somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেধা সৃষ্টি , না মেধা ধ্বংসের কারিগর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ??????????????????

০১ লা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মেধাশুন্য করার মেশিন ?????? এই শিক্ষা প্রতিষ্টানটি যত পুরনো হচ্ছে এর ঐতিহ্য ততই নিভে যাচ্ছে । যে ছেলে বা মেয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চান্স পায় , সেই ছেলে বা মেয়ের সকল মেধা কি ভর্তি হওয়ার পরে বানের জলে ধুইয়ে নিয়ে যায় ?? ধরি , বানের জলে ধুইয়ে নিয়ে যায় , এই জল কোথা থেকে আসে , এর উৎপত্তি কোথায় ??? গতকাল প্রথম আলো পত্রিকায় (৭ম পেইজ) পড়লাম সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চার জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীপ্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ার কারিগর না ক্ষা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে , তাই সমাজ বিজ্ঞানের দুইজন ও পদার্থবিজ্ঞান এর চতুর্থবর্ষের দুইজন শিক্ষককে পরিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ থেকে তিন বছরের জন্য অব্যহতি দিয়েছে । খবরটা পড়ে নিজে নিজে একবার চিন্তা করে দেখলাম পরিক্ষায় দুর্নীতি মানে নম্বর যে বেশী পাবে তাকে কম দেওয়া, আর যে কম পাবে তাকে বেশী দেয়া হয়েছে । আমার মাথা লজ্জায় নুইয়ে পড়ল ,এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়ি??? যেখানে আমার শিক্ষকগণ দুর্নীতির সাথে জড়িত ??? আমার ভাবতেও কষ্ট হয় এই শিক্ষকের হাত ধরেইতো ছাত্র-ছাত্রীরা একদিন মাথা উচু করে জাতির সামনে দাঁড় হবে ??? যারা ছাত্র জীবনে শিক্ষকের দুর্নীতি সম্পর্কে জানে তাদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে ???? ভাগ্যক্রমে আজকে আমি হল এ ফিরছি এমন সময় মল চত্বরে কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে দেখতে পাই মন খারাপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষণ করছে,মন খারাপ করছে এই কথা বলে যে, তাদের শিক্ষকদের অপরাধ আর শাস্তি তাদের ???? হায় জাতি ?? হায় আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা কর , না জানি আর কতদিন আমাদের পরিক্ষা ,রেজাল্টের জন্য অযথা অপেক্ষা করতে হয় ??? জিজ্ঞেস করে জানতে পারি , তাদের ল্যাব(ব্যবহারিক) পরীক্ষা স্থগিত প্রায় একমাস । কিছু শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম , তারা বলল, ভাই আমরা অতিষ্ঠ , পদার্থবিজ্ঞান এ পড়ে আমরা শেষ , তাদের মধ্যে একজন বলল ভাই আমাদের বিভাগ আমাদের কোন কথা শুনে না , আমাদের ভালো মন্দ কিছুই চিন্তা করে না , কিছুদিন আগে হাজার চেষ্টা করেও আমরা কাউকে(বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) একটা কথা শুনাতে পারলাম না , আমাদের ৫০/৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর ন্যায্য দাবি আদায় করতে পারলাম না , আর এখন শিক্ষকদের অর্ন্তকলহে মাশুল দিচ্ছি আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা , একবার পরিক্ষা দিয়েছি কিন্তু আবার কিনা পরিক্ষা হবে , ভাইয়া আমাদের সময়ের কোন মূল্য নাই , আমাদের কথার কোন মূল্য নাই । একজন মেয়ে বলল, আমরা MMP,CED ( method of mathematical physics, classical electrodynamics) তে পাস করেছি আমাদের কপালের গুনে , আমি জিজ্ঞেস করি কপালের গুনে মানে ??? তারা বলল আমাদের সময় আগের শিক্ষক ছিলনা তাই পাস, পাস ফেল আমাদের পড়াশোনা উপর নয়, শিক্ষকের উপর নির্ভর করে। বিগত তিন বছর অধিকাংশ(৮০%) ওই MMP,CED তে ফেল করেই , অনার্স শেষ করেছে , আমাদের কপাল ভালো শিক্ষক পরিবর্তন হয়েছে , আমরাও ঐ আগের শিক্ষকের আমলে এক ,দুইবার ওইসব কোর্সে ফেল করেছি, আর যখনই শিক্ষক পরিবর্তন তখনই আমরা সবাই পাস করেছি, বেশিরভাগ ৬০-৮০% মার্কস পেয়েছি । আমার বুঝতে বাকি রইল না যে , তাদের পাসের প্রধান বাঁধা ছিল তাদের শিক্ষক । এমন আর অনেক অভিযোগ শুনলাম । ফিশারিজ বিভাগের এক ছাত্রের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম , তারা ও ভালো নাই, তার অভিযোগ সে প্রতিটা কোর্সে আমি সবচেয়ে বেশি নম্বর পাই, অথচ কোর্স ভাইবায় আমি কম পাই , আর প্রথম হতে পারি না, তার অভিযোগ তার সামনে যে কয়জন ভাইবায় বেশি মার্কস পায় তারা সবাই মেয়ে । ভাইবায় ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েরা বরাবরই বেশি পায় , তার কারণ হয়তো বা আছে । ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের অবৈধ সম্পর্কের কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি । এরা কি জাতির অহংকার ??????????? স্যারের সাথে যার যোগাযোগ ভালো, যে একটু বেশি............সে ভাইবায় বেশি মার্কস বেশি পায় এটা প্রচলিত , এর রহস্য কি??
পরিক্ষার আগের দিন ছাত্রীকে ওই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ফোন দেয় এমন কথাও অজানা নয় । যে ছাত্র বা ছাত্রী এই প্রতিষ্টানে পড়াশোনা শেষ করে বের হতে পারল না, তার দায়ভার অবশ্যই তার একার নয় , যে বছরের পর বছর একই শ্রেনীতে পড়ছে তার দায়ভার ও কি তার শুধু নিজের ??????? বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে যাবার সময় কোন স্যার কে আপনি ভালো বলবেন এমন প্রশ্নে বেশিরভাগ সময় কোন নাম শোনা যায় না, Biochemistry & molecular biology বিভাগের এক ছাত্র বি,সি, এস ক্যাডারে এ,এস ,পি হয়েছে এটা তার শিক্ষকে বিশ্বাস করাতে পুলিশ নিয়ে স্যার এর সাথে দেখা করতে এসেছিলেন(বি,দ্রঃ তার স্যার বলেছিলেন, তুমি এই মেধা দিয়ে কোন চাকরি পাবে না ) আসলে আমরা মেধাবশুন্য হচ্ছি , না শিক্ষকরা আমাদের মাধাহীন হতে আগ্রহ যোগাচ্ছে , এই প্রশ্নে উত্তর আপনার কাছে , সমস্ত জাতির কাছে ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×