ছোটবেলাই অনেক চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম। স্কুল, প্রাইভেট ফাকি দেওয়া ছিল আমার নিত্যদিনের কাজ। এক এক দিন নতুন নতুন ফন্দি বের করতাম ফাকি দেওয়ার। ক্মাঝে মাঝে তো বিবিন্ন জাইগায় চলে যেতাম। অনেক সময় আবার আমাকে খুজে ধরে নিয়ে যেতো স্কুলে।
এখন যেই সৃতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা আমার প্রাথমিক স্কুলে পড়াকালীন সময়ের। তখন আমি ক্লাস ৩ তে পড়ি। আমাকে পড়াইতে আসত আমার সেঝ খালার বন্ধু। উনি আসত ৫ টার সময়। তো যথারীতি আমি ৪ টাই স্কুল থেকে আসলাম। আমার ওইদিন মোটেও পড়তে ইচ্ছা করতেসিল না। ভাবলাম কিভাবে আজকে ফাকি দেওয়া যায়। হটাত মাথাই আসলো ঘুমের ভান করব। যেই ভাবা সেই কাজ, তারাতারি ঘুমাই পড়লাম। যথারীতি স্যার আসলো ৫ টার সময়। তখন আমার মা আমাকে ডাকতে লাগলো। মজার বিষয়টা এই জায়গায় আমি জানতাম না যে ঘুমের মানুষকে ডাকলে ঘুম ভেঙ্গে যায় আর যে জেগে জেগে ঘুমের ভান করে তাকে হাজার ডাকলেও উঠানো যায় না!!।
তো যা হওয়ার আমার মা ১৫ মিনিট যাবত আমাকে ডেকে কোনও সারা না পেয়ে আমাকে কোলে করে নিয়ে পরার টেবিল এর সামনের চেয়ারে বসাই দিলো। আমি যখন চোখ খুললাম তখন স্যার সহ সবাই হাসতে হাসতে লুটাই পরতেসিল্। আমি তখন হতভহম্ব চোখে সবার দিকে তাকাই ছিলাম। যদিও আমি তখন কেন জানি অনেক লজ্জা পাইসিলাম। না জানি কি দোষ করসিলাম।আমি তখনও বুঝি নাই তারা কেন হাসতেছিল। আমাকে কেও আর তখন সেই হাসার কারন বলে নাই।
বড় হয়ে যখন সেই হাসার কারনটা বুঝতে পেরেছিলাম তখন নিজের মনের অজান্তেই অনেক হেসেছিলাম এবং এখনও মনে পড়লে অনেক হাসি পায় কি বোকামিটাই না করেছিলাম!!