somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শান্তির সুত্র

২৪ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের প্রত্যেকের জীবনের একটা উদ্দ্যেশ্য থাকে।যাকে বলা হয় (Aim in life) বা জীবনের লক্ষ্য।সেটি কেমন হওয়া উচিত?অনেকের বিভিন্ন মত থাকতে পারে।কেউ হয়তো বলতে পারে আমি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক হতে চাই।কবি আর বিজ্ঞানীরা বলবে আমাদের একা থাকতে দাও।রাজনীতিকরা আমাদের বুঝাবে অপরের ছিদ্রান্বেসন এবং সুযোগ বুঝে তাকে বাশঁ দেওয়া জীবনের উদ্দেশ্য।কিন্তু এগু্লোর একটিও প্রকৃত উদ্দ্যেশ্য নয়।এগুলো তাদের পেশা হতে পারে কিন্তু কখনই প্রকৃত উদ্দ্যেশ্য নয়।প্রতিনিয়ত আমরা এই জগত সংসারে কস্ট পাচ্ছি।মাঝে মাঝে সুখও পাচ্ছি।কিন্তু তা অতি নগন্ন্য।মরুভুমিতে কারো পিপাসা লাগলে তাকে একফোটা জল দেওয়ার মতো।আমদের জীবনের চরম এবং পরম উদ্দ্যেশ্য হওয়া উচিত পরম সৃষ্টিকর্তার প্রতি দাসত্ব স্বীকার করা। অনেকে বলতে পারে আমি কেন দাস হতে যাব ?সমস্ত সংসার এবং প্রকৃতি আমার ভোগের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।আমি এখন ভোগ করব।কিন্ত ভোগ করার পরিনতি যে কি হবে তা আমরা ভেবে দেখার চেষ্টা করি না।আপনি আপনার জীবন উপভোগ করতে চান?কিন্তু না,জীবনের বিভিন্ন সময়ে আপনাকে নানা রোগ ভোগ করতে হবে।শেষ বয়সে জরা (বার্ধক্যকালীন অসুবিধা)ভোগ করতে হবে।আরও কত ধরনের বিপদ তো রয়েছেই।তারমানে আপনাকে আপনার অপুর্ন ইচ্ছা নিয়ে এখান থেকে বিদায় নিতে হবে। আচ্ছা, আপনি এখন প্রকৃতি কে ভোগ করতে চান, যার ফল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী অধিক মাত্রায় তাপ বৃদ্ধি এবং হ্রাস।গত বছর প্রচন্ড শীতে উত্তর আমেরিকার দানিয়ুব নদীর জল পুরপুরি বরফ হয়ে গিয়েছিল।নৌচলাচল বন্ধ ছিল।যা ২৭ বছরে এই প্রথম।আমরা ভূঅভ্যন্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ উপাদান আহরণ করছি।কিন্তু আমরা কি ভূলে গিয়েছি যে এগুলো অনবায়নযোগ্য।ধরি যদি তা শেষ হয়ে যায় তাহলে আজকের এই যান্ত্রিক সভ্যতার কি কোন নির্দশন থাকবে?এইভাবে প্রকৃতি থেকে আহরণের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমনঃসুনামি, হারিকেন, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি ভোগ করছি।আহা কত আনন্দ!যারা নাস্তিক তারা বলবে এগুলো এমনিই হচ্ছে।কিন্তু ক্রিয়া ছাড়া প্রতিক্রিয়া কিভাবে সম্ভব?অর্থনীতিতে আমাদের শেখানো হয়,ধরে নিতে হবে আমাদের অপর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে এবং তা দিয়ে আমাদের চলতে হবে।কিন্ত সম্পদ কি আসলেই অপর্যাপ্ত?বিভিন্ন দেশের সরকার গুলো কিসে তাদের সম্পদ বিনিয়োগ করছে?তারা তা বিনিয়োগ করছে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য, মরণাস্ত্র তৈরির জন্য।মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পারমানবিক বোমা তৈরি করা হচ্ছে।শহর এবং নগরায়নের ফলে গ্রামের সাধারন মানুষ কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে শহরমুখী হচ্ছে।কৃষি জমি অনাবাদী থাকছে এবং খাদ্য সংকট বাড়ছে।এভাবে মানুষ সম্পদের অপর্যাপ্ততা সৃষ্টি করছে।এর ফলে আমিত্ববাদ গড়ে উঠছে।বিভিন্ন সরকারপ্রধানরা মনে করছে আমিই হচ্ছি সবকিছুর নিয়ন্ত্রক।দেশগুলো কেন অভিবাসন বিভাগ চালু করেছে?কারণ তারা ভয় পায়।কিসের ভয় পায়?তাদের আমিত্ববাদ নষ্ট হয়ে যাবে।যদি বাংলাদেশের সব মানুষ্ কে আমেরিকা প্রত্যাবাসন করা হত তাহলে কি তাদের কোন সমস্যা হত?তাদের খাদ্য ব্যবস্থায় কি টান পড়ত?কিন্তু তারা তা কখনই করবে না কারন তাদের আমিত্ববাদ নষ্ট হবে।সমগ্র মানব সমাজ এখন সেই “এক দেশ এক সমাজ” এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।কিভাবে তা সম্ভব?আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ(ইসকন)মানুষকে সে সুযোগ প্রদান করছে।তারা বলছে,ও মানুষ আস,শিখে যাও কিভাবে জীবনযাপন করলে তোমরা সুখী হবে।৪টি নিয়ম পালন করলে তোমাদের জীবনে শান্তি আসবে।সেগুলো কি?আমিষাহার বর্জন(প্রাণীজ আমিষ),দুতঃক্রিড়া (টাকা দিয়ে যেসব খেলা পরিচালিত হয়), মাদক বর্জন (পান,বিড়ি,সিগারেট,হেরোইন ইত্যাদি)এবং অবৈধ স্ত্রীসঙ্গ বর্জন (বিবাহিত স্ত্রী ব্যাতীত অন্য স্ত্রীর সঙ্গ করা)।মুলত এই ৪ টি পাপকর্ম থেকে সমাজের সকল পাপকর্মের সুত্ত্রপাত।অনেকে বলতে পারে আমিতো মুসলমান বা খ্রীষ্টান আমি কেন আমার ধর্ম ত্যাগ করব?আমরা তো ধর্ম ত্যাগ করতে বলিনি।বলেছি আপনাদের ধর্মগ্রন্থে যা লেখা আছে তাই পালন করুন।আজকালকার বিদ্যালয়,মহাবিদ্যালয়,বিশ্ববিদ্যালয়ে শতকরা কতজন নামাজ পড়ছে?কিন্তু নামাজ হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মুলভিত্তি।খ্রীষ্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে লেখা ১০ মহানির্দেশ(Ten comandent) এর একটি হচ্ছে “তুমি হত্যা করবে না”(Thou shalt not kill)এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল kill শব্দটি মানুষ হত্যার ক্ষেত্রে ব্যাবহ্রত হয় না।মানুষ হত্যার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে murder শব্দটি ব্যাবহ্রত হয়।অন্য সকল প্রাণীর ক্ষেত্ত্রে kill শব্দটি ব্যাবহ্রত হয়।তো এইভাবে আমরা পরম সৃষ্টিকর্তার আদর্শ বান্দা বা দাস হওয়ার মাধ্যমে,তার দেওয়া সংবিধান পালনের মাধ্যোমে,সংযমী জীবনযাপনের মাধ্যমে জীবনে সুখশান্তি আনয়ন করা যায়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×