somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুমায়ূনকে নিয়ে মাজহারের ‘ফতোয়া’-----------কপি পেস্ট

২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজনেস ক্লাসের টিকিট লাগবে হুমায়ূন পরিবারের। তা না হলে তারা মরদেহের সঙ্গে যাবেন না। এমন ফতোয়া দিয়ে বিব্রত করেছিলেন জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম। আর এ দাবি পেশ করেছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে।

মরদেহের সঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় যাবেন ছয়জন। হঠাৎ করে ছয়টি টিকিট সংগ্রহ করাই যেখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমন পরিস্থিতিতে সব টিকিট বিজনেস ক্লাসের লাগবে বলে জানিয়ে দেন মাজহার।

বিষয়টি জানাজানি হবার পর কম্যুনিটিতে এ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কারণ, টিকিট দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ সময়ের জনপ্রিয়তম লেখক হুমায়ূন আহমেদের মরদেহসহ পরিবারকে বিজনেস ক্লাসে ঢাকায় পাঠাতে কারোই আপত্তি নেই। তবে এটি তো স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, এতো স্বল্প সময়ে বিজনেস ক্লাসে ৬টি টিকিট সংগ্রহ করা কী সহজ--এমন মন্তব্য সচেতন প্রবাসীদের। গত বছরের মধ্য সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্যে পরিবারে হুমায়ূন আসেন নিউইয়র্কে। তখন থেকেই সঙ্গে রয়েছেন মাজহারুল ইসলাম। নিউইয়র্কে লেখক পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসাতেও ছিলেন মাজহার। সে বাসার ভাড়া কে দিয়েছে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে লেখকের চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশে মিডিয়ার ওপর তিনি মাঝেমধ্যেই ফতোয়া জারি করতেন।

লেখকের চিকিৎসার প্রকৃত তথ্য তিনি এবং লেখকপত্নী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছাড়া কেউ জানেন না বলেও দাবি করেছেন একাধিকবার। তাই অন্য কারো উদ্ধৃতি দিয়ে যেন কোনো মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশন করা না হয় সে ফতোয়া দেন মাজহার। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে উত্তর আমেরিকার বাংলা ভাষার সর্বাধিক প্রচারিত `ঠিকানা` পত্রিকায় ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হুমায়ূন’ শীর্ষক সংবাদেরও তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

গত বছর মধ্য সেপ্টেম্বরে হুমায়ূন তার চিকিৎসার জন্যে সপরিবারে নিউইয়র্কে আসেন। তখন থেকেই লেখকের সঙ্গে ছিলেন মাজহারুল ইসলাম।

নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসার প্রকৃত অবস্থা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন কী কারণে--এ প্রশ্ন এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ঢাকার অনলাইন পত্রিকা এবং কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মাজহারুল ইসলাম। চিকিৎসারত অবস্থায় স্মরণকালের সবচেয়ে জননন্দিত লেখক হুমায়ূনকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। এ সুবাদে লেখকের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতেন রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি মাঝেমধ্যে হাসপাতালেও যেতেন। তাকে উদ্ধৃত করে কোনো সংবাদ দিলেও ক্ষেপে যেতেন এই মাজহার। নিউইয়র্কে মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহা খোঁজ-খবর রাখতেন চিকিৎসার। তার বরাত দিয়েও কোনো সংবাদ পত্রিকায় দেওয়া চলবে না বলে মাজহার জানিয়েছিলেন বার্তা সংস্থা এনাকে। এভাবে লেখক হুমায়ূনের চিকিৎসা সম্পর্কিত অনেক কিছুই এই মাজহার এক অজানা কারণে গোপন রাখতে চেয়েছিলেন।

রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন এবং বিশ্বজিৎ সাহা বলেছেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যে বিশ্বে সবচেয়ে উত্তম স্থান হচ্ছে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতাল। সেখানে হুমায়ূনের চিকিৎসা শুরু হলেও পরবর্তীতে ম্যানহাটানের বেলভ্যু হাসপাতালে কেন স্থানান্তর করা হয়েছিল সেটি জানতে চান প্রবাসীরা। এ নিয়ে লেখক দম্পতির কাছে থেকে সঠিক তথ্য জানতে সক্ষম না হলেও অপর একটি সূত্র মাজহারের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, আর্থিক কারণে স্ল্যোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টি এখন প্রবাসে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ‘ইকোনোমি ক্লাসে ভ্রমণে অনাগ্রহী মাজহারুল ইসলাম, তাহলে এর আগে আর্থিক কারণে হুমায়ূনের চিকিৎসাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছিল কেন?’--এ জিজ্ঞাসা অনেকের। একজন লেখকের চরম সংকটে সার্বক্ষণিকভাবে পাশে থাকার জন্যে প্রকাশক মাজহারুল ইসলামের প্রশংসাও করছেন সবাই।

দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরলে লেখক আর্তচিৎকার করে বলতেন যে, ‘কুসুম (শাওন), ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, এখনই আমাকে এখান থেকে বাসায় নিয়ে চলো।’

‘জীবন সম্পর্কে অনেক বেশি আত্মপ্রত্যয়ী লেখক হুমায়ূনের এ আকুতির নেপথ্যে কী কাজ করছিল তা কী ভেবে দেখা উচিত নয়?’--এপ্রশ্ন প্রবাসীদের

[এই প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ: [email protected]]
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১২

সম্পাদনা:জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর[email protected]
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×