somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

• অজানা রহস্য •

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পৃথিবীর রহস্যময় স্থানগুলোর অন্যতম। কিন্তু ইতোমধ্যেই যে প্রমাণিত হয়েছে, কিছু প্রকৃতিগত ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য ছাড়া এই ট্রায়াঙ্গল অন্য সব এলাকার মতোই স্বাভাবিক- সেই খবর বোধকরি খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেনি।

এটা ঠিক, পৃথিবীর সবচাইতে অভিশপ্ত স্থানগুলোর মধ্যে বারমুডা টায়াঙ্গল বা ত্রিভুজকে চ্যাম্পিয়ন বলে মনে করা হয়। কারণ এ যাবৎ এখানে যতো রহস্যময় ও কারণহীন দুর্ঘটনা ঘটার কথা শোনা গিয়েছে, অন্য কোথাও এতো বেশি এরকম দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করা হয়। এ জন্যে স্থানীয় অধিবাসীরা এ এলাকাটির নামকরণ করেছে পাপাত্মাদের ত্রিভুজ।

বারমুডা ত্রিভুজের অবস্থান হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরে। মোট তিনটি প্রান্ত দ্বারা এ অঞ্চলটি সীমাবদ্ধ বলে এর নামকরণ করা হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বা বারমুডা ত্রিভুজ। এ অঞ্চলটি যে তিনটি প্রান্ত দ্বারা সীমাবদ্ধ তার এক প্রান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফোরিডা, একপ্রান্তে পুয়ের্টো রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারমুদা দ্বীপ অবস্থিত। ত্রিভুজাকার এই অঞ্চলটির মোট আয়তন ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটার বা ৪৪ লাখ বর্গ মাইল। এটি ২৫-৪০ ডিগ্রি উত্তর আংশ এবং ৫৫-৫৮ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

এ অঞ্চলের রহস্যময়তার একটি দিক হলো, কোনো জাহাজ এই ত্রিভুজ এলাকায় প্রবেশ করার কিছুণের মধ্যেই তা বেতার তরঙ্গ প্রেরণে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং এর ফলে জাহাজটি উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়। একসময় তা দিক নির্ণয় করতে না পেরে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। মার্কিন নেভির সূত্র অনুযায়ী, গত ২০০ বছরে এ এলাকায় কমপে ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ২০টি বিমান চিরতরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৯৬৮ সালের মে মাসে হারিয়ে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ডুবোজাহাজের ঘটনাটি সারা বিশ্বে সবচাইতে বেশি আলোড়ন তুলে।

১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই পাচটি বোমারু বিমান প্রশিক্ষণ চলাকালীন হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাবার মুহূর্তে বৈমানিকদের একজন অতি নিম্ন বেতার তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার এই বেতার বার্তাতে বারবার একটি কথাই বলা হচ্ছিলো, ‘সামনে প্রচণ্ড কুয়াশা। আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় যে যাচ্ছি তাও বুঝতে পারছি না। আমাদেরকে উদ্ধার কর।’ এ বার্তা পাওয়ার পরপরই মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী টিম এ অঞ্চলের দিকে রওয়ানা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তারাও নিখোঁজ হয়ে যায়। এভাবে এ এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে মনে করা হয়। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হলো, হারিয়ে যাওয়া এসব যানগুলোর কোনো ধ্বংসাবশেষ পরবর্তীকালে অনেক খুঁজেও পাওয়া যায় নি।

এর রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন সময়ে বেতার তরঙ্গের অনুপস্থিতির কথা বলা হলেও এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। মার্কিন সামরিক বাহিনী এ এলাকায় বেশ কিছু গবেষণা চালিয়েও তেমন কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। অনেকে মনে করেন, নাবিকদের ভাষ্য অনুযায়ী এ এলাকায় মাঝে মাঝে বেতার তরঙ্গ হয়তো হারিয়ে যায়, তবে তা সবসময়ের জন্য নয়। কারণ পৃথিবীর কোনো এলাকায় স্বাভাবিক বেতার তরঙ্গের প্রবাহ হারিয়ে যেতে বা নিশ্চিহ্ন হতে পারে না। তা হলে সারা পৃথিবীর বেতার সিস্টেমই ধ্বংস হয়ে যাবে।

তবে গবেষকরা হারিয়ে যাওয়া যানের ধ্বংসাবশেষ না পাওয়ার যে ব্যাখ্যাটি তারা দিয়ে থাকেন সেটি হলো, আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে একটি অন্যতম গভীর স্থান হচ্ছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এমনকি আধুনিক ও প্রশিক্ষিত ডুবুরি সরঞ্জাম দিয়ে এই অঞ্চলে উদ্ধার কাজ চালানো এখনো দুরূহ। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির কারণে ধ্বংসাবশেষ কোথায় আছে তা হয়তো জানা সম্ভব, কিন্তু সেগুলো উদ্ধার করা ততোটাই কঠিন। ফলে এ এলাকায় কোনো ধ্বংসাবশেষ নাও পাওয়া যেতে পারে।

একটা কাহিনী বলি শুনুন!! একটা নাদুস নুদুস

বাচ্চা ১০তলা বিল্ডিং এর উপর খোলা জানালার পাশে বসে খেলছে।।
হটাতবাচ্চাটি জানালা দিয়ে পড়ে গেল!! ১০ তলা বিল্ডিং এর উপর
থেকে বাচ্চাটি নিচে পড়ছে!! এমন সময়নিচ
দিয়ে যাচ্ছিল এক হিরো!! খালি হাতে ক্যাচ
ধরল সে!! বেঁচে গেলো বাচ্চাটি!! সুপার
হিরোর প্রশংসায় সবাই পঞ্চমুখ!!
আপনারা নিশ্চয়ই সবাই বুঝে গেছেন
আমি হলিউড সিনেমার একটা দৃশ্য
বর্ণনা করলাম এতক্ষন!!
এখন শুনুন আসল ঘটনা!! উপরের
কাহিনীটি সম্পূর্ণ সত্য!! ছবিতে যেই
বাচ্চাটিকে দেখছেন ওর নাম ঝ্যাং ফাংইউ!!
একদিন সে খেলতে খেলতে ১০ তলার উপর
থেকে জানালা দিয়েপড়ে যায়।। ঠিক সেই
সময় নিচ দিয়ে যাবার সময়
বাচ্চাটিকে পড়তে দেখে ২ হাত
বাড়িয়ে ধরে ফেলেন উ জুপিং নামের একজন
মহিলা (ছবির মহিলাটি)!! বেঁচে যায়
বাচ্চাটি।। মহিলার একটি হাত ভেঙ্গে যায়
এসময়!! বিস্ময়কর!!


খুনী হ্রদ (killer lake ) কেমেরুন

প্রকৃতি আমাদের পৃথিবী কে দিয়েছে অপুর্ব সুন্দর কিছু জায়গা ঠিক তেমনি দিয়েছে ভয়ঙ্কর কিছু জায়গা। আর সেই রকম একটি জায়গা হল মৃত্যু হ্রদ বা killer lake. এটি camaroon এ অবস্থিত।এর আসল নাম Nyos হলেও স্থানীয় ভাবে এটি খুনী হ্রদ নামেই পরিচিত।এটি একটি মৃত আগ্নেয়গিড়ির জ্বালামুখে অবস্থিত। এটি লাভায় পরিপুর্ন থাকলেও এর উপরে রয়েছে গভীর পানি আর এর মধ্য দিয়ে ধিরে ধিরে নির্গত হচ্ছে কার্বনডাই-অক্সাইড। পর্বতের এই অংশ টি ওক পর্বতমালার অন্তর্গত যা ক্যামেরুন এর উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত।এটার নাম মৃত্যু হ্রদ কারন ১৯৮৬ সালের দিকে এর থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডের এক সুবিশাল বুদ্বুদ বের হয় যা সালফার এবং হাইড্রোজেন সঙ্গে মিশে বায়ুমন্ডলে মিশে যায়।সর্বমোট ১.৬ টন পরিমান এই গ্যাস চারিদিকে ছড়িয়ে যায়।এর বিস্তারের পরিমান ছিল কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার। আর এই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে দুই ঘন্টায় প্রায় ১৭০০ জন মানুষ ও ৩৫০০ গবাদী পশু মারা যায়।যারা বেচে ছিল তাদেরকেও দির্ঘমেয়াদি কষ্টকর পার্শপ্রতিক্রিয়া যেমন ক্ষত, টিস্যু পোড়া এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা প্রভৃতিতে ভুগতে হয়েছিল।


ঈগলহক নেক (Eaglehawk nack)Tasmania

প্রকৃতির আরেকটি বিশ্বয় হল তাসমানিয়ার ঈগলহক নেক।এটা অস্ত্রেলীয়ার তাসমানিয়ায় অবস্থিত। ঈগলহক নেক প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট খুব সঙ্কির্ন ভুমি বা রাস্তা (Isthmus) যা দুটী আলাদা ভুখন্ড কে এক করেছে। এই ভুখন্ড গুলি হল তাসমানিয়া উপদ্বীপ ও তাসমানিয়া।এই isthmus টি ৪০০ মিটার লম্বা এবং প্রস্থে এর সবচেয়ে সংকির্ন স্থানটি হল ৩০মিটার। স্থানীয় ভাবে এটা “নেক” নামে পরিচিত।ভু-তাত্বীক ও ঐতীহাসীক দুই দিক থেকেই ঈগলহক নেক তাৎপর্যপুর্ন। ব্রিটিস নির্বাসিত বন্দিরা পোর্ট আর্থার কারাগার থেকে পালানোর জন্য ঈগলহক নেক ব্যাবহার করত। তাই এই পালিয়ে যাওয়া রুখতে ১৮৩০ সালেব্রিটিশরা সেখানে ভয়ঙ্কর কিছু কুকুর সেখানে পাহাড়া বসিয়েছিল।আর সেটাই ইতিহাসে বিখ্যাত Dog line নামে পরিচিত। অনেক বন্দিই এই নেক দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল।
ঈগলহক নেক আরো বিখ্যাত ও জনপ্রিয় এর ভৌগলিক পরিবেশের জন্য। ছবিতে আপ্নারা শষ্যক্ষেতের মত যা আপ্নারা দেখতে পাচ্ছেন তা হল প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট tessellated pavement(ক্ষয়ের কারনে সৃষ্ট দুর্লভ ভুমিরুপ)।

৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×