জন্মের তরে মৃত্যু দেখেছে পৃথিবী;
দেখেছে সাঁটা সুতোর শাড়ির চারপাশে
বিম্বিসায় বিমলিত অন্ধকার,
টলমল সমুদ্রে উপচেপড়া ঢেউ_
দেখেছে সুগভীর কাজলের বুক চিরে
চুইয়ে পড়া শিশির প্লাবন।
মৃত্যু যন্ত্রণায় আহাজারি দেখেছে পৃথিবী;
দেখেছে বিলাপের ভারে প্রকম্পিত শূন্য_
হারানোর বেদনায় পাংশুটে নীল আকাশ।
কখনো কি দেখেছে মানুষ এক জীবননামায়
অজস্র মৃত্যুর কপোতাক্ষ!
কখনো কি দেখেছে পৃথিবী এক মৃত্যুনামায়
গণনার উর্ধে স্বজন হারানোর শোক;
অনির্ণীত চোখের তটরেখায় অথৈ বর্ষা!
আর কোন রুপন্তি দাঁড়াবে না নীলাঞ্জনা সাজে
ছাদের রেলিঙে রূপবতী ছায়ায়,
আর কোন মহাপুরুষ দেবে না হলুদিয়া স্পর্শ
রাত্রির গভীরে, জ্যোৎস্নার জলে,
অমীমাংসিত ধাঁধা আর কখনো খুঁজবে না সমাধান,
আর কেউ হাঁটবে না যুক্তির খুঁজে মীমাংসার পথে,
আর কোন শুভ্র প্রাণ চোখে লাগাবে না মোটা চশমা,
আর কোন চিত্রনাট্য নেমে আসবে না রাজপথে
মিছিল-ব্যনারের রঞ্জিত সজ্জায় হবে না মুখর।
থেমে গেছে সমুদ্র রাতে জ্যোৎস্না বিলাস,
থেমে গেছে মধ্যাহ্নের পথে পেঞ্চিলের আঁচড়,
থেমে গেছে উড়ালপঙ্খীর উড়ে যাবার স্বপ্ন,
থেমে গেছে শ্রাবণ মেঘের ধ্রুপদী ইতিহাস,
থেমে গেছে সেই সব দিনরাত্রির আলাপন।
আর কখনো নামবে ভাঙা ঘরে অবাধ জ্যোৎস্না,
আর কোন জননী সুনাবে না দারুচিনি দ্বীপের গল্প,
আর কখনো নক্ষত্রের রাত সৌরভ ছড়াবে না,
কৃষ্ণপক্ষের গভীরে নামবে না জয়যাত্রার তরী,
আর কখনো জ্বলে উঠবে না আগুণের পরশমণি।
লীলাবতির আকাশে ঘুমিয়ে পড়েছে চাঁদ,
নির্ণীত পল্লীর ঠিকানায় ঘুমিয়ে পড়েছে কবি,
জনশূন্য কপোতাক্ষ তীর, স্থব্ধ পৃথিবী।
কোথাও কেউ নেই...
কোথাও কেউ নেই...