somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এতদিন কোথায় ছিলাম?

২৭ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেখানে থাকার সেখানেই ছিলাম। ব্যস্ততা অবসর দেয় নি হয়ত। হয়তবা অবসর আমিই নিই নি। যাই হোক....এখন থেকে নিয়মিত আবজাব লিখন চলবে।

গত পোস্ট আর এই পোস্টের মধ্যবর্তী সময়ে অনেক কিছুই ঘটেছে। সেগুলো বলে টাইম নষ্ট করতে চাই না। অবশ্য মনেও নাই। আমার মেমরি খারাপ। তবে একটা জিনিস মনে আছে। রিসেন্ট।

গতকাল আমার এই সেমিস্টারের শেষ ক্লাস ছিল। ৪-২ এর ভাইরা একেবারে চলে গেছেন ভার্সিটি ছেড়ে। নিনাদ নামের এক ভাই আমাকে বেশ পছন্দ করেন। পছন্দের সূত্র লেখালেখি।
লিফটের সামনে ভাইয়ের সাথে দেখা। আরো অনেকেই ছিল। নিনাদ ভাই বললেন, 'তোর সাথে কথা আছে। দাঁড়া।'
দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে নিয়ে করিডরের দিকে গেলেন।
'..... , হুমায়ুন স্যার মারা গেছেন। তাই না? কিন্তু দুঃখের ব্যাপার তিনি আমাদের মাঝে তাঁর কোন রিপ্লেসমেন্ট রেখে যান নি।
তোর মধ্যে তাঁর ছায়া দেখি আমি। তুই পারবি।' তিনি থামলেন।
আমি কিছু একটা বলতে গিয়েছিলাম।
'আমাকে শেষ করতে দে। অনেকেই তোকে অনেক উপরে তুলবে। নিজের জায়গাটা নিজেই বিচার করবি। অতৃপ্ত থাকিস।'

জীবনে দুটা ঘটনা কিভাবে ফেস করব তা নিয়ে আগে থেকেই ভাবনা ছিল। একটা ফেস করে ফেলেছি এর মধ্যে। চোখভরা অশ্রু ছিল ফেস করার পর। হুমায়ুন আহমেদ চলে গেছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় কষ্টকর একটা ব্যাপার। আমার জগতের একটা বড় অংশ খালি হয়ে গেছে।

- বইমেলা নিয়ে আগের সেই উত্তেজনাটা আর থাকবে না। যদিও আমি এক বইয়ের পাঠক না।

- ইচ্ছা ছিল আমার প্রথম বইটা তাকে উৎসর্গ করব।

- বাংলাদেশ একজন মানুষকে হারায় নি। হারিয়েছে একজন নাট্যকার, একজন লেখক, একজন পরিচালককে।

- আমার পাঠকজীবনের শৈশব কাটে তিন গোয়েন্দা নিয়ে। এরপরের পরিচর্যার ভার হুমায়ুনই নিয়েছিলেন। হিমুতে হাসিয়েছেন, কবিতে কাঁদিয়েছেন....। লেখকজীবন শুরুর সাহস ও সামনে যাবার উৎসাহও তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া।

- অনেক অনেক পয়েন্ট আছে। বলতে ইচ্ছা করছে না।

সাতদিন হয়ে গেছে। শোক অনেকটাই কেটে গেছে। একটা ব্যাপার বোঝা গেছে- 'চলে গেলেই শেষ। মৃত্যুর পরও হয়ত বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু তা আগের মত সজীব থাকে না। তাই বাঁচো- যতদিন বেঁচে থাকো।'
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×