somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুমায়ুন কেন? (প্রথম অংশ)

২৬ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি জীবনের মুখোমুখী সাহসের সঙ্গে দাড়াবো। যে আমাকে প্রেরণা দিয়েছে সে প্রেরণাময়ীর কাছে যাব। যে আমাকে গৃহপালিত মানুষে রূপান্তরিত করতে চায়, তার কাছে যাবো না। আমার বণ্যতা, আমার উদারতা, উদ্দামতা, অস্থিরতার যথাযথ ব্যাখ্যা করা উচিত। কি হতে চাই, কতোটুকু যোগ্যতা আছে, পরিবেশ কতোটুকু সুযোগ দেবে এবং পরিবেশকে কতোদূর ভাঙতে হবে সেটিই দেখার বিষয়। ( আহমেদ ছফার ডাইরী থেকে)

লিখতে বসেছি হুমায়ুন নিয়ে কিন্তু আহমেদ ছফা কেন আসবে? আহমেদ ছফা অবশ্যই আসবে। কারন হুমায়ুন আহমেদ ছফা’র সৃষ্টি। হি ইজ পার্টলি মাই ক্রিয়েশন আহমেদ ছফা দাবী করতেন। করবেন নাই বা কেন? হুমায়ুনেরও তাতে কোনদিন দ্বিমত হয়নি। আহমেদ ছফা নিয়ে বলতে গিয়ে হুমায়ুন বলতেন ছফা ভাই ছিলেন আমার MENTOR। ছফা ভাই এমন একজন মানুষ যিনি নিমেষেই উত্তেজনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন। ছফা ভাই হুমায়ুনকে বললেন গল্প লিখতে হবে। রোজ রাতে একটা করে। ছফা ভাইয়ের কথা মানেই আদেশ। হুমায়ুন রাত জেগে জেগে গল্প লেখা শুরু করে দিল। তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ছফা। লেখক শিবিরের প্রধান হওয়ায় নন্দিত নরকে কে বছরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের পুরস্কার দিয়ে দিয়েছিলেন। নন্দিতে নরকের জন্য আহমেদ শরীফের যে ভূমিকা তাও ছফার সৌজন্যে পাওয়া। একজন তরুন ওপৌন্যাসিকের ক্ষেত্রে যা ছিল অকল্পনীয়। তবে হুমায়ুন আহমেদ ছফার বলয়ে থাকেন নি। তার এক সময় সন্দেহ হল ছফা যে জগতে বাস করেন তা বাস্তব জগত থেকে অনেক দূরে। তার রিয়েলিটি আর হুমায়ুনের রিয়েলিটি এক নয়। আহমেদ ছফার ভাবনা দর্শন রিয়েলিটি নিয়ে লিখতে বসলে হুমায়ুনকে নিয়ে আর কিছু লেখা হবে না। তাই এই প্রসঙ্গ থাক। হুমায়ুনের মোহ ভঙ্গ হল। হুমায়ুনকে নিয়ে ছফা ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। হুমায়ুন নিজেই স্বীকার করেছেন সে তার কোনটাই পূরন করতে পারেন নি।

আহমেদ ছফাও হুমায়ুনের ভিতরে চেখভের মত একটা প্রতিভার সন্ধান করেছিলেন। কিন্তু তার আশা পূর্ণ হয়নি। হুমায়ুনের লেখা সম্পর্কে বলতেন – জামাকাপড় তো বানায়, কিন্তু প্রাণ দিতে পারে না, কী একটা মুশকিল!
হুমায়ুনকে তিনি শরৎচন্দ্রের চেয়েও জনপ্রিয় সার্টিফিকেট অনেক আগেই দিয়ে গেছেন। আশ্চর্য আমরা সুনিলের কাছ থেকে ফোন করে সেই সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছি। আমাদের পশ্চিমা প্রীতি বোধহয় কোনদিনই যাবে না। আনন্দবাজারে টুকরো খবরে হুমায়ুনের মৃত্যূ সংবাদ পড়েও বোধদয় হবে না। হুমায়ুন আহমেদের সাথে সমসাময়িক লেখকদের তুলনায় ছফার বক্তব্য ছিল “হুমায়ূন আহমেদ একবিন্দুও সেক্স না লিখে শ্রেষ্ঠ বাজারসফল বই লিখছে, অন্যেরা সেক্স দিয়ে এইটার সাথে কমপিট করতে চাইছে। হুমায়ূন আহমেদ যত কিছুই করুক না কেন, তার নষ্টামিটা অন্য জায়গায়। তার নষ্টামিটা ব্রেনে। অন্যদের নষ্টামিটা শিশ্নে।” হুমায়ুন কেন টাকার জন্য বাজার লেখক হতে গেলেন তার একটা ব্যাখ্যাও ছফা দিয়েছেন – “উপর্যুপরি সামরিক শাসন, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার পরাজয় সব মিলিয়ে এখানে যে চিন্তাহীন অরাজক পরিস্থিতি _ হুমায়ূন সেই সময়ের প্রোডাক্ট।”

নন্দিত নরকে বা শঙ্খনীল কারাগার তার দুই শ্রেষ্ঠ উপন্যাস অবশ্য তাকে জনপ্রিয় করে নি। তাকে জনপ্রিয় করেছিল বিচিত্রায় প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস অচিনপুর। যার জন্য তিনি তিনশ টাকা পেয়েছিলেন। নন্দিত নরকে এবং শঙ্খনীল কারাগারের জন্য রয়েলিটি হিসাবে পেয়েছিলেন চারশ টাকা। পাঠক হইত ভাবছেন টাকার অঙ্কগুলো বলার দরকার কি? বলার দরকার আছে। কারন হুমায়ুন টাকার জন্য লিখতেন। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনিও অস্বীকার করেন নি। এ প্রসঙ্গে তার জীবনের প্রথম গল্পটা শোনা যাক।

হুময়ুনের বাসায় টি.ভি নেই। তার দুই মেয়ে নোভা, শীলা পাশের বাসায় টি.ভি দেখতে যায়। একদিন খুব মন খারাপ করে তারা বাসায় ফিরে আসল। পাশের বাড়ীতে মেহমান এসেছে বলে টি.ভি দেখতে দেবে না। এখন একটু বলি এমন ঘটনা আমার জীবনেও ঘটেছে। আমাদের টি.ভি ছিল না। বাড়ীওয়ালার বাসায় যেতাম টি.ভি দেখতে। ছোটবেলায় বুঝতাম না কিন্তু এখন বুঝি কি অপমানের মধ্যে দিয়ে না আমাকে টি.ভি দেখতে দিত ওরা। ওরা সবাই বিছানায় বসত। আমি বসতে দিত নীচে মেঝেতে। থাক সে প্রসঙ্গ আমরা হুমায়ুনের গল্পে ফিরে আসি। হুমায়ুনের বড় মেয়ে জিদ ধরল তাদের একটা রঙিন টেলিভিশন কিনে দিতে হবে। হুমায়ুন সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য লিখলেন কালজয়ী ধারাবাহিক নাটক ” এই সব দিন রাত্রি”। একটা রঙিন টি.ভির জন্য লেখা হয়েছিল এই নাটক। সেই নাটকে টুনির ক্যান্সার হয়েছিল। আমাদের হুমায়ুনও ক্যান্সারে চলে গেলেন। হুমায়ুন যদি বাজার লেখক না হতেন, অর্থ উপার্জনের জন্য না লিখতেন আমরা হয়ত বি.টি.ভিতে এই কালজয়ী নাটকটি দেখতে পেতাম না। যা আমাদের দর্শকদের কোলকাতা থেকে মুখ ফিরিয়ে দিয়েছিল। নদীয়ার ভাষা থেকে বাংলাদেশের ভাষা বলতে শিখিয়েছিল। বি.টি.ভি তেও শুরু হয়েছিল একটা নতুন অধ্যায়। টাকা নিয়ে হুমায়ুনের যুক্তি ছিল একজন লেখক চাদেঁর আলো খেয়ে বাচেন না। তাকে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট খেতে হয়।

সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী বলতেন, সাহিত্যে মধ্যবিত্তের কর্তৃত থাকবেই। আসলে সাহিত্যের বিশেষ প্রয়োজন মধ্যবিত্তের জন্যই. উচ্চবিত্তের জন্য ভিন্ন প্রকার আমোদ-আনন্দের পথ খোলা আছে, নিম্নবিত্তেরর তাই, মধ্যবিত্তের এদিক সেদিক যাওয়ার পথ খোলা নেই। এ কথা কি অস্বীকার করার উপায় আছে হুমায়ুন সেই মধ্যবিত্তেরই প্রতিনিধিত্ব করতেন। মধ্যবিত্তের সুঃখ, দুঃখ, আশা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন, আনন্দ, নিরানন্দ, চাওয়া, পাওয়া, অর্থহীন প্রলাপ, মূল্যবোধ, সংশয়, যুক্তি, তর্ক, সময় ক্ষেপন, মিরাকলের প্রত্যাশা, অনিশ্চয়তা, আ্যান্টি লজিক, ব্যক্তিসাতন্ত্র বোধ, আত্বশ্লেঘা, অহামিকা, অভিমান, কৌতুকবোধ কি না উঠে আসে নি হুমায়ুনের লেখায়? আর মধ্যবিত্তের সাহিত্যই যদি প্রধান সাহিত্যের মাপকাঠি হয় তবে হুমায়ুন সেই মধ্যবিত্তের চেতনা ধারন করে আনার জন্য কেন টিকে থাকবেন না?

হুমায়ুনের লেখায় কি শুধুই মধ্যবিত্তের কাহীনি। উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্তের কি সেখানে স্থান নেই। আবার সিরাজুল ইসলামের কাছে ফিরে যায়। তিনি বলতে চান কৌতুক ও বাগবৈদগ্ধতার একটা ভূমিকা এই যে, তারা জীবনের কুৎসিত সত্যগুলোকে চোখের আড়াল করে রাখে। একটা ঢাকনা চেপে ধরে সেই মস্ত পাত্রের উপর যার ভিতর অপ্রিয় ও অসুন্দর সত্যগুলো কিলবিল করছে। সব রচনাতেই দেখা যায় অভাবপীড়িত মানুষকে অবলোকন করা হয়েছে দূর থেকে। সে জীবনের সাথে একাত্ববোধের ছাপ খুব অল্প। কৃষক কৃষক হিসাবেই সুখি হোক, কৃষিকার্য লেখনকার্যের মতই গুরত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ হয়ে উঠুক এই ইচ্ছাটা সাহিত্যে ফুটে ওঠে নি। বরং কৃষকের ছেলে মেধা থাকা সত্বেও কেন ডাক্তার হলো না, ধনীর দুলালীকে বিয়ে করতে পারল না সেই নিয়েই সাহিত্য গড়ে উঠেছে। এর ভিতরে একটা অসৎ সদিচ্ছা কাজ করছে যে দুঃখী দুঃখীই থাকুক, তাহলে আমরা আমাদের সুখজনিত সৌভাগ্যটা বুঝতে পারব। এবং দুঃখীর জন্য দুঃখ প্রকাশে ভাবালু হয়ে নৈতিক পরিতৃপ্তি লাভ করে সাহিত্য রচনা করব। খাটিঁ মধ্যবিত্ত সব সময় উপরে তাকিয়ে থাকে, নীচেকে তার ভয় পাছে সে ধরা পড়ে যায় যে সে নীচ থেকে বেশী উচুঁতে নয়। বৃত্তের ভিতরে আছি, অথচ বৃত্তের ভেতর থেকে সাহিত্য হয় না, জীবনের সাথে জীবনের যোগ সাহিত্যসৃষ্টির এ হল পয়লা শর্ত।

হুমায়ুন কি বৃত্ত ভাঙতে পেরেছিলেন? বৃত্ত নিয়ে হুমায়ুন বলেছিলেন প্রতিটা মানুষের আলাদা আলাদা বৃত্ত থাকে। কেউ সেই বৃত্ত অতিক্রম করতে পারে না। উনিও পারেন নি। কিম্বা হয়ত পারার চেষ্টা করেন নি। নিজের বৃত্তে থেকেই লিখে গেছেন। দাবী করেন নি কখনো নিজেকে ওপ‌্যেনাসিক বলে। বরং বলতেন ফিকশন রাইটার। কারন উপন্যাসের সংজ্ঞা কি তা তিনি শেষ অবধি জানতে পারেন নি। তাই নিজের মত করে উপন্যাসের সংজ্ঞা দাড় করিয়েছেন। কিন্তু আমরা যখন তার অচিনপুর উপন্যাসটা দেখি তখন কি মনে হয় না তিনি বৃত্ত ভাঙতে পেরেছিলেন। সিরাজুল ইসলামের সব দাবীই কি তার অচিনপুর আর ফেরা উপন্যাস দুটি পূরন করে না।

অচিনপুর পুরোটা গ্রামীন আবহে লেখা একটা উপ‌্যাখ্যান। সেখানে নবুমামা আছে, বাদশা মামা আছে, নানা জান আছে, লাল মামী আছে। যে যার অবস্থানেই জীবনের সুঃখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। তাদের শহরমুখিতা নেই। তথাকথিত উচ্চাশা নেই। সিরাজুল ইসলাম যেমনটি চাইছিলেন কৃষক কৃষক হিসাবেই সুখি হবে সেমনটির প্রতিফলনই কি অচিনপুরে ঘটে নি। একথা সত্য সেখানে কৌতুক ও বাগবৈদগ্ধতার প্রাচুর্য আছে। কিন্তু তা কি আমাদের গ্রামীন আবহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়। উপন্যাসে
“মাঠে সে রাতে প্রচুর জোছনা হয়েছে। চকচক করছে চারিদিক। ঠান্ডা একটা বাতাস বইছে। নবুমামা চেচিয়ে বলল – “কি জোছনা! খেতে ইচ্ছা হয়। মনে হয় কপকপ করে খেয়েফেলি। নবুমামা হা করে খাবার ভঙ্গী করতে লাগল। বিস্মিত হয়ে আমি তার আনন্দ দেখলাম।” জোছনার এমন সরল বর্ণনা পাঠককে কোথায় নিয়ে যায়। আমাদেরও কি নবুমামার মত সব সময়কে স্থির করে জোছনা খাওয়ার অদম্য বাসনা তৈরী করে না। আবার লাল মামী যখন গ্রাম বাংলার চিরচরিত নারীর প্রতিনিধিত্ব না করে একটা সমাজিক বিপ্লবের নারী স্বাধিনতার ডাক দেই তাতে কি সমাজের ভীত কেপেঁ ওঠে না।

নবুমামা দৌড়ে দেশলাই নিয়ে আসলেন। মামি আমাদের দুজনের সতম্ভিত চোখের সামনে ফস করে একটা বার্ডসাই সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকেন। আমাদের দুজনের নিঃশ্বাস পড়ে না। মামি বললেন, এই দেখ যত টানছি তত ছোট হচ্ছে।
….
মামির মুখের গন্ধ দূর করার জন্য পানি আনতে হয়। এলাচ দানা আনতে হয়। সেই সঙ্গে মামির প্রতি আমাদের নিষিদ্ধ আর্কষন জড় হতে থাকে।”

তবে হ্যা সেখানে জীবনের সবচেয়ে প্রচন্ড আর্থিক অভাবের চিত্রায়ন নেই। পুর্জিঁবাদী বা সমাজবাদীদের বিরুদ্ধে আপামর জনগণের বিপ্লব নেই। নেই দারিদ্রতার চিত্রায়ন। যে আর্থিক অভাবের চিত্রায়ন হুমায়ুন করেছেন ফেরা তে। এইখানে গণমানুষের প্রতিবাদী চরিত্র আছে। আছে যৌক্তিক উপলদ্ধি। এবং এটাও গ্রামীন আবহে নির্মিত উপন্যাস

হুমায়ুনের ফেরা। কি নেই এই উপন্যাসে। কিছু অংশ তুলে ধরছি। “ভাত না খেয়ে বাচাঁর রহস্য সোহগীর লোকজনের জানা নেই। চৈত্র মাসের দারুন অভাবের সময়ও এরা ফেলে ছড়িয়ে তিন বেলা ভাত খাই। এবার কার্তিক মাসেই কারও ঘরে এক দানা চাল নেই। জমি ঠিক ঠাক করার সময় এসে গেছে। বীজ ধান দরকার। হালের গরুর দরকার। সিরাজ মিঞার মত সম্ভ্রান্ত চাষীও তার কিনে রাখা ঢেউ টিন জলের দামে বিক্রি করে দিল।
ঘরে ঘরে অভাব। ভেজা ধান শুকিয়ে যে চাল করা হয়েছে তাতে উৎকট গন্ধ। পেটে সহ্য হয় না। মোহন গন্জ থেকে আটা এসেছে। আটার রুটি কারও মুখে রোচে না। কেউ খেতে চাই না। লগ্নির কারবারীরা চড়া সুদে টাকা ধার দিতে শুরু করল।
ঠিক এই সময় কলেরা দেখা দিল। প্রথম মারা গেল ডাক্তার ফজলুল করিম সাহেবের কম্পাউন্ডারটি। তারপরই এক সাথে পাচজন অসুখে পড়ল। আমিন ডাক্তার দিশাহারা হয়ে পড়লেন। অষুধ পত্র নেই, খাবার নেই, কিভাবে কি হবে?
……

ভাতের কষ্ট বড় কষ্ট। নরুউদ্দিনের পেটে সারাক্ষনের ভাতের খিদা লেগে থাকে। শরিফা প্রায়ই বলে আজরফ টেকা পয়সা নিয়া আসুক, দুই বেলা ভাত রানমু।
কোনদিন আইবো?

উপন্যাসে এক সময় নুরুকে মাছ চুরির অপবাদ দেওয়া। মারধরও করে। সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তির এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় আমিন ডাক্তার। প্রতিবাদে অনশানে বসে। অবস্থান ধর্মঘাট করে। এক সময় বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে। নায্য হিসাবের দাবীতে নিজাম সরকারের মাছের খোলায় চড়াও হয় গ্রামবাসী। চুক্তি অনুযায়ি 30 ভাগ মাছ প্রাপ্তির দাবীতে। দুটি খুনও হয়ে যায়। এক সময় মোহন গন্জথানার সেকেন্ড অফিসার কোমরে দড়ি বেধে আমিন ডাক্তারকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার এখানেই শেষ না। হুমায়ুন চমক দিতে ভালবাসেন। সরকার বাড়ীতে একটা নববধূকে মেরে গাঙে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই তথ্য শেষে উঠে আসে। হুমায়ুনের ফেরা কালজয়ী উপন্যাস হয়ে বাংলা সাহিত্যে কেন টিকে থাকবে না বোধগম্য হয় না।?

**তথ্য উপাত্ত সংগ্রীহিত
(চলবে)
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×