মস্তিস্কের মাঝে সব জট পাকিয়ে যাচ্ছে ইদানিং
আবোল তাবোল সব ভাবনাগুলো একে একে মনের মাঝে উঁকি দিয়ে যায়
তোমায় নিয়েই যত ভাবনাগুলো
ভাবায় আমায় রাতদুপুরে অতি সংগোপনে।
সকাল বেলায় সূর্যলোকের কিরণ দিয়ে দিনের শুরু
তবু যেন মনের মাঝে মেঘের ডাক গুরু গুরু
ডাকছ আমায় কোথা থেকে কোন সুদুরে বসে থেকে
ওলোট পালট সকাল থেকেই কাজের দিনে হলো শুরু
ঘর থেকে যে বাহির হলাম, চৌকাঠেতে হোচট খেলাম
মা বললেন একটু বসে যা বাছা,
কোথায় জানি তোর লাগি কার মন পুড়ছে কোথা
কে জানি মনে করছে তোর কথা
আমি জানি কোথায় বসে ভাবছ তুমি
শুধুই আজ আমার কথা।
ঝাঁ ঝাঁ রোদ মাথার ওপর তবু পথে হেটে চলি
ছাতিম গাছ আর কোথাও নেই ভালো করেই সেটা জানি
তবু জানি কোথায় বসে শাড়ির আঁচল পেতে
মাথার ওপর ধরে আছ একটু ছায়া দিতে
রোদকে আমার বড় যে ভয়
ভালো করেই জানতে তুমি।
মধ্যাহ্নের অলস বেলায় তোমার কথা মনে পড়ে যায়
খাবার হাতে বসে থাকি তোমার কথা ভাবি
হঠাত করেই বিষম খেলে খুশিতে ভরে মন
কোথাও বসে ভাবছ তুমি আমার কথাই এখন
পানির গ্লাসটি এগিয়ে ধরে বলছ যেন আমায় তুমি
লক্ষ্মী ছেলে এক ঢোকেতে খালি কর গ্লাসের পানি।
বিকেল বেলায় বৃষ্টি নামে ঝুমঝুমিয়ে নুপুর পায়ে
ভিজতে মনে স্বাদ যে জাগে তোমার পাশে গুনগুনিয়ে
মনে মনে হাতটি বাড়াই যেন তোমার স্পর্শ যে পাই
দুজন মিলে বৃষ্টিবিলাশ দুজন মিলেই সন্ধ্যে হারাই
বর্ষা পাগল ছিলে তুমি বৃষ্টি পাগল ছিলেম আমি
বর্ষাদিনে কদম তলায় মধুর সুরে ডাকতে স্বামী।
কালের ফেরে ভাগ্যদোষে আজ আমারা ছিটকে গেছি
দুই ভুবনে দুজন বসে তবু আমরা ভালোবাসি
দুজন আছি দুই ভুবনে তবুও আছি মনের কোনে
যেন কাছে আছি দুজন মিলে মিশে মনে মনে
ভাগ্যকে দোষারূপ কোর না কিন্তু আর
একটুও মন খারাপ কর না যেন
সব সময়ই আছ তুমি আমার সাথে মিলেমিশে
আমার বুকের মধ্যখানে
হয়তো আবার আমাদের দেখা হবে অন্যভুবনে অন্যবেশে
সেদিন দেখো, তোমাকে ঠিক খুঁজে নেব আমি
হারাতে দেবনা আর কোন ছলনাতে।