মেঘমেদুর আকাশেতে ক্ষণে ক্ষণে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে চাঁদ
যেন পূর্ণিমার আগমনের আভাস দিয়ে যাচ্ছে
সামনে পূর্ণিমা
ফকফকে জ্যোৎস্নার পথ চেয়ে বসে আছি আমি
কথা ছিল আমাদের দেখা হবে জ্যোৎস্না রাতে
তুমি পড়ে আসবে আমার দেয়া নীল সাড়ি খানি
নীল পরীর বেশে
আমাকে কিনে দিয়েছিলে হলুদ একটি পাঞ্জাবী
আমি তোমাকে বলেছিলেম হলুদ আমার অত্যন্ত অপছন্দের রঙ
তুমি কথা শোননি, আমাকে দেখতে চেয়েছ হিমুর বেশে কেন জানি।
আমি এখন প্রতি জ্যোৎস্না রাতে তোমার দেয়া হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে
অপেক্ষায় থাকি, তোমার অপেক্ষা
তোমার দেয়া হলুদ পাঞ্জাবীটি বড্ড আগলে রেখে দিয়েছি যতন করে
যাতে সেথায় কোন দাগ না পড়ে
আজো প্রতি জ্যোৎস্না রাতে আলমিরা থেকে বের করি
ইস্ত্রির ভাজ খুলে গায়ে চড়াই তোমার দেয়া পাঞ্জাবী
তারপর অপেক্ষার পালা
একে একে সেই কত দিন কেটে গেছে
কত জ্যোৎস্না ঢলে পড়েছে অমাবস্যার গায়ে
কত বছর যে কেটে গেছে এখন আর তার হিসেব করে পাই না।
তুমি কথা রাখনি
একবারও আসোনি আমায় দেখা দিতে
আমার দেয়া নীল সাড়ি পড়ে
তবুও আমি অপেক্ষার প্রহর গুনি
প্রতি চন্দ্রবেলার হিসেব কষি সব কাজ ফেলে
যদি ভুল করে তুমি চলে আস সেই সুদুরের ওপার থেকে
তোমার হিমুর দেখা পেতে।