somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাসুদ রানা সাব্বির
আমি মাসুদ রানা সাব্বির। নারায়ণগঞ্জ জেলায় বাড়ি। বর্তমানে আরব আমিরাতে আছি। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি। অন্যের দুঃখে দুখী হই। ভালো লাগে প্রেমের কবিতা লিখতে। ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেও ভালোই লাগে।

আর নয় ‘অলসতা’

২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অলস কথাটা নিজের বেলায় শুনতে মোটেও ভালো লাগে না। যদি কেউ তোমাকে অলস বলে ফেলে তখন কিন্তু তোমার যথেষ্ট খারাপ লাগার কথা। কিন্তু অলস হয়ে বসে থাকার সময় আমাদের মাথায় এসব চিন্তা আসে না। কেউ অলস বলার আগেই অর্থাৎ নিজের দোষটা অন্য কেউ ধরিয়ে দেয়ার আগে নিজেই তা সারিয়ে ফেললে ভালো হয় না? আলসেমি থেকে বেরিয়ে আসাটা কিন্তু কোনো কঠিন কাজ নায়। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় তা তো জানই।

আলসেমির উৎস সন্ধান
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আলসেমি একটি বংশগত রোগ। পরিবারের লোকজনের মধ্যে আলসেমির লক্ষণ থাকলে তোমার মধ্যেও তা আসতে পারে। আবার অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতার কারণেও আলসেমি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে যারা একটু তুলনামূলক ফ্যাট তারাও আলসেমিতে ভুগে থাকেন।

মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, আলসেমি ব্যাপারটা মূলত একটা বিদঘুটে মনের ভাব। অলস হওয়ার প্রশ্রয় একবার পেয়ে বসলে আলসেমি জিনিসটা স্বভাবে দাঁড়িয়ে যায়। তাই এটা কাটিয়ে উঠতে প্রথমেই যেটা দরকার তা হলো মনের জোর এবং নিজের কর্মক্ষমতার ওপর বিশ্বাস। ‘আমার কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করছে না। এখন না, থাকুক। ওটা পরে করব। এখন একটু ঘুমিয়ে নিই।’ এ ধরনের মনোভাবকে ইচ্ছা করলেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া যায়। পুরো ব্যাপারটা আসলে নির্ভর করছে তোমার ওপর।

আলসেমি আর না-
অনেকক্ষণ পরিশ্রম করার পর খুব বেশি ক্লান্তিবোধ করলে হাতের কাজ রেখে একটু বিশ্রাম নিতে পার, শরীরটাকে এলিয়ে দিতে পার বিছানায়। তবে প্রতিদিন এটা করলে ধরে নিতে হবে তুমি ভারি অলস, এতে তোমার পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হবে। এর প্রভাব পড়বে তোমার ভবিষ্যৎ জীবনে।

আমাদের এই ছোট্ট জীবনে করার মতো কাজ অনেক কিন্তু সময় খুব কম। তাই আলসেমি করে সময় নষ্ট করলে এক সময় পস্তাতে হবে। শরীরকে তো একটু-আধটু প্রশ্রয় দেবে। তবে সেটা খুব বুঝেশুনে। কথায় বলে, শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়।

সময় নষ্ট করাকে প্রশ্রয় দিলে আলসেমি তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। আবার মনের জোরে যদি কাজে নেমে পড়তে পার, তাহলে দেখবে আলসেমি কোথায় পালাবে। আলসেমি শুধু পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে না, ক্ষতি করে সম্পর্কেরও।

আলসেমির কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কোনো মধুর সম্পর্ক। কারও সঙ্গে দেখা করার সময় যদি আলসেমি করে নির্দিষ্ট সময়ের পর স্পটে যাওয়া হয়, তাহলে প্রিয়জনের গোমড়া মুখ দেখা অনেকটাই নিশ্চিত।

আর এভাবে একাধিকবার হলে তো কথাই নেই। একেবারে সম্পর্কের সাড়ে সর্বনাশ! তাই সাবধান। কেউ কিছু করছে না। আমি কী করব? এসব ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে নিজের জন্য। এগিয়ে যেতে হবে নিজের শক্তিতে। যদি অসুস্থতা তোমার আলসেমির কারণ হয়, তাহলেও ঘাবড়ে যেয়ো না। কোনো কাজ করতে চাইলে নিজেকে নিজে উৎসাহ দাও।

মনে করো, একবার একটা সুযোগ হাতছাড়া হলে দ্বিতীয় সুযোগ কবে পাবে তার ঠিক নেই। তাই অলসতা কাটিয়ে নতুন উদ্যম ও উৎসাহে জেগে ওঠো এখনি। দেখবে, তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নতুন এক পৃথিবী, যেখানে তুমিই সেরা। তুমিই সব।

টিপস
এ পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করো। কোন কাজটা আগে এবং কোনটা পরে করবে, সেটা বুঝে নিয়ে প্লানিং করলে উৎসাহ হারানোর আশঙ্কা কম। অলস লোকদের কথায় মোটেও প্রভাবিত হবে না।

বেশি ভেবে সময় নষ্ট না করে কাজে নেমে পড়ো। অনেক সময় কাজ করতে করতেই নতুন আইডিয়া মাথায় আসে।নতুন কিছু করতে চাইলে কারও উদ্যোগের অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজে উদ্যোগ নাও এবং তারপর লোকজন জোগাড় করার চেষ্টা করো। সহজে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়ো না। হতাশায় ভুগে নিজের উৎসাহ নষ্ট না করে কীভাবে হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে সব শুরু করবে, তার দিকে গুরুত্ব দাও।


মূল লেখক: জাহাঙ্গীর আলম মাসুম
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×