somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধানমন্ডিতে থাকেন? তবে সতর্ক থাকুন। নাইলে নিঃস্ব হয়ে যেতে পারেন নিমিষেই

০৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা এক,
গত শুক্রবার। সময় বিকাল ৩.৪০ মিনিট। সাতমসজিদ রোড ধরে রিক্সা দিয়ে যাচ্ছে দুই পঁচিশোর্ধ যুবক। যাচ্ছে এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ল্যাপটপ ঠিক করতে। ল্যাপটপটা রিক্সার বামে বসা যুবকের কোলের উপর রাখা। রাস্তা ফাঁকা, ঝাকুনি নেই তাই শক্ত করে ধরাও নেই। ল্যাপটপের ব্যাগের ফিতাটা অল্প একটূ ঝুলছে পাশ দিয়ে। মেডিনোভা অতিক্রম করবে, এমন সময় ছোঁ। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখলো হাতে ল্যাপটপের ব্যাগটা নেই। পাশ দিয়ে যাওয়া দুই মোটর সাইকেল আরোহীর পিছনের জনের হাতে সেটা। দ্রততম সময়ে পিছনের আরোহীটি ল্যাপটপটি কাঁধে ঝুলালো।
চিৎকার দিয়ে উঠলো “ছিনতাই ছিনতাই” বলে দুই রিকসা আরোহী। ততক্ষণে মোটর সাইকেলটি বিডিআর মোর পার হয়ে নিরুদ্দেশ। পিছু নেয়া হলো সিএনজি করে। কাজ হলোনা। মোটর সাইকেলটির হদিশ পাওয়া সম্ভব হলো না। এতো দ্রুত গেলো যে পিছনের নাম্বারটিও নোট করতে পারলো না কেউ। ছিনতাই হয়ে গেলো ছেলেটির একমাত্র দামী সম্বল, ল্যাপটপটি। নিমিষেই।

ঘটনা দুই,
সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট। আবাহনী মাঠের সামনে দিয়ে রিকসা করে যাচ্ছে এক ত্রিশোর্ধ চাকুরিজীবি। রাস্তাঘাটে লোকজন কিছুটা কম কারন ঢাকার অস্থিরাবস্থা। তাকিয়ে মানুষ দেখছি রাস্তার, গাড়িঘোড়া দেখছি একটা বিল্ডিং এর পাঁচতলা থেকে। হঠাৎ নিচ থেকে জোরে চিৎকার। “ধর ধর”, “ল্যাপটপ ছিনতাই ধর ধর” বলে। তাকিয়ে দেখি আগের সেই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি। তবে এবার রিকসা আরোহী একা। এবার উনি দৌড় দিলেন মোটর সাইকেলের পিছু পিছু। মোটর সাইকেল ততক্ষণে স্টার কাবাবের সিগন্যালে। উনি সেখানে পৌছার আগেই সিগন্যাল ছেড়ে দিলো। ল্যাপটপ নিয়ে ছিনতাই কারীরা পগারপার।

ঘটনা তিন,
এটা গত মাসের একটা ঘটনা। রাত দশটার দিকে রিকসা করে বাসায় ফিরছিলো ক্লান্ত যুবক। কানে মোবাইল, কথা বলছে হয়তো কারো সাথে। একই রকম ভাবে মোটর সাইকেলের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া, একটা ছোঁ। মোবাইলটা হাতবদল। ছিনতাই হয়ে গেলো যুবকের সাধের মোবাইল।

তিনটি ঘটনাই শুধু নয়, সাতমসজিদ রোড হয়ে পড়েছে এক ছিনতাই এর আখড়া। মোটর সাইকেলে করে, কারে করে কিংবা সরাসরি পায়ে হেটে পিছন থেকে ভাই ডেকে একটা ছুরি ঠেকিয়ে ছিনতাই হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। ধানমন্ডির মতো একটা আবাসিক কাম বানিজ্যিক এলাকায় বেশীরভাগ মধ্যবিত্ত মানুষের বাস। এরকম একটই ঘটনাই পারে আপনার অনেক বড় বিপদ ঘটাতে। নিজে সতর্ক হোন, অপরকেও সতর্ক করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও এ ধরনের যেকোন তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
১৬টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×