somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মিজানুর রহমান মিলন
আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ‍মুক্তমনা ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কোন সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরাগ থাকলে বলা হয় সাম্প্রদায়িক । পৃথিবীতে মানুষ তো দুরে থাক এমন কোন প্রাণী খুজে পাওয়া যাবে না যে তারা সম্প্রদায়ভূক্ত নয় । এই দৃষ্টিকোন থেকে বলা যায় আমরা সবাই সাম্প্রদায়িক।একটা জিনিস আমরা ভূলে যাই মানব সভ্যতা শুরু হয় এই সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করেই । কারণ মানুষ আদিকাল থেকেই দলবদ্ধভাবে বসবাস করত।

ধর্মনিরপেক্ষতা হল-কোন ধর্মের প্রতি অনুরাগ ও বিরাগ নেই । বাস্তবে এরকম কোন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর।
অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ দু’টো ব্যাক্তিগত পর্যায়ে এর কতটুকু প্রয়োগ তা আলোচনার দাবি রাখে। কারন প্রত্যেক মানুষের একটা নির্দিষ্ট বিশ্বাস আছে হোক সে আস্তিক অথবা নাস্তিক এবং ব্যক্তিগতভাবে তার সেই বিশ্বাস পালন ও লালন করে যা করতে দোষের কিছু নেই ।নিজ ধর্ম ও বিশ্বাস পালন করে যদি অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয় তাহলে নি:সন্দেহে সেটা এক ধরণের অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা । আর এই ধরণের অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতাই আজ বিশেষভাবে প্রয়োজন।


তবে রাস্ট্রীয় পর্যায়ে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ দু’টোর প্রযোগে যথার্থতা আছে । কারণ কোন রাস্ট্রে একক কোন জাতি বসবাস করে না । বহু জাতির বসবাস । রাস্ট্রের কাছে সব নাগরিকের অধিকার সমান যেমন একজন মায়ের কাছে তার সব সন্তানের মূল্য একই । রাস্ট্রে ন্যায় বিচার ও শান্তি-শৃঙ্খলা, উন্নতির স্বার্থে রাস্ট্রকে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে আর এটাই আধুনিক রাস্ট্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ।

তবে কোন দল বা গোষ্ঠী যদি নিজেকে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতা দাবী করে কিন্তু বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন না ঘটায় তাহলে সেই দল বা গোষ্ঠী কিভাবে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ হয় ? উদাহরণ- ভারতের পশ্চিম বঙ্গ দীর্ঘ তিন দশক ধরে ধর্মনিরপেক্ষ বাম দল শাসন করার পরও সেই পশ্চিম বঙ্গে সরকারী চাকুরীজীবির ১% মুসলমান যেখানে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমের হার ৩০% ! ( সূত্র সাচার প্রতিবেদন)।

এর বিপরীতে যদি কোন ডানপন্থী দল ক্ষমতাসীন হয়ে দেশের সব নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধা, সব ধর্ম, বর্ণের মানুষের জন্য ন্যায় বিচার করতে পারেন তাহল নি:সন্দেহে সেই দল অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ । মেকি ধর্ম নিরপেক্ষতার চেয়ে এ ধর্মনিরপেক্ষতা হাজারগুণে ভাল ।

মুক্তমনা । এই শব্দটা পুরোপুরি বোগাস । এর কোন কানাকড়িও মুল্য নেই । এর প্রয়োগ নয় অপপ্রয়োগ আছে । সাধাণত যারা নাস্তিক ও ধর্ম (ইসলাম) বিদ্বেষী তারা মুলত নিজেকে মুক্তমনা দাবি করেন যদিও বাস্তবে তারা মোটেই মুক্তমনা নয় । কারণ তারাও একটা নির্দিষ্ট বিশ্বাস লালন করেন ও প্রচার করেন। মুক্তমনা-শব্দগত অর্থের দিকে গেলে দাড়ায় মুক্ত চিন্তা করেন যারা । যার মানে দাড়ায় আপনি কোন আইনের মধ্যে আবদ্ধ নন। যখন কেউ একাকী অবস্থান করে তখন সেই মুক্তভাবে থা্কতে পারে বা মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারে কিন্তু সমাজে বসবাস করতে হলে সেই সমাজের নিয়ম কানুন, কৃষ্টি-কালচার মেনে চলতে হয় । যে দেশে বসবাস করি সে দেশের আইন-কানুন মেনে চলতে হয় তাহলে সে মুক্তমনা হল কিভাবে ?

আসলে এই শব্দটা মুলত ব্যবহার হয় নাস্তিকতা ও ধর্ম -বিদ্বেষীতার ক্ষেত্রে । সেই সংজ্ঞানুসারে ধর্মকে আকড়ে থাকলে আপনি মুক্তমনা নন কিন্তু ধর্মের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই আপনি মুক্তমনা আবার ধর্মের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসলেও হবে না ।মুক্তমনার সার্টিফিকেট পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধর্মের বিরুদ্ধে যত পারেন কুৎসা, স্যাটায়ার, গীবত, সমালোচনা করতে হবে। ধর্মের প্রসিদ্ধ পুরুষদের বাপ-দাদা চৌদ্ধ গুষ্ঠি উদ্ধার করতে হবে । তবেই না হবেন মুক্তমনা !
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×