somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে

৩১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতন্ত্র হল জনগণের শাসন। জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কার্যকর হয়। গণতন্ত্রে জনমতের প্রতিফলন থাকে, গণতন্ত্রে সকলের মতের প্রাধান্য থাকে বলে এই শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহ এত বেশি। গণতন্ত্রের কারণেই মানুষ সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে পারে। আজকাল টেলিভিশনে টকশোতে, সেমিনারে, বিভিন্ন আলোচনায় সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা হয় একমাত্র গণতন্ত্র আছে বলেই। গণতন্ত্র না থাকলে জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা থাকেনা, সরকার স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। সরকার তখন নিজের ইচ্ছামত শাসন পরিচালনা করে, জনগণের চাওয়া ও আশা আকাঙ্খাকে পদদলিত করে। তাই স্বৈরাচারী শাসন আর কেউ আশা করেনা। এমনকি বর্তমানে কেউই মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার আশাও করে না। পৃথিবীতে সর্বত্র গণতন্ত্রই এখন সমাদৃত। আরব বিশ্বের সাম্প্রতিক আন্দোলন এর স্পষ্ট উদাহরণ। গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনের কাছে হার মেনে কোন কোন শাসক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর সেসব দেশে নির্বাচন হচ্ছে। অথচ ধারনা করা হয়েছিল এই দেশগুলোতে যেভাবে স্বৈরাচারী শাসনের ভীত গড়ে উঠেছিল তা কখনই ভেঙ্গে যাবে না। আমাদের দেশেও একসময় পরিবার ও দলকেন্দ্রিক রাজনীতির অবসান ঘটবে। তবে সেটা হবে নিয়মতান্ত্রিক পথেই। বিলম্বে হলেও সেটা নিয়ে সিডিএলজি কাজ শুরু করেছে। তারা সেই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার জন্য সভা-সেমিনার শুরু করেছে।
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যদিও তা পরিবারতান্ত্রিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এখানকার জনগণ গণতন্ত্রের শাসনকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়। গণতন্ত্রের প্রশ্নে বাংলাদেশের মানুষ সবসময় আপোষহীন থেকেছে। এমনকি বর্তমান সরকারি দল ও বিরোধী দল যারা সর্বদা পরপষ্পরের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে, তারাও এরশাদ সরকারের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে একই প্লাটফর্মে এসেছিল। আবার গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্বৈরাচারী শাসনের বীজ রোপন করতে চাইলে এই দুই মেরুর দলদুটির মধ্যে ঐক্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। অর্থাৎ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোন আঘাত আসলে এদেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো আবার একই প্লাটফর্মে আসবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এতে প্রমাণিত হয় এদেশের মানুষ গণতন্ত্র ভিন্ন অন্য কিছু চায় না।
কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে যে গণতন্ত্র আছে তাতে কি এদেশের জনগণ সন্তুষ্ট? এই গণতন্ত্র কি জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দিয়ে থাকে? এই গণতন্ত্র কি আজ শুধু ভোট দেওয়া ও নেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়? বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রের মধ্যে শুধু গণতন্ত্র উচ্চারণটিই ঠিক আছে, তাছাড়া আর কিছু ঠিক নেই। এই গণতন্ত্রে জনমতের প্রতিফলন হয়না, যদি হত তাহলে আকাশ পরিমাণ জনগণের সমর্থন নিয়ে আসা একটি সরকার মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে এভাবে জনপ্রিয়তা হারাতো না। বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্র এতই ভঙ্গুর যে এখানে তৃতীয় শক্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গণতান্ত্রিক তৃতীয় শক্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাই আজ সময় এসেছে গণতন্ত্রকে এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে ঢেলে সাজানোর। এক্ষেত্রে কয়েক বছর যাবত সেন্টার ফর ডেমোক্রাটিক লোকাল গভার্ন্যান্স (সিডিএলজি) বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী গণতন্ত্র এবং সেই লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য মাধ্যম হিসেবে গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের পক্ষে বেশ কিছু সুচিন্তিত যুক্তি উপস্থাপন করে যাচ্ছে। এই সংগঠনটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে তাদের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার জন্য সভা-সেমিনার শুরু করেছে।
সিডিএলজি’র সদস্য মোশাররফ হোসেন মুসা গত ১৭ জুলাই সিডিএলজি’র সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মজুমদার কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- সরকার কি, সরকার কি ভাবে গঠিত হয়, সরকারের কোন বিভাগে কি কাজ ইত্যাদি বিষয়গুলো জনগণের নিকট দৃশ্যমান করার জন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিটি ইউনিটে ‘ সরকার কাঠামো’ থাকা জরুরী। কিন্তু বাস্তবে এদেশে ‘স্থানীয় সরকার’ নামে পৃথক কোন সরকার ব্যবস্থা নেই । এমন কি পাঠ্যপুস্তুক ও সরকারি বিধি-বিধানে স্থানীয় সরকারের স্তর বিন্যাস, নামকরণ, প্রকারভেদ করণ ইত্যাদি বিষয়ে ভুলত্রুটি রয়েছে। সেজন্য সর্বপ্রথম পাঠ্যপুস্তক ও সরকারি বিধি-বিধানে বিষয়গুলো শুদ্ধভাবে লেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। গত ১৮ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাজিব মীর কর্তৃক আয়োজিত আরও দুটি সেমিনারে অনুরূপ বক্তব্য দেয়। এর আগে ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আরও কয়েকটি সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। তার বক্তব্যের মূল কথা হলো- এই যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনিক স্তরবিন্যাসে ত্র“টি রয়েছে। একই কাজ করার দায়িত্ব একাধিক স্থানীয় ইউনিটের উপর ন্যস্ত আছে। ফলে কোন কাজ কে সম্পন্ন করবে তা নিয়ে সবসময় তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। মোশাররফ হোসেন মুসা শুধু গণতন্ত্র নয় বরং স্থায়ী নগরায়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন তার সেই সেমিনার বক্তৃতায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রাম অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান। নগর হল সভ্যতার স্থায়ী ও প্রকৃত ঠিকানা। মানুষ লাখ লাখ বছর যাবৎ গ্রামীণ সভ্যতায় বসবাস শেষে দীর্ঘস্থায়ী নগরীয় সভ্যতার সূচনালগ্নে রয়েছে। অথচ নেতা-নেত্রীদের মুখে এ বিষয়ে কোন পরিকল্পনা কিংবা প্রস্ততির কথা শোনা যাচ্ছে না । প্লানের আগে স্যাটেলমেন্ট হয়ে গেলে সমগ্র দেশটি ঢাকার মত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। সেজন্য তিনি পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পিত ‘একরূপ নগর ও নগর সরকার’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে অংশ গ্রহণের আহব্বান জানান ।
উল্লেখ্য যে, একটি সমন্বিত গণতন্ত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পথের সমস্যাগুলো ও এদের সমাধানের সূত্র নির্দেশ করতে ১৯৯৭ সালের ১৩ জানুয়ারী জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক সেমিনারে তৎকালীন স্থানীয় সরকার কমিশনের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট রহমত আলী এমপি ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদের উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার বিষয়ক গবেষক ও সিডিএলজির নির্বাহী পরিচালক আবু তালেব প্রণীত ‘গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা’ উপস্থাপিত করা হয়। উক্ত রূপরেখায় বাংলাদেশে দুই প্রকারের সরকার (কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার) ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। আর তিন প্রকারের স্থানীয় ইউনিট ও তিন প্রকারের স্থানীয় সরকার গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে। তিন প্রকারের স্থানীয় ইউনিট হল: এক, গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় ইউনিট; দুই, গ্রামীণ স্থানীয় ইউনিট; এবং তিন, নগরীয় স্থানীয় ইউনিট। আর তিন প্রকারের স্থানীয় সরকার হল: এক, গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় সরকার; দুই, গ্রামীণ স্থানীয় সরকার; এবং তিন. নগরীয় স্থানীয় সরকার। এই রূপরেখায় গ্রামীণ স্থানীয় সরকারগুলো পরিবতর্তিত হয়ে নগরীয় স্থানীয় সরকারে পরিবর্তন হওয়ার বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় সরকারের দুটি বিকল্প স্তরগত নীলনকশা উপস্থাপিত করা হয়। স্থানীয় সরকারের স্তরগত নীলনকশা (১) অনুযায়ী বিভাগ হবে স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট। গ্রামীণ এলাকায় ইউনিয়ন সরকার ও নগরীয় এলাকায় নগর সরকার হবে স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন ইউনিট; গ্রামীণ এলাকার একধরনের ইউনিয়ন ইউনিট এর মত নগরীয় এলাকায় দুইধরনের ইউনিটের (পৌরসভা ও নগর কর্পোরেশন) পরিবর্তে একধরনের নগর ইউনিট গঠন করার সুপারিশ করা হয়। গ্রামীণ ইউনিট হিসেবে উপজেলা ও জেলা হবে মধ্যবর্তী ইউনিট। স্থানীয় সরকারের স্তরগত নীলনকশা (২) অনুসারে বিভাগকে বিলুপ্ত করে জেলা হবে স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট। ইউনিয়ন ও নগর উভয় ইউনিট হবে সর্বনিম্ন ইউনিট। আর উপজেলা হবে মধ্যবর্তী ইউনিট। এরকম একটা নকশা গৃহীত হলে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ইউনিটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব আগে ঠিক করা হলে মধ্যবর্তী ইউনিট হিসেবে উপজেলা ও জেলার কাজ কি হবে, অর্থ কোথা থেকে আসবে তখন সেসব বিষয় অবশ্যই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আবু তালেব প্রস্তাবিত গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে সরকার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভেবে দেখা উচিত। সেই সাথে দেশের সুশীল সমাজের উচিত বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ করা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদেরকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। এদেশের তরুণ সমাজ বরাবরই গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার ছিল। তারা বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর এবং নব্বই এর আন্দোলনে জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই দেশের শাসনব্যবস্থায় প্রকৃত গণতন্ত্র আনার জন্য এবং গণতান্ত্রিক সরকারের সুফল তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌছে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের অবতীর্ণ হতে হবে কান্ডারীর ভূমিকায়। কেননা, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তরুণদের উচিত নিজেদের মত করে শাসনব্যবস্থাকে সাজিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটানোর চিন্তা করা। নতুবা যে প্রথাগত শাসন আমাদের দেশে চালু আছে তার মাধ্যমে রাজনীতিবিদরা সবসময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত থাকবে, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাই সময় থাকতেই আমাদের সুপারিশগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় এবং সুষ্ঠু শাসনব্যবস্থা কায়েমে আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×