আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছি, হাতে প্রিয় কবিতার বই। পড়লাম একটি দ্বীপ। পুষ্পরশ্মির চারপাশে উড়ছে একঝাঁক প্রজাপতি। প্রবাহমান নদীর মতো উড়ছে আনমনে। থোকা থোকা ফুলের বৃতি ও কেশর ঘিরে বসছে, উড়ছে। নান্দনিক সৌন্দর্যের কথা পড়ছি আর ভাবছি অমনি একঝাঁক প্রজাপতি উড়ে এসে বসুক আমার কবিতার খাতায়। প্রজাপতির পাখাকে ঘিরে রচনা করবো একটা কবিতা। সবার অলক্ষে পাঁজর খুঁড়ে তুলে আনবো একটা ফুলের নাম। ফুল ও প্রজাপতি। কবিতাটা স্থানুও প্রবহমানতার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে। দাড়ি, কমা, সেমিকোলন, কখনোবা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন! এইসব যতিচিহ্নে এক এক করে যুক্ত করবো রক্ত গোধূলির রেখাও আঙ্গিক!
হঠাৎ, কোথা থেকে উড়ে এলো একটা প্রজাপতি। বসলো তর্জনীতে। চেয়ে দেখলাম শাদা পাখার একটা প্রজাপতি। আর কোন রঙ নেই। এস্ট্রেতে আধখাওয়া সিগারেটর ছাই ফেলতে ফেলতে চোখ চলে যায় কবিতায়। পড়লাম, প্রাণের যতো নান্দনিক রঙ, সব অই প্রজাপতির পাখাতে!
কবিতার বইয়ে শাদাপাতায় কালো গোটা গোটা অক্ষর।শাদাপ্রজাপতির ডানায় কালো নীল বলপয়েন্টের একেকটি আঁচড়ে আকাশের পোট্রেট আঁকতে শুরু করলাম। আকাশের যতো নীল আর কালো মেঘের ঘনঘটা সব আঁকলাম প্রজাপতি ক্যানভাসে। বিগত ভালোবাসার যে উপন্যাস লেখা হয়েছিলো তাতে তুমি ছিলে মেঘের আরাধনায় মত্ত! আর আমি ছিলাম শরতাকাশের সাথে প্রিয় কাশ ফুলের মেলবন্ধনে ব্যস্ত।
বর্ষা ও শরৎ দুটি ভিন্ন ঋতু। যদিও একই আকাশে তাদের উপস্থিতির জানান দ্যায়। কিন্তু কত অমিল আমাদের দিগন্তে। তাই প্রজাপতির ডানায় এঁকে দিলাম আমাদের বৈপরীত্যের যতো খেয়াল খুশি।
___________________________