একজন বিধবা রমনী সহজেই সধবা হতে পারেন, যদি তিনি আবার আরেকটি বিয়ে করেন। কম বয়সে কেউ বিধবা হলে তাকে আরেকটি বিয়ে করার জন্য সবাই পরামর্শ দেন। কারণ বয়স বলে কথা। হুমায়ন আহমদের মৃত্যুতে শাওন বিধবা হয়েছে। শাওনের শিশুপত্র সহ হুমায়ন আহমদের প্রথম পক্ষের সন্তানরাও পিতৃহারা হয়েছে। হুমায়নের মা সন্তান হারা হয়েছেন। কারো ক্ষতিই পূরণ হওয়ার জন্য নয়। কিন্তু সন্তানরা কখনো হুমায়ন আহমদ ছাড়া আর কাউকে বাবা বলতে পারবেন না। মা কখনো আর কাউকে বাদশা বলতে পারবেন না। কিন্তু শাওন চাইলে আর কাউকে তার হৃদয় সখা বানাতে পারেন। অতএব একজনের শোকের সাথে অন্য কারো শোকের তুলনা হয় না।
হুমায়ন আহমেদ একজন জনপ্রিয় লেখক। জনপ্রিয় লেখক বলেই যে তিনি সবদিকে শুদ্ধ এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তানা হলে মেয়ের বান্ধবীর সাথে সংসার করেন এবং ছুড়ে ফেলে দেন সাবেক স্ত্রী ও সংসারকে। (উল্লেখ্য হুমায়ন নিজেই তার সাবেক স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। এবং নিশ্চয়ই সেটা শাওনের প্ররোচনায়।)
নওয়াজেশ আলী খানের সাক্ষাতকারে জেনেছি তার সাবেক স্ত্রীই তাকে নাটক লেখতে প্রেরণা দেন। আর শাওন তার ফললাভ করেন।
দোষটা কেবল শাওনেরও নয়। হুমায়ন আহমদের মতো এমন মানুষের চরিত্র এতটা কলুষিত হবে কেন?
আজ ধাক্কাধাক্কি চলছে। স্বাক্ষী থাকবে সময়। কারণ মানুষ আগ্রহভরে দেখবে শাওন, নুহাশ কে কি করে? কে কার মর্যাদা রাখে।
হুমায়ন আহমদের কবর কোথায় হবে সেটা অপ্রাসঙ্গিক। উনি যদি মানুষের অন্তরে জায়গা নিয়েই থাকেন তাহলে যেখানেই হোক তিনি বেচে থাকবেন। আর যদি জায়গা যদি না থাকে তাহলে কেন্দ্রে থাকলেই কি না থাকলেই কি?
সংসদ চত্বরে সবুর খানে কবরে কে যায়? মধুসূদনের মধু মেলায় যেতে কি মানুষকে নিম্ন্ত্রণ দিতে হয়?