somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

{আমার কিছু কথা} হুমায়ুন আহমেদ, মন খারাপ ও পদ্মাসেতু

২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙলাদেশী বাঙ্গালী আজ বড় শোকাহত । লেখার যাদুকর হুমায়ূন আহমেদকে নিয়া তারা শোকে মূহ্যমান । শুধূ গুটি কয়েক রাম ছাগল জাতীয় বা তার চেয়ে নিচু প্রজাতির ছাগল জাতীয় ধর্মান্ধ বা জামায়ত শিবির ছাড়া । হুমায়ূন আহমেদের জানাযা হবে কিনা, তিনি নাস্তিক , কোন কোন ক্ষেত্রে তার পরিবারকে পর্যন্ত টেনে এন এরা ফেইসবুক , ব্লগ ইত্যাদি জায়গা ভরিয়ে ফেলছে । অথচ আমি যতদূর জানি মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে কটু কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ । তারা ইসলামের দোহাই দিয়েই এসব করছে । তাদের এত রাগের কারণ কি? কারণ কি একজন মৃত মানুষ নিয়ে কটুক্তি করার? হুশায়ুণে আহমেদের উপর তাদের রাগ অনেক । অনেকে পাঠকেরই হয়তো মনে আছে বিটিভির নাটকের সেই বিখ্যাত সংলাপ “তুই রাজাকার” । আজম্ম হূমায়ুন আহমেদ ছিলেন রাজনিতী থেকে দূরে । তারপরও তিনি সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে অনশন-এ বসেছিলেন । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন অনেক লেখা । তাই অন্ধ এই শিবিরগুলা মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে এত কটু কথা বলছে । এদের এ ধরনের কর্ম কানড দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় , এরা ভিন্ন ধর্মী কোন উগ্র গোষ্ঠীর এজেন্ট । কারণ তাদের এধরনের কর্ম কান্ডের ফলে ইসলাম বিদ্বেষীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে । তবে আমি এ নিয়ে মোটেও শংকিত না । কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন পবিত্র কোরাণের হেফাজত তিনি নিজেই করবে ।
আমার লিখার শুরুটা হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে শুরু হলো ,যদিও বিষয় মোটেও এটা নয় । কিন্তু কিছুটা জড়িত । লেখকের মৃত্যু নিয়ে মন খুব খারাপ ছিল, খারাপ লাগা আরো বাড়িয়ে দিল ধর্মের ঐ শত্রুগুলো । একজন মৃত মানুষ নিয়ে এমন বাজে কথা । যাই হোক, মন খারাপ, রোজা সব মিলিয়ে বেশ ক্লান্ত ছিলাম । তাই বোনের বাসায় গিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । হঠাৎই ঘুম ভেঙ্গে গেল বাজে ভাবে । বিষয় কি?! চোখ মেলে দেখলাম আমার বড় ভাগিনা যার বয়স ছয় (আমার খুবই প্রিয়), সে আমার মূখ হা করানোর চেষ্টা করছে , পাশেই দুই বছর বয়সী তার ছোট ভাই (ছোট ভাগনা), প্ল্যায়াস হাহে দাড়ানো, সাথে ৩-৭ বছর বয়সী আরো বেশ কয়েকজন । নড়তে যেয়ে বুঝলাম আমি “কট” । তারা দড়ি দিয়ে আমার হাত-পা বেধে ফেলেছে ।
আমি অনেক কষ্টে জিজ্ঞেস করলাম - ঘটনা কি?
তারা উত্তর দিল – তোমার দাত তোলা হবে ।
আমি – আমারতো কোন দাত নড়ছে না, তাহলে দাত কেন তোলা হবে?
তাদের একজন গম্ভীর ভাবে উত্তর দিল – তুমি আমাদের প্রতিদিন দাত মাজতে বলছো, আমরা তোমার দাত তুলে পরীক্ষা করবো তুমি নিজে দাত মাজ কিনা? যদি দেখি মাজ তাহলে তুমি মুক্ত ও তুমি সৎ মানুষ । আর যদি দেখি মাজ না , তাহলে বুঝতে হবে তুমি উপদেশবাজ অথবা কোন পেষ্ট কোম্পানীর এজেন্ট, বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমাদের উপদেশ দিয়েছ । এ হিসাবে তোমার শাস্তি হবে ।
আমি – তোমাদের মাথায় হঠাৎ এ বিষয় আসলো কেন?
তিন বছরের একজন – আমরা টিভি-তে দেখছি তোমরা নিজেরা যা করো না, তা অন্যকে করতে বলো, নিজেরা থাকো আরামে ।
কি ফাপর বলেনতো । হুমঅয়ুন আহমেদকে নিয়ে মন খারাপ না করলে বা রোজা না রাখলেতো এত ক্লান্তি লাগতো না । ঘুমাতামও না । তারপর তাদের সাথে আলাপ শুরু করলাম । কোন ভাবে হাত পার বাধন খুলতে পারলে একটু আরাম হতো ।
তাদের সাথে কথার বলে যা বুঝলাম তার উত্তর আমার জানা নেই । সারমর্ম বলছি । আপনাদের কারো জানা থাকলে জানাবেন, না হলে তারা বলেছে আমি ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাকে আমার বাধবে অথবা ছাদ থেকে দাড়িয়ে আমার মাথায় প্রেশাব করবে ।
তাদের কথা---
পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে । পুরো জাতি যদিও এখন শোকে মুহ্যমান তারপরও এ নিয়ে আলোচনা থেমে নেই । বাচ্চাদের ক্ষ্যাপার কারণ হলো – সাজেদা চৌধূরীর বিখ্যাত সংলাপ …. দরকার হলে একবেলা বাজার করবো না/খাবো না , এ ভাবেই জনগনের টাকায় পদ্মা সেতু হবে । বাচাদের প্রশ্ন – গরীব, সাধারণ জনগনকে বললে তারা অবশ্যই এক বেলা না খেয়ে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দেবে । ভিখারী, রিক্সঅওয়ালা, সাধারণ চাকুরে সবাই দেবে। তা হলে রাজনিতীবিদরা কেন পদ্মা সেতুর জন্য চাদা দেবে না ? বিষয়টা আরো খুলে বলি । বাচ্চারা বলছে সাজেদা চৌধূরীতো অনায়েসে বলতে পারতো- আমরা এমপি হওয়ার সুবাধে ট্যাক্স ফ্রি যত গাড়ী এনেছি সব গাড়ীর ট্যাক্স দিয়ে দেব, সুবিধা নেব না । (ব্যাপারটা মন্দ হতো না, সাধারণ মানুষ যে গাড়ী কিনে ৪ লাখ টাকা দিয়ে তারা কিনে ১ লাখ টাকা দিয়ে) । প্রায় প্রত্যেকেই দামী দামী গাড়ী এনেছেন , আনবেন আরো । সাজেদা বা অন্যান্য এমপিরাতো ঘোষনা দিতে পারতেন- আগামী একবছর সংসদ সদস্য হিসাবে তারা কোন বেতন-ভাতা নিবেন না, সব টাকা পদ্মা সেতুর । এসি ব্যাবহার করবেন না-সব টাকা পদ্মা সেতুর । তারা তাদের আরাম আয়েশ কমালেই নেহাত টাকা কম আসতো না । সব চাপ- আব্দার শুধূ জনগনের কেন হবে?
আপনাদের কারো এর উত্তর জানা থাকলে – আমি একটু নিরাপদ থাকতাম ।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×