একটি ভিন্ন কবিতা লিখতে চাই মানবতা নিয়ে
একেবারে ভিন্ন একটি ছবি আঁকতে চাই প্রিয়ার চাহনিকে ঘিরে;
যে ছবিগুলো আঁকা আছে আমার মনসপটে প্রথম স্বত্বার মাঝে।
তবু যেন নিজের দিকে তাকিয়ে চমকে যাই
প্রথম স্বত্বাকে ঠেলে দিয়ে কেন বের হয়ে আসে আমার
কালো কুৎসিত দ্বিতীয় স্বত্বার থাবা, আমার সব ভালো ছাপিয়ে।
যৌবনের নোংরা কাম লালসায় বের হয়ে থাকা কালো জিহ্বা
সাপের মত ছোবল মেরে বিষ ঢেলে দিতে চায় যেখানে সেখানে
দৃষ্টিতে যেন আমার লালসা ফুটে ওঠে
রাক্ষসের মত কদর্য চেহারা দেখলেই যেন ঘৃণা জেগে ওঠে মনে
আমি আমার দ্বিতীয় স্বত্বার কথা এখানে কেন লিখে যাই?
বাঁধ না মানা যৌবনের লিপ্সা মানে না কোন
তরুণী, যুবতি কিংবা প্রৌঢ়ার অসহায়ত্ব
নোংরা লোলুপ দৃষ্টির সামনে কুঁকড়ে যায় যেন কি এক ভয়ের শিহরণে
যেন চোখ দিয়েই ধর্ষণ করে যাচ্ছে যৌবনের নেশায় নারীরূপ সামনে পেলেই
কিংবা কদর্য যৌনতার নোংরা চোখ দিয়ে চেটে পুটে করছে তৃষ্ণা নিবারণ
জাগে না ভাবনা মনে তার, এ যে আমাদেরই মায়ের জাত
যার গর্ভে থেকে নয় মাস অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে বের হয়েছে
এক যৌন লোলুপ মানব দানব
কি অকাতরে করে যাচ্ছে আজ জন্মদাত্রী গোত্রের চরম সর্বনাশ।
আমার প্রথম স্বত্বা যুজে চলে প্রতিনিয়ত দ্বিতীয় স্বত্বার সাথে
প্রায়শই হেরে যায় ভালো মন্দের এই যুদ্ধের মাঝে
আমি ক্লান্ত চোখে স্তব্ধ হয়ে চেয়ে রই দ্বিতীয় স্বত্বার দিকে
যে কিনা নারীর অঙ্গে খুঁজে বের করে বেশ্যার মানসরূপ
করে তাকে পণ্য কাম-লিপ্সায় হিতাহিত শূন্য
নোংরা যৌবনের জয়ধ্বনি বেজে ওঠে আমার অস্তিত্ব জুড়ে
আমি অসহায়, আমার প্রথম স্বত্বা কেঁদে ওঠে হায়
মা জননী আমায় তুমি ক্ষমা কর
আমি আজ হেরে গেছি আমার নিজের কাছে
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে দেখি নিজেরই আরেক রূপ।
বিবেকের কঠিন কষাঘাতে যেন চিনি আপনারে
জীবনের কঠিন সত্য ফুটে ওঠে গাঢ় বেদনাতে
আমিও আর দশজনের মতই পরাজিত জীবন যুদ্ধে
লালসার কাছে, ধিক আমায় ধিক।
লেখা হয় না ভিন্ন কবিতা মানবতা ঘিরে মানুষের কল্যাণে
নষ্ট যৌবনের পরাজয়ের কথা লিখে যাই অকপটে
আঁকা হয় না আর মনের ছবিটা প্রিয়ার মুখটাকে মনে করে
একে যাই বেশ্যার কদর্য লোভনীয় দেহটারে
জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছি লালসার কাছে
ধিক আমায় ধিক।