আনন্দময় বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান শর্ত ভালো সঙ্গিনী। প্রাচীনকালে স্ত্রীদের তিন ভাগে ভাগ করা হতো_
১. ঘর জ্বালানি, পাড়া জ্বালানি
(এরা ঘর জ্বালায়, পাড়াপ্রতিবেশিকে জ্বালায়)।
২. ঘর জ্বালানি, পাড়া ভালানি।
৩. ঘর ভালানি, পাড়া ভালানি।
(আদর্শ স্ত্রী)।
এই সময়ে, ফ্ল্যাট বাসের যুগে, পাড়া বলে কিছু নেই। সবই ঘরকেন্দ্রিক। আমি এই সময়ের স্ত্রীদের কয়েকটা ভাগ করেছি।
১. সন্দেহ নারী
এরা স্বামীর মোবাইল চেক করবে। স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে শার্ট শুঁকে দেখবে, শার্টে কোনো অপরিচিত গন্ধ আছে কি না। কিংবা লম্বা চুল লেগে আছে কি না। গাড়ির ড্রাইভার তাদের প্রধান স্পাই। স্যার কোথায় কোথায় গেল, কার সঙ্গে কথা বলল, সব ম্যাডামের কাছে রিপোর্ট করা হবে। ম্যাডাম দরাজ হাতে বকশিশ দেবেন।
২. না নারী
এরা স্বামীর প্রতিটি কথাতেই 'না' বলবেন। স্বামী যদি বলেন, আজ ইলিশ মাছ রান্না করো। স্ত্রী বলবে, না ইলিশ না। ছোট মাছ খাও। স্বামী যদি অবসরে একটা ছবি দেখার জন্য স্ত্রীর হাতে দিয়ে বলেন, এসো এই ছবিটা দেখি। স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বলবেন, এটা না অন্য একটা দেখব।
৩. মার্কেট নারী
এরা চবি্বশ ঘণ্টার মধ্যে আট ঘণ্টাই মার্কেটে মার্কেটে ঘোরেন এবং দুনিয়ার আবর্জনা কিনে ঘর ভর্তি করেন।
৪. নারী চিৎকারক
এরা থাকেন চিৎকারের উপর। এদের ধারণা কাজের মেয়েদের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে হলে সারাক্ষণই চিৎকার করতে হবে। এক সময় এরা স্বাভাবিক কথা বলতেও ভুলে যান। স্বামী-সন্তান সবার সঙ্গেই চিৎকার করতে থাকেন।
৫. নারী দ্রৌপদী (শৌখিন)
এদের বেশির ভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। বই দেখে অদ্ভুত অদ্ভুত রান্না করতে এরা ভালোবাসেন। সেই সব অখাদ্য স্বামীকে গিলতে হয় এবং বিস্মিত হওয়ার মতো ভঙ্গি করে বলতে হয়, অদ্ভুত হয়েছে। রেসিপি কোথায় পেয়েছ? তাদের রান্না করা অদ্ভুত খাদ্যের নমুনা, আনারস করলার প্যান ফ্রাই।
এতক্ষণ রসিকতা করলাম।
আসলে স্ত্রীরা সংসার নামক অতি জটিল নৌকার একমাত্র মাঝি। যে নৌকা চলছে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতের ভেতর দিয়ে। তাদের সব ভুল, সব ত্রুটি স্বামীদের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা করতে হবে।
সুত্রঃ সমকাল