আচ্ছা অপরাজিতা দৈনিক ক বাক্স লাগে বলতো?
এই যে উজাড় করা লিপস্টিকে লাল ঠোঁট
গোলাপি গাল, চোখের নিচে আবার নীল বেগুনি কষ্ট
ওরা যখন গেলে, খুব সুখ পাস না?
না রাগবো কেন, ওসব নিয়ে আর ভাবিনা, ভালো লাগে না রে
কিচ্ছু ভাল লাগে না, শালা মাথাটাকে ছিড়ে কুড়ে খেতে ইচ্ছে করে
মনে হয় করোটির মাঝে কয়েক লক্ষ পিন ঢুকিয়ে
শুওরের বাচ্চারা ডুগডুগি বাজাচ্ছে।
আজকাল আবার ভুলভাল দ্যাখা শুরু করেছি-
এইযে পুঁচকে ফিঙ্গেটা মাঠে চরা জ্যান্ত গরুটাকে খেয়ে ফেলল!!
না, কিচ্ছু ভাল লাগে না, এই যন্ত্র, কারবুরেটরের ধোয়া
সাথে লেজের মত জোড়া লাগা মুঠোফোন কিচ্ছু না।
যদি একটু শান্তি পেতাম কোথাও, একটু শুভ্রতা
মায়ের শালদুধের মত সাদা কিছু...।।
কি বুকে নিবি? আগলে রাখবি?
তোর সিলিকন ঠাসা বুকে শুভ্রতা কোথায়!!
ওটাতো এখন শিল্প, কাম, এক টেরা হার্ডডিস্ক ভর্তি যৌবন
আর পুরুষ মাত্রই তো শিল্প প্রেমি, ফ্যালফ্যাল ফ্যালফ্যাল চেয়ে আছে।
তুই বরং কাম ছড়া,ভালবার আদিম বাসনায় দু পা ফাক করে শুয়ে থাক
আমি বরং তোর ওই মেকাপ বাক্সটায় ঢুকে যাই
ফুটপাথ থেকে কেনা কালো আইলাইনারটার মত
পাছায় শরীরে হৃদপিণ্ডে কোন বহুজাতিক লেভেল থাকবে না
লাল নীল হলুদ বেগুনি রঙের পসরা থাকবেনা
চোখের নিচে সামান্য একটু কালো, একটু কালচে কালো
হকারের ঠুনকো বুলিতে একদিন সস্তায় বিকিয়ে যাব
পন্য বাজারজাত করনের চটকদার এবং চমকদার ঝামেলা থাকবে না।
অথবা, আর একবার ট্রান্সপ্লান্ট করার আগে বলিস-
দুটো সিলিকন থলে হয়ে যাব, নিস্প্রান নিস্প্রভ থলথলে
হৃদপিণ্ড টার খুব কাছাকাছি...