো সোহেল উপরে আসুক। একদিন বৃষ্টির দিনে ছেলে পেলেরা সবাই ঘিরে আসছে। ওর ভাই বলেছিল, সোহেল উপরে আসো। সোহেল এসেছিল। তখন স্বর্ণা তাকে একটা টাওয়েল এনে দিয়েছিল। এক কাপ চা এনে দিয়েছিল। দুর থেকে সে সোহেলের জন্য উদাস হয়ে গেলো। তবে মুটকি একটা মেয়ে যত ভাল চা বানাতে পারুক তাকে কেউ দেখে না। স্বর্ণা প্রতিদিনই সোহেল কে দেখতো। কিন্তু একবার অনেকদিন তাকে দেখতে পেল না। টেনশনে স্বর্ণা তখন কি করবে বুঝতে পারছিল না। অনেকদিন পরে সে ভাইয়ের সঙ্গে বাসায় ঢুকতে দেখলো সোহেল কে। দেখেই চমকে উঠেছিল। কি সুন্দর ফর্সা ছেলেটার চাপা ভেঙে গেছে, চোখের নিচে কালি। স্বর্ণার ভাইয়া তখন একটু নিচে গেছে। তখনই স্বর্ণা চা বিস্কুট নিয়ে ঢোকে। তারপর বলে ভাইয়া, আপনি কি অসুস্থ। সোহেল বলে, না। তাহলে এমন হল কি করে? স্বর্ণার আচরণে অবাক হয় সোহেল। মেয়েটার চোখের দিকে তাকানোর পরে চমকে ওঠে সোহেল। স্বর্ণা এত মোটা কিন্তু তার চোখের ভিতর অনেক মায়া মমতা। সোহেলের তখন মনে হয় সুন্দরী অণেক মেয়ে দেখেছে কিন্তু এত দরদ দিয়ে কেউ তাকে দেখে নি।
সোহেল এর পর খুব ঘনিষ্ট হয়েছিল মেয়েটার। বহু বছর পর স্বর্ণার সঙ্গে সোহেল চাঁদের আলোয় গল্প করতে বসেছিল। স্বর্ণার গর্ভে তখন একটা মেয়ে। দুজন দুজন কে ভালবাসে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×